শ্যাওলা পড়িয়া থাক

49 3 0
                                    

যাহারে  ফিরাইবার কারণ ছিলো না কোনো-
তাহারে দিয়াছি ফাঁকি..
যাহারে বাসিবার কারণ নেই তো ভালো,
তাহারেই বুকেতে রাখি।

বুকে যে বিহঙ্গ করিয়াছি বন্দী, 
তাহার- হাজার খানেক দোষ-
মানিলাম, তবু হলো না সন্ধি, সে-
না বাসিলো ভালো, না মানিলো পোষ।

শেষে উড়াইয়া দিলাম আসমানে,
শুধু রাখিলাম স্মৃতি যত,
বুকের খাঁচায় ঠুঁকিয়া উহারাই,
আঘাত করিতো শত।

আহত চিত্তের ভূতলে করিলাম,
অপরাজিতার চাষ,
রাখিলাম কিছু ভৃত্য, সহসা-
আপনি হয়েছি দাস!

কিছুতে থামেনি ভাঙিয়াছে সবই-
আরো বাকি আছে কত?
যত আদরের লতা পাতা ঘিরি,
গলায় পেঁচাইলো তত।

উড়িয়াছে পাখি সেই কবে-
আজো পড়িয়া রইলো স্মৃতি,
স্মৃতিদের তো আর- নেই কোনো পাখা,
পড়িয়া থাকার রীতি।

তীরে হেটে যত পাইয়াছি নুড়ি,
তাতে- ভাঙিয়া লয়েছি বুক,
ভাঙা টুকরো ছড়াইয়া দিয়াছি,
ছাঁকিয়া লইয়াছি সুখ।

স্মৃতিদের টেনে করিয়া বাহির,
ছুড়িয়া দিলাম পাড়ে,
উড়িয়া যা তোরা, ভুলিয়া থাকিস,
এতো ব্যাথা দিলি যারে....

দিলাম যা ছিলো শূন্য করিয়া,
কমিলো কি হৃদ ভার!
শূন্য হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত,
একাকিত্বের হাহাকার!

যন্ত্রণা যদি নাও থাকে তবু,
খালি থাকে না তো বুক।
খুড়িয়া খুড়িয়া উজার করিবে,
এ কেমন তর অসুখ!

আর তো পারি না, সে তার মত -অস্থি খুঁড়িয়া যাক,
চলিলাম আমি, শূন্য ঘরে -শ্যাওলা পড়িয়া থাক।

__________________
২০-ই জুন ২০২০ ইং

ধূসর সোনালী কাব্যে, তুমি ভালোবাসা হয়ে থাকবেWhere stories live. Discover now