১৬তম পর্ব

160 14 0
                                    

গরমে ঘেমে ইশিকার বেহাল দশা। বাড়ির কলিং বেল টিপতেই মা খুব তাড়াতাড়িই দরজা খুলে ফেললেন। ইশিকা ঢুকে দেখলো মামা মামী এসেছেন। এবার সাথে অয়নও এসেছে। কিন্তু অয়নের সাথে ইশিকার দেখা হয় নি। অয়ন ওয়াশরুমে গেছে। ইশিকার মা ইশিকাকে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হতে বললেন। ইশিকা নিজের ঘরে চলে গেলো।

গোসল সেরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে ইশিকা। এমন সময় মা ঘরে ঢুকে ধমক দিয়ে বললেন,

"কিরে এটস কি পড়েছিস তুই!"

"কেন কি হয়েছে?"

"এমন টি-শার্ট আর পালাজো পড়লি কেন?"

"এখন কি আমি বেনারসি পড়ে ঘুরব আম্মু? এই গরমে আমি টি-শার্ট ছাড়া কি পড়বো?"

"অন্যদিন হলে কিছুই বলতাম না। কিন্তু আজকে বাড়িতে মেহমান আছে তাদের সামনে টি-শার্ট পড়ে ঘুরবি তুই?"

"ধুর!"

"এসব খোল আর ভালো দেখে একটা সালোয়ার কামিজ পড়।"

"আচ্ছা পড়ছি তুমি যাও।"

ইশিকা আলামারি ঘেটে দেখতে লাগলো কি পড়া যায়। এমন কিছু পড়তে হবে যাতে সে আরাম বোধ করে আর মাও খুশি হয়।

এর মধ্যে ইশিকা দরজায় নক করার শব্দ শুনতে পেল। ইশিকা দেখলো দরজা ঠেলে অয়ন ঘরে ঢুকলো। অয়ন বলল,

"কেমন আছো? তোমার সাথে তো অনেকদিন পর দেখা।"

"হ্যা আমারও তো। তুমি তো তোমার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়েই বিজি থাকো তাই আর আমাদের বাসায় আসার সময় পাও না।"

"গার্লফ্রেন্ড? কোন গার্লফ্রেন্ড?"

"কোন গার্লফ্রেন্ড, অনেকগুলা নাকি তোমার যে জিজ্ঞেস করছো?"

"আরে না ধুর কি যে বলো না তুমি। আমার তো কোনো গার্লফ্রেন্ডই নেই।"

"সেদিন যে বললে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছো?"

"ওটা ভুলবশত বলে ফেলছিলাম।"

"তোমার ট্রেনিং কেমন চলছে?"

"চলছে ভালোই।"

"এরপর থেকে তো দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াবে। তখন তো তোমাকে দেখাই যাবে না।"

ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora