অফিসে নিজের কিউবিক্যালে বসে আজকে সকালের ঘটনার স্মৃতি রোমন্থন করছিলো শর্মিষ্ঠা। কতো তাড়াতাড়ি কতো কিছু ঘটে গেলো। ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে গেছিলো শর্মিষ্ঠা। এখনো ভাবলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। অফিসে ঢুকেই washroom-এ গিয়ে panty change করেছে। তাঁর কাছে একসেট এক্সট্রা থাকেই; ফলে অসুবিধা হয় নি। ভিজে সপসপ করছিলো প্যান্টীটা। Real sex করলেও বোধ হয় এতটা জল খসে না তাঁর।
Self analysis করার চেষ্টা করলো শর্মিষ্ঠা। কেন এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলো সে? তাও একজন সদ্য পরিচিত ভদ্রলোকের সাথে; পাবলিক প্লেসে অসভ্যতার চূড়ান্ত। কি ভাবলো দেবাংশু। তাঁকে কি বাজারী মেয়ে ভেবেছে? শর্মিষ্ঠার মনের একটা অংশ বললো - কিন্তু সাড়া তো দেবাংশু-ও দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আর একটা অংশ বলে উঠলো - দেবে নাই বা কেন? মনে করে দেখো শর্মিষ্ঠা সেই কুঁড়ি ফোঁটার বয়স থেকে তোমার যৌন আবেদনে কেউ সাড়া না দিয়ে পেরেছে?
সেই ক্লাশ সেভেনে পড়ার সময় থেকে শুরু। বাড়ীতে মা-বাবা না থাকলেই টপের ভিতর দিয়ে হাত গলিয়ে প্রাইভেট টিউটর প্রমিত স্যার তাঁর সদ্য ফুটে ওঠা স্তনে হাত বোলাতেন। প্রথম প্রথম সুড়সুড়ি লাগতো শর্মিষ্ঠার; খিলখিল করে হেসে উঠতো সে; তারপর ভালো লাগতে শুরু করলো। কি যেন হতো শরীরের মধ্যে। এরপর টপ উপরে তুলে দিয়ে বোঁটার উপর জিভ বোলাতেন প্রমিত স্যার। মাঝে মাঝে একটা বোঁটা চুষতেন, আর অন্য বোঁটাটা দুই আঙ্গুলের ফাঁকে রেখে মলতেন। কি চরম পুলক হতো শর্মিষ্ঠার। হঠাৎ কোমর মুচড়ে, পাছা তুলে তুলে জল খসিয়ে দিতো সে। হাঁপাতে থাকতো। এইটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতেন প্রমিত স্যার। কোনোদিনও তাঁর নিম্নপ্রদেশে হামলা করেন নি।
তখনও মাসিক শুরু হয় নি শর্মিষ্ঠার। মাস দুএকের মধ্যে প্রথমবার রজোঃদর্শন করলো সে। আর তাঁর পর পরই তার সম্পূর্ণ যৌন অভিজ্ঞতা হলো তাঁদের পাশের বাড়ীর অলক জ্যেঠুর সাথে। গরমের ছুটির সময় ছিলো সেটা। মা তাকে পাশে নিয়ে শুয়ে জোর করে ঘুম পাড়াতে চাইতো। কিন্তু একটু পরেই মায়ের নাক ডাকা শুরু হতেই দরজার ছিটকিনি বেরয়ে যেতো সে। এক ছুটে সিংহীদের মাঠে, যেখানে অপেক্ষা করছে রিনি, টিয়া, মামনিরা আর আছে হজমী, কদবেল মাখা, আইসক্রীম আরো কতো কি।
এরকমই এক দুপুরবেলা বেরোতে গিয়ে, তাঁকে দেখে ডাক দিলেন অলক জ্যেঠু।
- শরী-মা কোথায় যাচ্ছিস? একটু এদিকে আয় তো মা।
শরী শর্মিষ্ঠার ডাকনাম। একরাশ ভয়ে ছেয়ে গেলো শর্মিষ্ঠার মন। জ্যেঠু আবার মাকে বলে দেবে না তো।
- মামনির বাড়ী যাচ্ছি গো জ্যেঠু। নোটস আনতে। ভয়েভয়ে বললো শর্মিষ্ঠা।
- নোটস আনতে না ছাই। তুই যাচ্ছিস পাড়ায় টো টো করে ঘুরতে। এই রোদ্দুরে কেউ বেরোয়! একটু এসে সূঁচটায় সুতো পরিয়ে দে তো। বয়স হয়েছে তো। ভালো দেখতে পাই না। তোর জ্যেঠিমাও অফিসে। তোতনটাও খেয়ে দেয়ে কোথায় যে বেরোয়। আয়, লক্ষীটি মা, কাজটা করে দে, তোকে থামস আপ খাওয়াবো।
কাজ না করে দিলে যদি মাকে বলে দেয় জ্যেঠু। তাই ইচ্ছে না থাকলেও জ্যেঠুর বাড়ী ঢুকলো শরী। অলক জ্যেঠু স্কুল টিচার; গরমে লম্বা ছুটি; দীপা জ্যেঠিমা অফিসে চাকরি করেন। উনি বেরিয়ে যাওয়ার পর অখন্ড অবসর জ্যেঠুর। সময় কাটানোর জন্য ঘরের টুকটাক কাজ করেন।
সূঁচ-সুতো এগিয়ে দিয়ে পাশেই দাড়ালেন জ্যেঠু। ঘরের ভেতরটা অন্ধকার। ভালো করে দেখতে পাচ্ছে না শরী। আন্দজে সুতোটা ঢোকানোর চেষ্টা করছে সে। খুব কাছে দাঁড়িয়ে ঝুঁকে পড়ে দেখছে জ্যেঠু। কি দেখছে জ্যেঠু?
মেয়েদের শরীরের পেছন দিকেও দুটো চোখ থাকে। আর সেই চোখ দিয়েই দেখতে পেলো তাঁর ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারা বারুইপুরের ডাঁসা পেয়ারার মতো বুকের দিক একদৃষ্টে চেয়ে আছেন বছর পয়তাল্লিশের অলক জ্যেঠু।