স্টাডি রুমের টেবিলের উপর ল্যাপটপ রেখে তাতে কাজ করছিলাম। এমন সময় কেউ দরজায় কড়া নাড়ল। ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরালাম না। কি-বোর্ডের বাটনগুলো চাপতে থেকে সদৃচ্ছভাবে বিরক্তিকর শব্দ উচ্চারণ করলাম, যার কোন অর্থ নেই।
“ইয়েস?”
আমার গম্ভীর স্বরযন্ত্র অর্থপূর্ণ একটি প্রশ্নবোধক বাক্য উচ্চারণ করল। দ্রুতগতির পদধ্বনি শুনতে পেলাম, যা ঠিক আমার পেছনে এসে থামল। আন্দ্রেস কিছু ব্যক্ত করার পূর্বে নিজ গলা পরিষ্কার করল। ভদ্র-নম্র, মোলায়েম ও মৃদু কণ্ঠস্বরে সে বলল‚
“স্যার‚ মিস সেরেনের বর্তমান কিছু ফুটেজ।”
‘সেরেন’। এই অমূল্য নামটি শোনবার পরপরই আমার ফুলে উঠা শিরাযুক্ত হাত দুটো নিজ থেকে কাজ করা বন্ধ করে দিল। একটি বাঁকা হাসি আমার ঠোঁটের কোণা ছুঁয়ে গেল। মুহূর্তে ল্যাপটপ বন্ধ করে আমি নিজ হাতের ঘড়িটি কনুইয়ের দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুরিয়ে টানতে লাগলাম। এতে হাতের শিরাগুলো যেন দ্বিগুণ ফুলে উঠল। ঘড়িটি ইতোমধ্যে বেশ আঁটসাঁট হয়ে হাতের সাথে লেগে আছে। তবুও আমি এমনটি করছি।
“সামনে রাখো।” আবারও গম্ভীর ও গভীর কণ্ঠস্বরে আন্দ্রেসকে আদেশ করলাম। এখন কাজের বিরতি নেবার সময়। আন্দ্রেস বেশ যত্নসহকারে ট্যাবলেটটি আমার সামনে রাখল, ঠিক সেই স্থানে যেখানে খানিকক্ষণ আগে ল্যাপটপটির অবস্থান ছিল।
আমার লিটল কোবরার চলাচল স্ক্রিনে সুস্পষ্ট। কালো রঙের লেডিস শার্টের হাতা কনুই অবধি বেশ সুন্দরভাবে গুছিয়ে উঠিয়ে রেখেছে। শ্যামবর্ণ হাতে কালচে নীল রঙের ঘড়িটা যেন হাতের সকল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। একই রঙের স্কার্ফটা ত্রিকোণাকারে গলায় প্যাঁচিয়ে রেখেছে। সাথে কালো জিন্স ও খোপা করা গাঢ় বাদামি চুল। কিন্তু যেই অঙ্গটি আমার সর্বাধিক দৃষ্টি আকর্ষণ করল তা হচ্ছে তার টকটকে লাল লিপস্টিকযুক্ত ঠোঁট যুগল। ইচ্ছে হচ্ছে নিজ হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে রূক্ষভাবে ওই ঠোঁটের লিপস্টিক নষ্ট করে দেই, তার ল্যাবিওমেন্টাল খাঁজে ছড়িয়ে দেই।
YOU ARE READING
শ্বাপদসংকুল
Mystery / Thrillerঅপরিচিত নাম্বার থেকে একের পর এক ম্যাসেজ পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে সেরেন। ম্যাসেজে অজ্ঞাত ব্যক্তি অদ্ভুত তাকে সম্বোধন করতে একটি নাম ব্যবহার করে। এরপর পরিচিতদের সাথে একের পর এক অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা ঘটলে সেরেন দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে উঠে। কিন্তু ভয়ার্ত নয়।...