দরজার ফুটোতে চোখ লাগিয়ে অন্ধকারে কিছুই দেখতে পেলো না শর্মিষ্ঠা। অগত্যা চেঁচিয়ে উঠলো, “কে?”
“আমি কামুকাকা। খোল ছেমড়ী তাড়াতাড়ি”, উত্তর এলো দরজার ওপাশ থেকে।
কামুকাকা, মানে কামেশ্বর সিংহ। বাবার কেমন যেন তুতো ভাই। বাবা খুব একটা পছন্দ করেন না। মার কিন্তু খুব সোহাগের দেওর কামু। মিলিটারিতে চাকরী করেন। বাইরে বাইরে থাকেন। বাড়ী ফিরলেই তাদের বাড়ী ঢুঁ মারা চাই-ই চাই। সঙ্গে আনেন তাঁদের জন্য মিলিটারি ক্যান্টিন থেকে কেনা অনেক gift.
দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো রেইন কোট, গামবুট পড়া বিশাল দেহী কামুকাকা। ভিজে রেইন কোট আর গামবুট খুলে দরজার পশেই রেখে দিয়ে বললেন, “কোথায় তোর বাবা-মা, ডাক, ডাক।“
কেউ নেই জানাতেই বললেন, “ওঃ, সেইজন্য দরজা খুলতে দেরী করছিলি? আমি শুধু শুধু তোকে বকে দিলাম।“, বলতে বলতেই হাতের প্লাস্টিকের ব্যাগটা থেকে তাদের জন্য আনা জিনিষগুলো বার করে রাখছিলেন সেন্টার টেবিলের ওপর। একটা মদের বোতল আর দামী সিগারেটের প্যাকেট বাবার জন্য, আর মার জন্য একটা Roti maker.
“আর এইটা তোর জন্য,” বলেই Rayban sunglass এর একটা প্যাকেট এগিয়ে দিলেন কামুকাকু। খুশীতে ঝলমল করে উঠলো শর্মির মুখ। “আর এটাও”, বলেই Cadbury dairy milk -এর একটা বড়ো প্যাকেট বার করে দিলেন। সানগ্লাসটা প্যাকেট থেকে বার করে পড়লো একবার। সামনেই বেসিনের উপর একটা আয়না। এক ঝলক দেখলো নিজেকে। দাঁত দিয়ে ঠোঁটটা চেপে পোজ দিলো একটা। দারুণ লাগছে কিন্তু শর্মিকে। রিয়া-মামনিরা জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাবে।
“thank you” বলে কাকুকে একটা প্রণাম করে ফেললো শর্মি। মার শেখানো এটা। “বেচে থাকো মা” বলে আশীর্বাদ করার সময় মাথার থেকে হাতটা নেমে পিঠে একটু বেশী সময় ঘুরলো কি? তার ব্রায়ের স্ট্র্যাপের উপর একটু থমকে গেলো কি? আজকাল মায়ের নির্দেশমতো বাড়ীতেও ব্র্রা পরে থাকে সে।
দুর এসব কি ভাবছে সে। কামুকাকা তাকে জন্মাতে দেখেছে। ছোটবেলা একবার কাকার কোলে হিসু করে দিয়েছিলো। সেই কামুকাকা ……………. না হতেই পারে না। যদিও কাকুর নামে বাজারে মেয়েঘটিত দুর্নাম আছে বলে শুনেছে। কাকুর এক প্রেমিকা ছিল, যার সাথে বিয়ে না হওয়ার জন্য কাকু সারাজীবন অবিবাহিতই থেকে গেলেন। কিন্তু মেয়েটির বিয়ের পরেও তার সাথে কাকুর শারীরিক সম্পর্ক আছে বলে শোনা যায়। এছাড়া এক বিধবা বৌদি, কাকুর বাড়ীতেই থাকে, তার সাথেও লদকালদকির গল্প চালু আছে ………….শর্মির মার সাথেও বেশ মাখো মাখো ব্যাপার স্যাপার …………………….
“তোর বাবা-মা তো নেই। তাহলে আমি এখন চলি”, বলে দরজার দিকে পা বাড়ালেন কাকু।
“না, না, বসো না, আমি চা করে দিচ্ছি। বাবা-মা নেই তো কি হয়েছে, আমি তো আছি। আমি বুঝি কেউ নই!” কপট অভিমানের স্বরে বললো শর্মি।
“ওঃ বাবা, তুই তো আমার সব কিছু। কত্তো বড়ো হয়ে গেছিস তুই।“, বলেই কাছে টেনে নিলেন কাকু।
একদম গা ঘেঁষে দাড় করালেন। কাকুর একটা হাত তার চোখে-মুখে-কপালে আদর করছে, আরেকটা হাত তার পিঠে খেলা করছে। চোখ বুঁজে ফেললো শর্মি, ভালো লাগছে তার, বুকের মধ্যে কেমন একটা শিরশিরানি। কানের লতি গরম হয়ে গেছে, নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে, বুকের বোঁটাগুলো শক্ত হয়ে উঠছে, তলপেটে কাপুনি, উরুসন্ধি বাঁধভাঙ্গার অপেক্ষায়। শুধুই কি স্নেহের ছোঁয়া, নাকি একটু অন্য রকম পরশ, কেমন একটা নিষিদ্ধতার স্বাদ। কাকুর গলাটা কেমন ঘড়ঘড়ে শোনালো, “একদম young lady”.
আলতো করে নিজেকে কাকু বাহুবন্ধন থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো, “তুমি বসে চা খাও। ততক্ষণে মা এসে পড়বে“। যদিও সে ভালো করেই জানে, সাড়ে ন’টার আগে মার আসার কোনো chance নেই। এখন সবে পৌনে আটটা।
- “চা নয়, তোর বাবার জন্য আনা বোতলটা খোল, দু ছিপি গলায় ঢালি। একটা গ্লাস দে। আর একটু ঠান্ডা জল। বাড়ীতে ডিম আছে? অমলেট করতে পারিস তুই? তাহলে একটা ডবল ডিমের অমলেট বানা।“
- “তুমি সোফায় বসো তো আরাম করে। আমি সব যোগাড় করে দিচ্ছি।“