ঘড়িতে সময় ভোর ছয়টা। নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। গতরাত দুশ্চিন্তা, ভয় ও অস্থিরতায় কেটেছে। কতোবার ম্যাসেজগুলো দেখেছি তা যেন হিসাবের অযোগ্য৷ কি করব বুঝতে পারছি না। একজন দিনে-দুপুরে অনুসরণ করে চলেছে‚ আরেকজন অদ্ভুত ছমছমে ম্যাসেজ পাঠায়। দু’জন স্টকার। আমি কীভাবে এদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম? তাছাড়া তাদের দৃষ্টি-ই যদি আকর্ষণ করে থাকি‚ তবে কেন তারা আমাকে শিকারের মতো তাড়া করছে? তারা আমার সাথে কী বোকা খেলা খেলছে! তারা কি আমায় উন্মাদিনীতে পরিণত করতে চাইছে? যেন শেষ অবধি গিয়ে আমি আত্মহননের পথ বেছে নেই? কিন্তু কেন? কি করেছি আমি? যদি তারা উভয় একই ব্যক্তি হয়? আমি জবাব জানি না। তবে জানা প্রয়োজন। খুব দ্রুত জানা প্রয়োজন।
অন্ধকার কাটিয়ে যখন পৃথিবী আলোকিত হতে শুরু করল তখন চোখজোড়ার পাতা ভারী হয়ে উঠল। যেন অসাড় হয়ে আসছে। আমি তাদের খুলতে বাধ্য করিনি। টর্চার করিনি। আমি তাদের বন্ধ করে একটু বিশ্রাম নিতে দিলাম। আমার মন-মস্তিষ্কও তাই চায়। বিষয়টা এমন হলো যে অন্ধকার আমার সকল দুশ্চিন্তার মূল।
🥀
আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন আমার ঘরের পরিবেশ আমার কাছে কোলাহলপূর্ণ মনে হলো। এটা আমাকে জেগে উঠতে বাধ্য করে। সঠিক ঘুমের অভাবে আমার হৃৎপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছে। আমি দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকালাম। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট। অতি অল্প সময়। খারাপ অবস্থাতে সময় এতো ধীরে কেন অতিবাহিত হয়?
ক্লান্ত শরীরটাকে ঠেলে বিছানা ছেড়ে উঠলাম। ওয়াশরুম থেকে চোখেমুখে পানির ছিটা দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম। নিজেকে খানিকটা স্বাভাবিক করে নিজ রুম থেকে বের হলাম। হলরুমটাতে অতিথি ও আমার বড় ভাই কথা বলছেন। যেনতেন অতিথি নয়। অবস্থা অনুযায়ী এই অতিথি ভয় এবং নির্ভয় ‚ উভয়েরই কারণ। কিন্তু আমার মধ্যে যেটি কাজ করছে সেটি হচ্ছে ভয়। ধীর ও স্বাভাবিক পদক্ষেপে আমি তাদের মাঝে গিয়ে উপস্থিত হলাম। ভাই আমার মাথা থেকে পা অবধি একবার ভালোমতো দেখে নিলেন। তার বিচারমূলক চাহনিকে গুরুত্ব দিলাম না।
YOU ARE READING
শ্বাপদসংকুল
Mystery / Thrillerঅপরিচিত নাম্বার থেকে একের পর এক ম্যাসেজ পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে সেরেন। ম্যাসেজে অজ্ঞাত ব্যক্তি অদ্ভুত তাকে সম্বোধন করতে একটি নাম ব্যবহার করে। এরপর পরিচিতদের সাথে একের পর এক অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা ঘটলে সেরেন দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে উঠে। কিন্তু ভয়ার্ত নয়।...