#এক_টুকরো_মেঘ
#মেহেরুন_নেছা_হিতৈষীপর্ব ২২
♣
খুরশিদা বেগম নিজের ঘরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পায়চারি করে চলেছেন। মেলায় যা যা ঘটেছে সবটাই সোর্সের মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। আবির নিজেই গাড়ি করে এসেছে আড়ালকে রাখতে৷ বাকিরা অবশ্য কেউ আসেনি৷ একটু আগে ডাক্তার এসে আড়ালকে বেশ ভালো ভাবে দেখে গেছে।
খুরশিদা বেগম যদিও আড়ালকে নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নন৷ ডাক্তার বলেছেন অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণেই আড়াল এমন হুট করে জ্ঞান হারিয়েছে। ডাক্তার ঔষধ দিয়ে গেছেন। বলেছেন রেস্ট নিলেই রাতের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
" ম্যাম! আবির স্যার এখনো বসার ঘরে..."
মুসকানের ডাকে পায়চারি থামিয়ে মুসকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন খুরশিদা বেগম।
" ওকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দাও। ওর সাথে আমার অনেক হিসেব মেলানোর আছে।"
মুসকান মাথা নেড়ে চলে গেলো এবং একটু পরেই আবির এসে খুরশিদা বেগমের দরজায় কড়া নাড়লো।
" নানু আসবো?"
" হ্যাঁ, এসো। বসো এখানটায়।"
হাতের ইশারায় বসতে বলে নিজে একটা চেয়ার টেনে আবিরের মুখোমুখি হয়ে বসলেন।
" তুমি একা এলে বাসায়, বাকিরা সব কোথায়?"
প্রশ্নটা শুনে আবির একটু হকচকিয়ে গেলো।
" মানে..."
" দেখো আবির আমি সোজাসাপটা কথা পরে পছন্দ করি। মেলায় যা যা হয়েছে সবটাই আমি জানি। কিভাবে জানি সেটা তোমার না জানলেও চলবে। আমি এখন সবটা তোমার মুখ থেকে জানতে চাই৷ যেই ছেলেটার জন্য দিনের পর দিন আমার নাতনী একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে, সবটা জেনেও তুমি তাকে আড়াল করে রেখে নিজে বিয়ে করতে চলে এলে। "
" আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন নানু।"
" কিছু না জেনেশুনে ঠিক ভুল বিচার করার মত মানুষ আমি নই আবির৷ আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে তোমাকে এখানে ডাকতাম না। এটা আমার নাতনীর জীবনের প্রশ্ন। আমি শুধু তোমার মুখ থেকে পেছনের সবটুকু গল্প জানতে চাই৷ আর আশা করবো তুমি আমায় সবকিছু সত্যি সত্যি বলবে এবং কিছুই বাদ দেবে না।"
আবির বেশ কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে রইলো। খুরশিদা বেগম বেশ শান্ত। সময় নিয়ে আবির নিজের মুখ খুললো,
" তবে আপনাকে একটা গল্প শোনাচ্ছি৷ যেটা গল্প হলেও সত্যি ঘটনা। আমার জীবনের লুকিয়ে থাকা, আড়ালে থাকা ঘটনা। আপনি কি সবটা শুনবেন?"
খুরশিদা বেগম হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়তেই আবির শুরু করলো।
ESTÁS LEYENDO
এক টুকরো মেঘ (Completed✔)
Romanceকয়েকটি জীবনের চড়াই-উতরাই, হাসি কান্না, সুখ দুঃখের কাহিনী নিয়েই লেখা #এক_টুকরো_মেঘ