কলেজ বদল

11 3 0
                                    

যখন সিঁড়ি দিয়ে নাম ছিল তখন তার মাথায় এসো উপস্থিত হলো হাজারো প্রশ্ন। কেন শান্তি কলেজের এরকম বেহাল দশা? কেন সাত কলেজের ফলাফল এত খারাপ? কেন সাত সবাই সেশন জটের উদাহরণ হিসেবে সবাই দেখায়? কলেজে কোন ক্লাসের উন্নতি হয় না? কেন লাইব্রেরীতে বইয়ের সংকট? তাহলে কি সবই আমাদের দোষ না এখানে সবার দোষ রয়েছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজে যাওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা মনে মনে অনেকে খুশি হলো কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মনের আশা যথাযথভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়নি। শুরুর দিকে মতিউর অনেক ছেলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ বিনিময় করেছিল। তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারল যে, এখানে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়েছিল। কারো হয়তো বিষয় পছন্দ হয়নি, কারো হয়তো পরিবার দূরে পাঠাতে চাইনি, আবারও অনেক শিক্ষার্থীরা ঢাকার বাইরে যেতে ইচ্ছুক না। অতএব বলা যায় যে, সাত কলেজে একবারে খারাপ শিক্ষার্থী পড়ে না। যদি প্রশাসন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটু ভালোভাবে সাত কলেজের দিকে মনোযোগ দেয় তাহলে হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই তারা পূর্বের সমস্যা গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এসব কথা ভাবতে ভাবতে মতিউর কলেজ থেকে বেরিয়ে বাসে উঠবার জন্য দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ করে মতিউরের ফোন বেজে উঠল। মতিউর ফোন বের করে দেখলো তার বন্ধু শারমিন ফোন করছে। সে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল শারমিনের কথা। আজকে শারমিনের আসার কথা ছিল মতিউরের কলেজে। মতিউরের সাথে শারমিনের পরিচয় এইচএসসি ফার্স্ট ইয়ার থেকে এবং বর্তমানে শারমিন ও সাত কলেজের একজন ছাত্রী ও সাত কলেজে বাংলায় পড়াশোনা করছে।

মতিউর : হ্যালো, কই তুমি? 

শারমিন : এইতো তোমাদের ডিপার্টমেন্টের নিচে। 

পৃষ্ঠা - ১৮ 

মতিউর : বলল আচ্ছা দাঁড়াও, ওখানে আমি এখনই আসছি। 

মূলত শারমিন মতিউরের কলেজে আসার প্রধান উদ্দেশ্য হল কলেজ পরিবর্তন। শারমিন যে কলেজে পড়াশোনা করছিল সেখানে সে অতটা সুবিধা করে উঠতে পারছিল না। ভালোমতো ক্লাস হচ্ছিল না। খুব কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রী কলেজে উপস্থিত থাকার কারণে অনেক সময় ডিপার্টমেন্টের ক্লাস স্থগিত হয়ে পড়তো। তার উপর শারমিন এবং তার বড় বোন ছাত্রী হোস্টেলে থাকতো। তাই তাদের এত বেশি সমস্যা ছিল। ভবিষ্যতে নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে মতিউরের নিকট আসলো শারমিন। মতিউরের কাছে তাদের কলেজে সম্পর্কে জানতে চাইলো এবং কেমন ক্লাস হয়ে থাকে ও ক্লাসে ভালো হয় কি না? এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বলতে বলল। যেহেতু মতিউর একজন নিয়মিত ছাত্র এবং প্রথম বর্ষে মতিউর ভালই ক্লাসে করেছে তাই  শারমিনকে সে তার কলেজের ভালো দিকগুলো তুলে ধরল। খারাপ দিকে বলতে গেলে খুব কম। কিন্তু সবচেয়ে প্রধান খারাপ দিকগুলোর মধ্য একটি হলো কলেজের ওয়াশরুম গুলোর অবস্থা একেবারেই বেহাল এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। যদি কারো সুপেয় পানির দরকার হয় তাহলে ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের সেমিনার থেকে আনতে হয় এই ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত বাংলা ডিপার্টমেন্ট থেকে। 

সত্য দিনের অপেক্ষায়Donde viven las historias. Descúbrelo ahora