কলেজ থেকে মতিউরের বাসায় যেতে সময় প্রয়োজন হয় এক ঘন্টার মত। রাস্তায় জ্যাম থাকলে এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিটে লেগে যায়। মতিউরের তিনটি ছাত্র পড়ায় দুটি ছাত্র বিকেলে ৪টায় মতিউরের বাসায় আসে এবং ৬ঃ০০ টায় চলে যায়। তারা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে এবং আরেকটি ছাত্রকে যে পড়াতে হয়। ৬:৩০ এর দিকে যায় এবং ৮ বা ৮.৩০ এরকম বেজে যায় বাসায় আসতে আসতে। এই ছাত্রটি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সোমবার দিনও মতিউরের পড়ানো ছিল যথা সময় ছাত্ররা আসলো এবং মতিউর পড়িয়ে আসলো। পড়িয়ে আসার পর মতিউর ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন আর তার নিজের পড়া পড়তে ইচ্ছা করে না। কিন্তু নিজের সিলেবাসের দিকে তাকালে মতিউরের গাঁ ভয়ে কেঁপে ওঠে। তাই ক্লান্ত থাকা সত্বেও অনেক কষ্টে তার পড়ার টেবিলে পড়তে বসতে হয় এবং উপন্যাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পড়া তার পড়তে হয়।
পৃষ্ঠা - ২৪
পড়ার সময় কতই না চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। মাঝে মাঝে মতিউর ভাবে এসব আজগুবি চিন্তা কোথা হতে আসে তার মাথায় আসে কিন্তু ভেবে কোন কুল কিনারা পায় না। মতিউরের বাংলা বিষয়টা অপছন্দের থাকলেও উপন্যাস ছোটগল্প ও বিভিন্ন ইতিহাস ও পড়ার ফলে আস্তে আস্তে তার বাংলা ভালো লাগতে শুরু করল। মতিউরের সিলেবাসে যে উপন্যাসগুলো ছিল মতিউর সে উপন্যাস গুলো পড়তো এবং মাঝে মাঝে ওই উপন্যাসের ভিতরে সে ঢুকে যেত। অনেক সময় কান্না চলে আসতো মতিউরের কিন্তু চক্ষু লজ্জার ভয়ে চোখের পানি টুকু আর বাইরে বের হতে দিত না। চোখের ভিতরে রেখে দিত। খুব অল্প সময়ের মধ্য মতিউর বুঝতে শুরু করলো সাহিত্য পড়ার মর্ম। সিলেবাসের বহির্ভূত উপন্যাস গুলো সংগ্রহ করতে শুরু করল মতিউর। দিন যতই গড়ায় মতিউর ততই সাহিত্যের ভিতর প্রবেশ করতে থাকে। লেখালেখি করার অভ্যাসে আগে থেকেই ছিল মতিউরের। যদিও সে ভালো ছাত্র ছিল না। কিন্তু চারপাশের পরিবেশ এবং বর্তমানে সময়ের বিভিন্ন লেখকদের অতীতের ঘাটাঘাটি করলে দেখা যাবে তারা সবাই ভালো ছাত্র ছিল। সমাজের পরিবেশটাই এমন হয়ে উঠেছিল যেন ভালো ছাত্র বাদে আর কেউ লেখালেখি করতে পারবে না।
ESTÁS LEYENDO
সত্য দিনের অপেক্ষায়
No Ficciónসোমবার সকাল বেলা ঠিক ছয়টা বাজে। মোবাইলে দেওয়া এলার্ম এর শব্দে চারদিকের মানুষের ঘুম হারাম কিন্তু যার জন্য এলার্ম তার কোন খবর নেই। মা এসে বলল ওই মতিউর উঠবে না নামাজের সময় শেষের দিকে, তোর তো আজ কলেজ ও আছে যাবি না। মতিউর বলল মা আর মাত্র পাঁচটা মিনিট...