অপরিচিত: মনে হচ্ছে আমি আমাদের দ্বিতীয় সাক্ষাতে আমার লিটল কোবরার মন সফলভাবে কিঞ্চিৎ প্রভাবিত করেছি।
ফোন ভাইব্রেট করে উঠতেই দ্রুত তা হাতে উঠিয়ে নিলাম। সেদিনের ক্ষণিকের সাক্ষাতের পর থেকে আমি মিস্টার মিস্ট্রির ম্যাসেজের প্রতিক্ষায় ছিলাম। কারণ অজানা৷ অথবা কৌতূহল। ফোনের লক খুলতেই কাঙ্ক্ষিত ম্যাসেজটি চোখে পড়ল। ফোন হাতে নিয়েই খানিকক্ষণ চিন্তা করলাম‚
“দ্বিতীয় সাক্ষাৎ! প্রথমবার কবে‚ কোথায়‚ কীভাবে সাক্ষাৎ ঘটল?”তবে লোকটা মন্দ বলেনি। যদিও এখানে সম্পূর্ণ অপরাধ তার। কারণ এত সুন্দর চোখজোড়া যে কোন মেয়ের মনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।
বিড়বিড়িয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম‚ “ ঈশ্বরের সকল সৃষ্টি সুন্দর। সুন্দরের প্রশংসা করা কোন অপরাধ নয়।”
মোবাইলকে নিজ অবস্থানে বিশ্রাম করতে দিয়ে আমি পেন্সিলটি হাতে উঠিয়ে নিলাম। স্কেচবুকের পাতার বিরুদ্ধে পেন্সিলটিকে আলতোভাবে ঘর্ষণ করতে লাগলাম। অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়া অঙ্কন করার সময় বারংবার তার বাস্তব প্রতিবিম্ব আমার মন ও দৃষ্টিতে প্রতিফলিত হতে লাগল।
“কার চোখ স্কেচ করছ‚ সেরেন?”
আকষ্মিক নীরবতা ভেঙে মায়ের কণ্ঠস্বর আমায় চমকিত করল। হৃৎস্পন্দনের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ খানিকটা পরিমাণ বৃদ্ধি পেলো। বুকের মধ্যেখানে নিজের ডান হাতটি চেপে ধরে অদ্ভুত এক চাহনিতে আমি মায়ের মুখপানে তাকালাম।
বিভ্রান্ত কণ্ঠস্বরে আমি জিজ্ঞাসা করলাম‚ “মম্! তুমি এই সময় নিঃশব্দে আমার রুমে?”
নিজ ভুরু যুগলকে যুক্ত করবার বৃথা চেষ্টায় কপালের চামড়ায় দুইটি ভাঁজ ফেলে মা আমার পানে সরু কিন্তু তীক্ষ্ণ চোখে তাকালেন। বর্ষণের পূর্বমুহূর্তে দূর অজানা থেকে যেমন বজ্রপাতের শব্দ ভেসে আসে‚ প্রতি শব্দের আড়ালে একই ম্লান প্রায় বজ্রধ্বনি লুকিয়ে তিনি পালটা প্রশ্নের তীর ছুড়লেন‚
“নিজ মেয়ের রুমে প্রবেশ করার জন্য কি সরকারের অনুমোদন চাইতে হবে?”
YOU ARE READING
শ্বাপদসংকুল
Mystery / Thrillerঅপরিচিত নাম্বার থেকে একের পর এক ম্যাসেজ পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে সেরেন। ম্যাসেজে অজ্ঞাত ব্যক্তি অদ্ভুত তাকে সম্বোধন করতে একটি নাম ব্যবহার করে। এরপর পরিচিতদের সাথে একের পর এক অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা ঘটলে সেরেন দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে উঠে। কিন্তু ভয়ার্ত নয়।...