পুরোনো সিম কার্ডটা চার আঙুলের মাঝে রেখে তার ঠিক মধ্যিখানে অল্প চাপ দিতেই দু টুকরো হয়ে গেল। অতঃপর ব্যবহারের অযোগ্য ও দ্বিখণ্ডিত সিম কার্ডটি পাশের নর্দমায় ছুড়ে ফেললাম। যতক্ষণ অবধি না আবর্জনার অতলে তলিয়ে গেলো ঠিক ততক্ষণ অবধি তাকিয়ে থাকলাম।
“মিস সেরেন…?”
পুরুষ কণ্ঠস্বরে নিজের নাম উচ্চারিত হতে শুনে দ্রুত পিছু ঘুরে তাকালাম। তার চেহারা দেখামাত্র আমি বন্ধুসুলভ হাসিতে মাথা নাড়লাম।
“ইয়েস। ইটস মি।” কোমল কণ্ঠস্বরে জবাব দিলাম। থুতনির কাছ অবধি তর্জনী আঙুল উঁচিয়ে তাকে পালটা জিজ্ঞাসা করলাম‚ “মিস্টার শন… রাইট? আপনার সাথে গতরাতে কথা হয়েছিল?”
যদিও ছবির সাথে চেহারা সম্পূর্ণ মিল তবুও সন্দেহ দূরীকরণের জন্য জিজ্ঞাসা করলাম। লোকটিও বন্ধুসুলভ হেসে জবাবে মাথা নাড়ল।
“জ্বি… আমি শন। আপনি আপনার ফোনটা বিক্রি করতে চাচ্ছিলেন।”সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেও অনেকটা সন্দিহান দৃষ্টিতে আমি তার দিকে তাকালাম। গতরাতে দামদর সব ফাইনাল করা হলেও লোকটিকে আমার নিকট সন্দেহজনক মনে হয়। দুই দাঁতের ফাঁকে ঠোঁট চেপে ধরে ব্যক্ত প্রায় প্রশ্নটিকে নিজের মাঝে চাপা দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করলাম।
“সরি কিন্তু…” আমার চোখজোড়া অজান্তেই সরু হয়ে এলো। সন্দিহান অভিব্যক্তিটি যেন আমার মুখমণ্ডলে সুস্পষ্ট। “… সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন এত দামে ক্রয়ের ইচ্ছার কারণ কি‚ মিস্টার শন?”
প্রশ্ন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলাম না। মিস্টার মিস্ট্রি’র থেকে এক প্রকার পালানোর জন্য গতরাতে ভাইয়ের ফোন থেকে নিজের ফোনের ছবি তুলে অনলাইন সেলে আপলোড করেছিলাম। এমন হ্যাক করা ফোন ‚ আবার একের পর এক রোমাঁচকর ম্যাসেজ… আমি এসব হতে যত দ্রুত সম্ভব পরিত্রাণ পেতে চাই। কিন্তু এই ভদ্রলোক আমার উল্লেখিত দামের তুলনায় দ্বিগুণ দাম অফার করেন। যেন আমি আমার ফোনটি তার নিকট-ই বিক্রি করি। অন্য কোন ক্রেতার নিকট না। প্রথমত ফোন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা ‚ এরপর ভালো দাম…সব মিলিয়ে আমি না করতে পারিনি৷ আমার-ই লাভ এতে৷
YOU ARE READING
শ্বাপদসংকুল
Mystery / Thrillerঅপরিচিত নাম্বার থেকে একের পর এক ম্যাসেজ পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে সেরেন। ম্যাসেজে অজ্ঞাত ব্যক্তি অদ্ভুত তাকে সম্বোধন করতে একটি নাম ব্যবহার করে। এরপর পরিচিতদের সাথে একের পর এক অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা ঘটলে সেরেন দুশ্চিন্তায় জর্জরিত হয়ে উঠে। কিন্তু ভয়ার্ত নয়।...