অয়ন ডান কাৎ হয়ে শুয়ে আছে। কাল সারারাত ইশিকার সাথে গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল টেরই পায় নি। অয়ন ঘুমের ঘোরেই তার কপাল আর চোখের উপর পানির উপস্থিতি টের পেলো। বিন্দু বিন্দু পানির ফোটা টপ টপ করে ওর কপাল আর চোখের উপর পড়ছে। কপাল আর চোখের পাশাপাশি গলায়ও পানির উপস্থিতি টের পাচ্ছে। অয়ন খুব বিরক্তি নিয়ে চোখ খুলল। অয়ন চোখ খুলে এক বিস্ময়কর দৃশ্য দেখলো। ইশিকা চায়ের কাপ হাতে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে মাত্র গোসল সেরে বেরিয়েছে। ভেজা চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে। ইশিকা অয়নের ওপাশ থেকে ওর ফোনটা নেওয়ার সময় ভেজা চুলের পানি অয়নের চোখে মুখে পড়েছে। অয়নকে চোখ খুলতে দেখে ইশিকা বলল,
"গুড মর্নিং।"
অয়ন উঠে বসতে বসতে বলল,"মর্নিং।"
ইশিকা ওর হাতের চায়ের কাপটা এগিয়ে দিয়ে বলল, "তোমার চা।"
"কিন্তু আমি তো বেড টি খাই না।"
"ওহ্ আমি আসলে জানতাম না। আচ্ছা ঠিক আছে অসুবিধা নেই।"
এই বলে ইশিকা চা নিয়ে চলে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই অয়ন পিছন থেকে ইশিকাকে ডাক দিল।
"এই দাঁড়াও কোথায় যাচ্ছো? আমি কি একবারও বলেছি যে চা খাবো না? চা টা দাও।"
ইশিকা মুচকি হেসে অয়নের হাতে চায়ের কাপটা দিল। আর অয়নকে বলে গেলো ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আসার জন্যে। আজকের সব নাস্তাই নাকি ইশিকা বানিয়েছে। অয়নের বিশ্বাসই হচ্ছে না কিছু। শুধু অয়ন কেনো কেউই পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না যে এসব হচ্ছে, ইশিকা সবার সাথে এতো স্বাভাবিক আচরণ করছে। গতকালও এই সময়ে ইশিকার আচরণ একদম উল্টো ছিল। এক রাতের মধ্যেই কিভাবে এতো পরিবর্তন। অয়ন মনে মনে ভাবলো অভ্রর কথা বলাতেই ইশিকার মধ্যে এতো পরিবর্তন! ইশিকা যা করছে সব অভ্রর কথা মনে করে করছে। অভ্রকে ইশিকা সত্যিই খুব ভালোবাসে। তাহলে কি অয়নই ওদের মধ্যে এসে ঢুকে পড়েছে?
নাস্তা করা শেষে অয়ন নিজের ঘরে চলে গেলো। ইশিকা ঘরে ঢুকে দেখলো অয়ন রেডি হচ্ছে। ইশিকা বলল,
"কি ব্যপার কোথাও যাচ্ছো?"
"হ্যা ঢাকা মেডিকেল যাচ্ছি।"
BINABASA MO ANG
ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)
Romanceছাদের রেলিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইশিকা। অগ্রহায়ণের বাতাস অনুভব করছে। হঠাৎ চোখ পড়ল সামনের ছাদের দিকে। মনের অনুভূতিটা যেন নড়াচড়া দিয়ে উঠল। চোখটা বন্ধ করে জোরে নিঃস্বাস নিল। এক দৌড়ে ছুটে এল নিজের ঘরে।