ড্রয়িংরুমে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বসে আছে সিয়াম আর আরিবা। আরিবা বসে বসে ফোনে গেইমস খেলছে। আর সিয়াম বাবল গাম খাচ্ছে। একটু পর পর বাবল ফুলাচ্ছে। ড্রয়িংরুমের টিভিটা চলছে। কিন্তু টিভির দিকে কারোরই কোনো মনযোগ নেই। সিয়াম বেশ বিরক্ত হচ্ছে। তার চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। একটা মেয়ে কিভাবে রেডি হতে এতো সময় নিতে পারে? সিয়াম খুব রেগে আরিবাকে বলল,
"আমার না একদম অসহ্যকর লাগছে!"
"আরে চিলাচ্ছিস কেন? প্লিজ আস্তে কথা বল।"
"কতক্ষণ লাগে এই মহারাণীর সাজতে? বের হোক, তারপর দেখি কোন অপ্সরী লাগে তাকে দেখতে! আর ওর সাজার দরকারও পড়ে না। তুই একটু গিয়ে দেখতো প্লিজ। অভ্র অলরেডি রমনায় আছে।"
"হুম দাড়া দেখছি।"
আরিবা উঠে দাঁড়াতেই ইশিকা ড্রয়িংরুমে ঢুকল। ইশিকাকে দেখে সিয়াম উঠে দাঁড়ালো। আরিবাও যেন মুগ্ধ। আসলেই ওকে দেখতে আগের চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। যদিও তেমন সাজে নি। সিয়ামের মনে হচ্ছে সত্যিই কোনো এক অপ্সরী তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তবে সেটা ওয়েস্টার্ন অপ্সরী। আজকে এত সুন্দর লাগার কারণ কি? অভ্রর সাথে দেখা করতে যাবে বলে? হয়তো, প্রতিক্ষার অবসানের আনন্দে ওকে এতো সুন্দর লাগছে। সিয়াম ভেবেছিল ইশিকাকে ইচ্ছামতো বকবে কিন্তু ওকে দেখে আর কিছুই বলতে পারল না। ইশিকার মুখটায় যেন আলো ঝলকাচ্ছে। ইশিকা ওদের বলল,
"কিরে কি দেখছিস হা করে? তাড়াতাড়ি চল, এমনিতেই খুব দেরি হয়ে গেছে।"
ইশিকার কথা শুনে সিয়াম বলল,
"দেরিটা করল কে? আপনিই তো রেডি হতে কতক্ষণ টাইম লস করলেন।"
"সো সরি রে। এখন চল চল।"
ইশিকা বের হওয়ার সময় মাকে বলে বের হলো। মা বলল,
"তুই তো কোথাও যেতে এতো টাইম নিয়ে রেডি হোস না। তাহলে আজকে এতো দেরি করলি কেন?"
ইশিকা মায়ের কথা শুনে চুপ করে আছে।তার কাছে এর কোনো উত্তর নেই। মা আবার বলল,
"তোরা তিনজন একই মেডিকেলে চান্স পেয়েছিস বলে বাইরে খেতে যাচ্ছিস। সেজন্য এতো সময় নিয়ে সাজতে হবে?"
YOU ARE READING
ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)
Romanceছাদের রেলিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইশিকা। অগ্রহায়ণের বাতাস অনুভব করছে। হঠাৎ চোখ পড়ল সামনের ছাদের দিকে। মনের অনুভূতিটা যেন নড়াচড়া দিয়ে উঠল। চোখটা বন্ধ করে জোরে নিঃস্বাস নিল। এক দৌড়ে ছুটে এল নিজের ঘরে।