ইমতিয়াজ মামা ও শিক্ষাব্যবস্থা

6 3 0
                                    

বন্ধু - বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবার জীবনই একটা নির্দিষ্ট ভূমিকা রাখে। মতিউরের জীবনে বন্ধু-বান্ধবে ভূমিকা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়-স্বজনের ভূমিকা ও ছিল ঠিক সেই রকমের। মতিউরের সবচেয়ে কাছের লোক এবং মতিউরের আত্মীয় স্বজনের ভিতরে  সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত ছিল ইমতিয়াজ মামা ও ইমরান ভাই দ্বারা। ইমতিয়াজ মামাকে নিয়ে যদি কথা বলতে হয় তাহলে সবার আগে মতিউরের মাথায় দুটি জিনিস আসে।

পৃষ্ঠা - ৩৫

একটি হলো অত্যন্ত পরিশ্রমী একজন মানুষ এবং পথ পরিদর্শক হিসেবে। মতিউর যদি কারো জীবন অনুসরণ করে নিজের জীবনে গঠন করে তাহলে সেটা হল ইমতিয়াজ মামা। মতিউর তখন নবম কি দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। মোবাইল ফোনের প্রতি প্রবল আকর্ষন। যেটা আসলে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে আমাদের এই প্রজন্ম থেকে। যাই হোক তখন মতিউরের বাবা একটা কথা বলে। হয়তো কথাটা অনেক সাধারণ। পাঠকদের মনে হতে পারে সাধারন কথা হয়তো লেখার দরকার ছিল না। কিন্তু কথাটা মতিউরের জীবনে একটা মূল্যবান ও আদর্শ হিসেবে থেকে যায়। মোবাইল ফোনটা হাত থেকে নিয়ে বলে,  ভালোভাবে বস। একটা কথা বলব ভালোভাবে শুনবি।

বাবা :  ইমতিয়াজ তখন ছোট হয়তো ষষ্ঠ কি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। তাকে আমি যখন গণিত করতাম খুব মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে থাকতো খাতার দিকে। গণিত করানো শেষও হয়ে গেলে আমি তো আমার মত উঠে যেতাম। 

পৃষ্ঠা - ৩৬ 

কিন্তু ইমতিয়াজ ওঠতো না বসে থাকতো। যে অংক গুলো ইমতিয়াজকে করিয়েছি, ওই অংক গুলো ইমতিয়াজ বারবার দেখতো। যেখান থেকে পারত না সেইখান থেকে নিজে নিজে চেষ্টা করত। কঠিন অধ্যাবসায় করত ইমতিয়াজ। যার ফলে আজকে তোর মামা একজন সফল মানুষ। আসলে আমিও দেখতাম মামাকে পড়াশোনা করতে সেই দিনে বসত এবং রাতে উঠতো। মাঝখানে নামাজ ও খাবারের বিরতি ছিল। এই দুনিয়ায় দুই ধরনের মেধাবী রয়েছে একটি হল সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক ধরনের বিরল মেধা। খুব কম মানুষই একবার দেখে মনে রাখতে পারে। পরীক্ষার আগের রাতে পরে ভালো ফলাফল আনতে পারে। বিসিএস এর প্রস্তুতি তিন মাসে নিতে পারে। বড় কথা সবার ভাগ্যে এরকম মেধা জোটে না। 

সত্য দিনের অপেক্ষায়Wo Geschichten leben. Entdecke jetzt