আমি অমনোযোগী অবস্থায় নিওনি ও আলেক্সের মাঝের ডেস্কে বসে আছি৷ আমার দৃষ্টি ডেস্কের উপর রাখা হাতের কলমের উপর স্থির। অনবরত কলমটিকে নাড়িয়ে চলেছি। আমি উদ্বিগ্ন‚ আমি ভয়ার্ত। বুকের ভেতরে অবস্থান করা হৃদযন্ত্রটি অস্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হচ্ছে। খানিকক্ষণ পরপর ঢোক গিলতে হচ্ছে। বারংবার মিস্টার মিস্ট্রির ম্যাসেজ এবং অলিভারের হাড় থেকে তৈরি টায়রাটি চোখের সামনে ভেসে উঠছে। লোকটা আমার মস্তিষ্কের সাথে খেলা করে চলেছে। যত দিন অতিক্রম হচ্ছে সে আমায় তাড়া করে চলেছে। আমি কি পালাবো‚ কোথাও আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে লুকিয়ে নিব? নাকি তার নিকট ধরা দিব?
না। সোজাসাপটা কোন কিছু চিন্তা করতে পারছি না। কলমটা ডেস্কের উপর শব্দ করে রাখলাম। শিক্ষকের লেকচারের দিকে আমার কোন প্রকার মনোযোগ নেই। দুই হাতের মাঝে মুখমণ্ডল লুকিয়ে হাতের ভেতর দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হাত দুটোকে উপরের দিকে ঠেলে নিজের মাথা চেপে ধরলাম।
“হোয়াট ইন দ্যা হেল ডু ইউ ওয়ান্ট ফ্রম মি?”
নিজের অবস্থান সম্পর্কে ভুলে গিয়ে আকষ্মিক চিৎকার করে উঠলাম। আমার শ্বাস-প্রশ্বাস ভারী হয়ে উঠেছে। হঠাৎ কাঁধে কারো আলতো স্পর্শ অনুভব করে ডান পাশে তাকালাম। নিওনির চিন্তিত মুখমণ্ডল।
“সেরেন? কি হয়েছে?” নিওনির কৌতূহল ও চিন্তায় পরিপূর্ণ প্রশ্ন শুনে যেন সজ্ঞানে ফিরে এলাম।
আমি চঞ্চল দৃষ্টি নিজ চারপাশে ঘুরালাম। ক্লাসরুমে উপস্থিত প্রত্যেকের দৃষ্টি আমার দিকে স্থির৷ যেন আমি কোন মানসিক রোগী। না। আমি কোন মানসিক রোগী নই৷ কিন্তু এসব চলতে থাকলে আমি অবশ্যই মানসিক রোগীতে পরিণত হব। নিঃসন্দেহে।
“মিস ট্রয়? কোন সমস্যা?” শিক্ষকের ভারী কণ্ঠস্বরে তৎক্ষনাৎ তার দিকে তাকালাম। নিঃসন্দেহে তিনি বিরক্ত। হয়তো ডিটেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে তিনি আমার জবাব শুনতে চাচ্ছেন।
আমি না বোধক মাথা নাড়লাম। “সরি‚ টিচার। আমি খানিকটা অসুস্থবোধ করছি। মে আই ইউজ দ্যা ওয়াশরুম?” ভদ্রতা বজায় রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করে অবশেষে আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
গম্ভীর দৃষ্টি আমার দিকে স্থির রেখে শিক্ষক সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন। “ইয়াহ‚ ইউ মে।”
YOU ARE READING
শ্বাপদসংকুল
Mystery / Thrillerঅপরিচিত নাম্বার থেকে একের পর এক ম্যাসেজ পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে সেরেন। ম্যাসেজে অজ্ঞাত ব্যক্তি অদ্ভুত তাকে সম্বোধন করতে একটি নাম ব্যবহার করে। এরপর পরিচিতদের সাথে একের পর এক অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা ঘটলে সেরেন দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে উঠে। কিন্তু ভয়ার্ত নয়।...