১১তম পর্ব

202 17 6
                                    

ক্লাসে প্রায় হইচই পরিবেশ। কেমিস্ট্রি টিচার আসেননি। উনার ছেলের বিয়ে বলে ছুটি নিয়েছেন। আর যিনি এসেছেন তিনি কিছুই তেমন পড়াচ্ছেন না। ওদের সিলেবাস শেষ বলে টিচার তেমন কোনো চাপ দিচ্ছেন না। এই কলেজের এটাই ভালো দিক। কড়াকড়ি হলে কি হবে পড়াশোনা বেশ ভালো। কড়াকড়ি দেখেই তো সিলেবাস এতো তাড়াতাড়ি শেষ হলো।

সবাই যে যার মতো গল্প করছে। হঠাৎ করে সকলের গলার আওয়াজ বেড়ে গেলে নিজেরাই নিজেদের সামলে নিচ্ছে। টিচার শুরুতেই বলে নিয়েছেন কথা বলা যাবে কিন্তু খুব আস্তে আস্তে যাতে পরিবেশ শান্ত থাকে।

ইশিকা আর সিয়াম নিজেদের মতো করে কথা বলছে। আজকেও আরিবা আসে নি। আরিবার কাজিনের বিয়ে। ওদের কেমিস্ট্রি টিচার আরিবার চাচী।

ইশিকা বলছে,

"এই একটা বছর কবে যে শেষ হবে! দিনগুলো যেন যাচ্ছেই না।"

"এক বছরই তো। অস্থির হওয়ার কি আছে। মরে যাবি মনে হয় ওকে না দেখলে?"

"প্রায় তিন বছর ধরে অভ্রকে দেখি না। আমার কেমন লাগছে আমি বুঝতে পারছি। তুই এর কি বুঝবি বলতো।"

"শুধু কি তুই একা নাকি। অভ্রও তো তোকে দেখে না। সেও তো তোকে খুব ভালোবাসে।"

"তোর ফোনে কথা হয় ওর সাথে?"

"প্রায় রেগুলার বলতে পারিস। তোর কথা প্রতিবারই জিজ্ঞেস করে।"

ক্লাসের অন্য দুই জন মেয়ে মিতু আর জুলির মধ্যে কথা হচ্ছে। জুলি বলছে,

"আচ্ছা তোর কি মনে হয় ইশিকা আর সিয়াম সত্যিই বেস্ট ফ্রেন্ড?"

"কেন? মনে না হওয়ার কি আছে। ওরা খুব ভালো বন্ধু।"

"ইশিকা তো সুযোগ পেলেই গিয়ে সিয়ামের সাথে কথা বলে। এতো কিসের কথা বলতো? আর দেখে তো মনে হয় খুবই সিরিয়াস টপিক নিয়ে কথা বলে। তেমন হাসাহাসি করে না। আর খুব আস্তে আস্তে কথা বলে।"

"অন্যের ব্যপারে নাক গলানোর স্বভাবটা বন্ধ কর জুলি। ওরা ফ্রেন্ড হোক বা অন্য কিছু তাতে তোর কি? তুই নিজেকে নিয়ে বিজি থাক।"

"তোর তো কিছুই চোখে পড়ে না। ছেলে আর মেয়েদের সারি আলাদা দেখে ওরা আলাদা বসে। একসাথে হলে ওরা ঠিকই একসাথে বসত। আর সারি আলাদা হলে কি হবে বসে ওরা একই রেঞ্জে বসে। আমার তো মনে হয় কিছু একটা আছে। ইশিকার দিক থেকে না থাকলেও সিয়ামের দিক থেকে আছে।"

ভালোবাসার অপরাধী (সম্পুর্ণ)Where stories live. Discover now