শর্মিষ্ঠার কথা

1.4K 5 1
                                    

গত দু'তিনদিন ধরেই লোকটিকে দেখছে শর্মিষ্ঠা। আগে কখনো দেখেনি এপাড়ায়। অবশ্য তাঁরাও এপাড়ায় এসেছে মাত্র সাত/আট বছর। সেই মর্মান্তিক ঘটনাটার পরে পরেই।
বেশ ভদ্র এবং ভালো টাইপের মনে হয়েছে লোকটিকে। গলায় ঝোলানো identity card আড়চোখে দেখে জেনে নিয়েছে ওনার নাম এবং কোথায় চাকরী করে। নতুন join করেছেন কি, নাকি অন্য কোথাও থেকে transfer হয়ে এসেছেন। লোকটির সঙ্গে আলাপ জমানোর খুব ইচ্ছে হলো। এমন নয় যে শর্মিষ্ঠা ছেলে দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিশেষ করে একবার ঠকার পর থেকে ওপরচালাক, oversmart ছেলে, যেরকম সাধারণত sector five এ দেখা যায়, তাঁদের থেকে দুরেই থাকে। কিন্তু এই লোকটি মনে হয় সেরকম নয়। একটা অদ্ভুত সরলতা আছে লোকটার চোখে মুখে। মেয়ে দেখলেই হামলে পড়ে না। মেয়েদের সম্মান করতে জানে। সেক্টর ফাইভের পুরুষগুলো তো ঠিক এর বিপরীত। বিশেষ করে যারা আই টি সেক্টরে একটু উচ্চপদে কাজ করে এবং মধ্যবয়সী। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পয়সা, ঘরে স্ত্রীর ওপর থেকে টান উঠে গেছে। যে মেয়েই চাকরী করতে আসে তাঁদেরই মনে করে বাজারী মেয়ে। বাসে গা ঘেষে দাড়ায়, নানা অছিলায় বুকে-পাছায় হাত দেয়। অবশ্য তাঁদরও সম্পূর্ণ দোষ দেওয়া যায় না। সেক্টর ফাইভে চাকরী করতে আসা অনেক মেয়েই, বিশেষ করে যারা কম পয়সায় কল সেন্টারে কাজ করে, শোনা যায় ওভারটাইম করে। এবং তাঁদের গ্রাহকের একটা বড়ো অংশই সেক্টর ফাইভে আই টি সেক্টরে কর্মরত, মধ্যবয়সী, যৌন-অতৃপ্ত স্বচ্ছল পুরুষ। এদের মধুচক্রের স্থান নিউটাউনের গোড়াতেই একটি হোটেল, যেখানে বছর বারো আগে একবার raid হয়েছিলো, এবং নিউটাউন, সল্টলেক, বাগুইহাটি অঞ্চলের কিছু গেস্টহাউস।
এই ভদ্রলোক মানে দেবাংশু (নামটাও খুব সুন্দর) একটা নিরাসক্তি লাগানো মুখে একপাশে দাড়িয়ে থাকেন, মেয়েদের ভীড় এড়িয়ে যতোটা থাকা যায়। আর চোখ বন্ধ কে কি যেন ভাবতে থাকেন।
শর্মিষ্ঠা ঠিক করেই ফেললো আজই আলাপ জমাবে। পৃথিবীতে ভালো লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একজন ভালো লোকের সাহচর্য্য পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।
বাসস্ট্যান্ডে পারফিউমের কথা জিজ্ঞেস করার মতো খেলো ব্যাপার দিয়ে আলাপ জমানোর চেষ্টাটা বৃথা গেলো। বাসটা চলে আসতেই উঠবার তাড়ায় শোনা গেলো না দেবাংশু জবাব দিয়েছেন কিনা। বাসে উঠে ভদ্রলোককে "খেয়ে ফেলবো না" বলে tease করাতে কি রেগে গেলো দেবাংশু? (ততক্ষণ মনে মনে ওঁকে দেব বলে ডাকে শুরু করে দিয়েছে)। কাছে এলো না কেন? ততক্ষণেব্যাপারটাকে ইগোর পর্য্যায়ে নিয়ে গেছে শর্মিষ্ঠা। তাঁর মতো একজন সুন্দরী well maintained মহিলার ডাকে সাড়া দেও না, তুমি কোন হরিদাস পাল?
একটু পরেই তাঁর নারীসুলভ ক্ষমতায় শর্মিষ্ঠা অনুভব করলো দেবাংশু তাঁকে দেখছে। টপটা একটু উঠে গিয়ে কোমরের কিছুটা দেখা যাচ্ছে, সেদিকেই চোখ পড়েছে দুর্বাসা মুনির। দুর্বাসা মুনির ধ্যান কি ভাঙ্গতে পারবে শর্মিষ্ঠা? মাঝে মাঝে চোখ ফিরিয়ে নিলেও চুম্বকের আকর্ষণ বোধ করছে দেব, সেটা বুঝতে পেরেই উরু ভিজতে আরম্ভ করলো শর্মিষ্ঠার।
আহঃ। এখন যদি লেগিংস আর প্যন্টিটা নামিয়ে দুটো আঙুল ভরে দেওয়া যেতো তাঁর যোণীগহ্বরে, অথবা আরো ভালো হতো যদি দেব তাঁর যোণীমূলে জিভ বুলিয়ে দিতো। চিন্তা করতে করতেই আরেকবার প্লাবিত হলো শর্মিষ্ঠা।
সাইন্স সিটিতে বসার জায়গা পেতেই আর সূযোগ হাতছাড়া করলো না শর্মিষ্ঠা। একগাদা আকূতি মিশিয়ে ডেকে ফেললো তাঁর স্বপ্নের দেবকে। স্বয়ং দুর্বাসা মুনি পারেন নি, দেবাংশু কৌন সি ক্ষেত কি মূলী।
পাশে এসে দাড়াতেই দেবাংশুর ব্যাগটা নিয়ে নিলো এবং অল্প কিছু খেজুরে আলাপের মধ্যেই আলতো করে হাতটা ছুঁইয়ে দিলো দেবাংশুর উরুসন্ধিতে। একটু কেঁপে উঠলো কি দেব? বাসের ঝাঁকুনির সাথে তাল মিলিয়ে ঘষতে লাগলো দেবাংশুর পুংদন্ডে। জাগছে, জাগছে। জেগে উঠছে দেবাংশু আর জেগে উঠছে শর্মিষ্ঠার আগ্নেয়গিরি। ক্রমাগত লাভা গলে গলে পড়ছে। দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে শর্মিষ্ঠা। প্যান্টি ভিজে সপসপ করছে। আড়চোখে পাশে বসা লোকটিকে দেখে নেয় - দেখছে না তো! না, কানে হেডফোন গুঁজে চোখ বুঁজে বসে আছে। ওদিক থেকে কোনো চাপ নেই।
আবার হাত দিয়ে দেবের লিঙ্গে ঘষা শুরু করে। হাত দিয়ে চেপে ধরবে না কি? না, সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। চিংড়িঘাটার ফ্লাইওভারের বাঁকে সূযোগ বুঝে নিজের 36B সাইজের বুকটা ঘষে দেয় দেবের উথ্থিত দন্ডে আর তারপরই চরম পুলক ঘটলো শর্মিষ্ঠার।

ফুলের গন্ধে আসে ভ্রমর ১৮+Место, где живут истории. Откройте их для себя