চাঁদের আয়না

55 6 0
                                    

জানো?
আমার খেই হারানো স্বপ্ন আবার দুলছে অল্প অল্প,
তোমার জন্য জমা আমার হাজার রাতের গল্প।
একটি দুটি বাছতে গিয়ে বলি যে আজ কোনটা,
তোমায় ছাড়াই আছি বেঁচে আড়াই লক্ষ ঘন্টা।

প্রথম যেদিন এলে তুমি এই ধরণী কোলে,
ব্যাকুল হয়ে চাঁদকে বলি তার কি দেখা পেলে?
মা কেবলই দেখেছিলেন তোমার মুখের হাসি,
গোমড়া মুখে আমি বসা একলা বাজাই বাসি।

সেদিন তুমি এত্তোটুকু, আজকে তুমি নারী,
এত্তোগুলি বছর মোরা দিচ্ছি একা পাড়ি!
কোথায় পাবো-কোথায় খুঁজি- চন্দ্র, ছায়াবিথী,
পাই নি যে সব, চাই যে আমার- তোমার সকল স্মৃতি।

চাঁদকে কত বলেছিলাম আয়না হতে পারবি?
জোৎস্নালোকে এই শহরে ছায়া পড়ে তার কি?
ঘুমুচ্ছে? না আমার মতই জানলা ধরে ভাবছে,
কেউ কি তোরা বলতে পারিস, সেও কি আজ কাঁদছে?

ওরে তোরা বলনা তাকে, আমি কেবল তার-ই,
কত ভালবাসি তারে- আমার অবুঝ নারী!
তাহার চোখের অশ্রু সকল বৃষ্টি হয়ে যা,
হাত বাড়িয়ে ডাকছি তোদের আমায় ছুঁয়ে যা!

বেলকুনিতে আমি একা বাদলা এসেছে,
তার- কষ্টগুলি চুপি চুপি আমায় এনে দে,
আমি তাদের ধারণ করবো আমার বুকের মধ্যে,
পুছবো তাদের নাম পরিচয় যদি কূলোয় সাধ্যে!

আঁধার রাতে  চাঁদের বুকে আজো খুঁজি মুখটা,
চাঁদের বুড়ি হেসে মরে, বুঝতো কি মোর দুখটা?
আমি পড়ি লজ্জাতে তাও হয়তো পাবো দেখা,
জোৎস্না এসে পড়বে মুখে দেখবো ঠোঁটের রেখা!

কেম্নে আমায় রাখবি বেঁধে- আমায় যেতে দে,
আমার প্রিয়ার এ লগ্ন যে আমার হতে দে!
ঘুমন্ত তার মুখের উপর আঁকবো মৃদু চুম্বন,
উঠবে মাটি দুলে সেদিন, আকাশ জুড়ে কম্পন।

শূণ্য হৃদয় পূর্ণ হবে, এই সে মহালগ্ন,
সৃষ্ট যত কল্প আমার তোমার তরে মগ্ন,
ঠাঁই হবে তার আমার বুকে চাই না যেতে দি,
আমার বুকের পাজর ভেঙে বুকেই গেঁথে নি।

জীবন প্রদীপ যাচ্ছে নিভে, তাও সে কেন দূরে?
কেন এমন অপেক্ষাতে যাচ্ছে শুধু পুড়ে..
একটি জীবন যথেষ্ট কি ভালবাসার জন্য?
হাজার বছর চাই যে কেবল তাকিয়ে থাকার জন্য!

০৫-০৪-২০২০

ধূসর সোনালী কাব্যে, তুমি ভালোবাসা হয়ে থাকবেWhere stories live. Discover now