হারানো স্মৃতি

49 3 0
                                    

সোমবার সকাল বেলা ঠিক ছয়টা বাজে। মোবাইলে দেওয়া এলার্ম এর শব্দে চারদিকের মানুষের ঘুম হারাম কিন্তু যার জন্য এলার্ম তার কোন খবর নেই। মা এসে বলল ওই মতিউর উঠবি না নামাজের সময় শেষের দিকে, তোর তো আজ কলেজ ও আছে যাবি না। মতিউর বলল মা আর মাত্র পাঁচটা মিনিট এইতো এখনই উঠবো। এইরকম করতে করতে বেজে গেল সাতটা দশ। হঠাৎ ফোনের দিকে দেখে উঠে বলল আমাকে আগে ডাক দিবে না। মা বলল আর কত ডাকবো তোকে নামাজের সময় ও শেষ ভাত খাওয়ার আগে ওযু করে কাযা নামাজ পড়ে নিস।মতিউর তাড়াহুড়া করে উঠে হাত মুখ ধুয়ে কাযা নামাজ পড়ে কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। মতিউরের বোন রাবেয়ার সামনে পরীক্ষা। তাই মাঝে মাঝে সকাল বেলা উঠে পড়তে বসে কিন্তু বেশিরভাগ সময় মা'র হাতের মাইর খেয়ে উঠতে হয় তাকে।যেহেতু রাবেয়ার সোমবার কোচিং এ ইংরেজি পরীক্ষা নিবে। তাই আজকে আর মা'র ডাক দেওয়া লাগে নাই। ছয়টার আগেই সে পড়তে বসে গেছে।মতিউর যখন শার্ট পড়ছিল। তখন রাবেয়াকে জিজ্ঞেস করল কি পড়ছিস তুই ? রাবেয়া বলল দেখতাছস না কি পড়তাছি জিজ্ঞেস করস কেন। রাবেয়া খুব কম সময়ে সকালবেলা উঠতো। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া সকালবেলা উঠতো না। সকালবেলা উঠলে তার মেজাজ খারাপ থাকতো।                                                                             

পৃষ্ঠা - ১

মতিউর আবার জিজ্ঞেস করল কি পড়ছিস ? রাবেয়া বললো তোর মাথা। মূলত মতিউর রাবেয়াকে বিরক্ত বা মজা করার জন্য বারবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে। মতিউরের মা শিখা জান্নাত একজন স্কুল শিক্ষক। তার সাড়ে সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হতে হয়। এই দিকে ঘরের মানুষের শব্দে মতিউরের বাবা নাজমুল হাসান এর ঘুম আর হলো না। সাতটা পনেরো এর দিকেই ঘুম থেকে উঠে গেল।বাবা উঠে প্রথমে বলল ঘরে একটা মানুষ ঘুমালে আস্তে আস্তে কথা বলতে হয় এবং সকল কাজকর্ম নিরবে করতে হয়। মতিউরের মা উত্তরে বলল তাহলে তুমি এসে হাড়ি পাতিল পরিষ্কার করো, রান্না করো আর ছেলে মেয়েদের ঘুম থেকে তুলে দাও। এসব নীরবে করা যায় না।এ কথা শুনে মতিউরের বাবা বলল আচ্ছা তুমি কালকে থেকে ঘুমিয়ে থাকবা। আমি সবকিছু করব আগামীকাল।এই দুই এক কথার কাটাকাটি লেগেই থাকতো মতিউরের পরিবারে। হঠাৎ করে মতিউর তার বাবার সামনে এসে বলে বাবা টাকা দাও।মতিউরের বাবা বলে, কিসের টাকা ? তুমি এখন টিউশনি করাও ওই টাকা দিয়েই তোমার খরচ চালাও। মতিউর একটু রাগ করে বলে আমার কাছে তো এখন টাকা নেই। তুমি দাও। মূলত মতিউরের সাথে মজা করত তার বাবা। ওই পাকের ঘর থেকে মতিউরের মা বলতো ছেলেটার সময় নষ্ট না করে টাকা দিয়ে দাও।                                                                               

সত্য দিনের অপেক্ষায়Donde viven las historias. Descúbrelo ahora