Mr. Mystery

0 0 0
                                    

ভোরের আলোতে চারপাশ এখনো আলোকিত হয়নি। চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন৷ সাউথার্ন ফরেস্টের মাঝ দিয়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে এগিয়েছে একটি পথ। সেই পথের একপাশে আমাদের ক্যারাভান দাঁড়িয়ে আছে। বিএসডিআই টিমের নয়জন সদস্য-ই এই ভ্যানে উপস্থিত। শেষ মুহূর্তে আমাদের পরিকল্পনা কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করতে হয়েছে। নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরাটি প্রস্তুত করছে শন ও এজেন্ট ব্লু। বেন ও জোনাথান রিভলভরগুলোকে শেষবারের মতো পর্যবেক্ষণ করে নিচ্ছে।

ভ্যানের বাহিরে ভোরের কনকনে শীতল হাওয়া শো শো শব্দে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিঁঝি পোকার শব্দ‚ বিভিন্ন বুনো প্রাণীর হুঙ্কার শুনতে শুনতে নিকোটিনের বিষাক্ত ধোঁয়া নিজ দেহাভ্যন্তরে টেনে নিচ্ছি। আমার চারপাশ নিকোটিনের পোড়া গন্ধে দারুণভাবে বিষাক্ত। এক হাতে নিজের মোবাইল বের করে ম্যাসেজ বক্সে গিয়ে সেরেনের নাম্বারে কিছু টাইপ করতে লাগলাম।

আমি: অলওয়েজ বি সেফ‚ লিটল কোবরা।

অতঃপর পাঠিয়ে দিলাম তার নাম্বারে। আমি জানি না এটি কেন তাকে পাঠালাম। এর আগেও বিভিন্ন মিশনে গিয়েছি। কখনো পিছুটান অনুভব করিনি‚ চিন্তিত হইনি। কিন্তু আজ ব্যতিক্রম। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিগারেটের শেষাংশ পায়ের নিচে পিষে ফেললাম।

কি অদ্ভুত! যতক্ষণ অবধি সিগারেটের ভেতরকার নিকোটিন পুড়ে আমায় আনন্দিত করেছে ততক্ষণ অবধি একে যত্নে দু আঙ্গুলের মাঝে চেপে রেখেছিলাম। যখন তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল তাকে পায়ের নিচে পিষে ফেললাম। যদিও এটি জড়বস্তু। তবুও লুকায়িত কথাটি…।

“জ্যাক্সিথ?”

বেনের গম্ভীর কণ্ঠস্বরে নিজের নাম উচ্চারিত হতে শুনে পিছু ফিরে তাকালাম। মিশনটি নিয়ে সকলেই বেশ আধ্যাত্মিক। সময় নষ্ট করলাম না। ভ্যানের ভেতরে ফিরে গেলাম। এজেন্ট ব্লু-র ল্যাপটপে সকলে জড়ো হয়ে আছে।

ভুরু যুগলকে কপালের মাঝে কুচিত করে রাশভারি কন্ঠে জিজ্ঞাসা করলাম‚ “কি হয়েছে?”
আমার দিকে না তাকিয়ে জোনাথান জবাব দিল‚ “তোমার এটা দেখা উচিত।”

শ্বাপদসংকুলWhere stories live. Discover now