সারাটা সকাল বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে কাটালো শেখর। ছাত্র ফ্রন্ট, মহিলা ব্রিগেড, পার্টির বাংলা মুখপত্র “পার্টিজান”-এর সম্পাদকীয়ের খসড়া তৈরী করলো। প্ল্যাটুনের হিসাব-নিকাশ দেখলো। জঙ্গলে ঠিকাদারদের কাছ থেকে collection কম হচ্ছে বলে বদ্রুকে মৃদু ধমকি দিলো। কিন্তু তার মনটা আনচান করতে লাগলো সকালে চায়ের দুধের গাভীন মেয়েটির জন্য। সোহাগী জানিয়েছে ঐ দুধের উৎস বিপ্লবের স্ত্রী পোয়াতি মিনার বুক। সকালে একবার ‘লাল সেলাম’ জানাতে এসছিলো মেয়েটি (এটাই এই কমিউনের অভিবাদনের দস্তুর)। তখনই আলতো করে জড়িয়ে মেপে নিয়েছিলো তার বুক-পাছার মাপ। তারপর থেকেই আর কাজে মন বসছে না। মন নয়, তার আট ইঞ্চি ধনটা এখন কিছু কাজ করতে চায়।
বিপ্লব এখন জেলে। সূবর্ণ সূযোগ! থাকলেও অবশ্য কোনো অসুবিধা হতো না। মার্ক্স- লেনিন-মাও জে দং- চিয়া গুয়াভ্রার নাম করে কোনো একটা বাণী শুনিয়ে বুঝিয়ে দিতো যে শেখরকে দেহদানের মাধ্যমে মীনা বৈপ্লবিক সংগ্রামকেই ত্বরান্বিত করছে। তাছাড়া মাহী নিশ্চই এতদিনে ফিটিংস করে রেখেছে। অনেকদিন ভদ্র মেয়েছেলে চোদে না শেখর। আদিবাসী এবং নিম্নজাতের অশিক্ষিত গ্রাম্য যোণী রমন করে ভালো লাগে শেখরের Yale University-তে PhD করা ল্যাওড়ার। এই মেয়েটি একদম মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। একদম পাতি বুর্জোয়া যোণী। এ জিনিসের টেস্টই আলাদা।
দুপুরের খাওয়া খেতে একটু দেরীই হয়ে গেলো। বাঁশপাতামাছের হালকা ঝোল-ভাত আর একটু ঘরে পাতা দই খেয়ে লাঞ্চ সারলো শেখর। দইটা অবশ্যই মীনার বুকের দুধ দিয়েই তৈরী। এবার দিবানিদ্রার পালা। মাহীর ঘরেই মাদুর পেতে দিলো সোহাগ। বালিশে মাথা রেখেই শেখর আওয়াজ দিলেন, “মাগীটারে ডাক“। ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিল মাহী এবং সোহাগ। শেখরকে কিভাবে নেবে নরম-সরম মীনা। ধুতি দক্ষিণ ভারতীয়দের স্টাইলে লুঙ্গির মতো করে পরে শেখর, উর্ধাঙ্গ খালি। বুকে ঘন চুল, নাভী হয়ে নেমে গেছে উরুসন্ধি অবধি। মীনা জড়োসড়ো হয়ে বসলো পাশে। গায়ে এএকটা শুধু পাতলা কাপড় জড়ানো, ভেতরে কিছুই পরা নেই। এভাবেই তার নারীদের পেতে ভালবাসে শেখর। যেখানে ভারতবর্ষের চল্লিশ কোটি মানুষ বছরে একটা ত্যানা কিনতে পারে না, সেখানে মেয়েমানুষদের সায়া-পেটিকোট, ব্লাউজ-ব্রা-প্যান্টি পরার দরকার কি। এভাবেই তার নারীদের স্বল্পবসনা রাখার পেছনে যুক্তি খোঁজে শেখর। তাছাড়া রতিক্রীড়ার সময় অতো কাপড়জামা খোলার সময় কোথায়।
সেক্সের ব্যাপারে কোনো ভনিতা নেই শেখরের। মীনার কোমরে হাত দিয়ে একদম কাছে টেনে নিলো সে। তারপর বুকের কাপড় সরিয়ে তার পুরো পাঞ্জা মেলে ধরলো স্তনের উপর। আহঃ, কি ঠান্ডা। ঠিক মায়ের বুকের মতো। ছোটবেলায় ময়নাগুড়ির দিনগুলির কথা মনে পড়ে গেলো। গরমের দুপুরে কাঁঠাল গাছের তলায় খাটিয়া পেতে, মা বুকে চেপে ঠিক এই ভাবে স্তন্যপান করাতেন। অনেক বেশী বয়স অবধি মায়ের বুকের দুধ পান করেছে শেখর। তাই নিয়ে ভাই-বোন, বন্ধুবান্ধবরা অনেক হাসাহাসি করেছে। কিন্তু কি অমোঘ আকর্ষণ ছিল মায়ের সেই বুকের মধ্যে। কোনো ঠাট্টা ইয়ার্কির পরোয়া করতো না ছোট্ট শেখর। মায়ের বুকের প্রতি সেই দুর্নিবার টানই কি আজ শেখরকে মেয়েদের বুক এবং সেই বুকের অন্তঃস্থল থেকে উঠে আসা মাতৃদুগ্ধের প্রতি আকর্ষণের উৎস।
শেখর ঠোঁট রাখলো মীনার স্তনবৃন্তে। দুই ঠোঁটের মাঝে বোঁটা চেপে ধরলো সে। ফোয়ারার মত নির্গত হলো নারীজাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ – ঘন ইষৎ হলুদ বুকের দুধ। ঠিক শিশুসন্তানের মতো চেটেপুটে খেলো সেই দুধ। আহঃ কি শান্তি। দুই বুকের মাঝের জমিতে মাথা রাখলো শেখর। সারারাতের ধকলে দুনিয়ার ক্লান্তি এসে ভীড় করলো তার দুই চোখে। মাথাটা এলিয়ে দিলো সে। জড়িয়ে ধরলো মীনার উরু। একটু পরেই তার নাক ডাকার আওয়াজ শোনা গেলো।
ভেজানো দরজার ওপারেই রুদ্ধশ্বাসে দাড়িয়ে ছিলো মাহী এবং তার পিছনেই সোহাগী। বেচারী মেয়েটার ওপর শেখর খুব বেশী অত্যাচার করলে বাঁচানোর জন্য। যদিও তারা খুব ভালো করে জানে কামোন্মত্ত শেখরের হাত থেকে কোনো মেয়েকে বাঁচানোর থেকে ক্ষুধার্ত সিংহের থাবা থেকে তার শিকারকে বাঁচানো অনেক সহজ। তবু যদি অভাগিনী মেয়েটার উপর অত্যাচার একটু কমানো যায়।
যে আওয়াজ তারা আশংকা করেছিলেন তা হলো মীনার চীৎকার। তার বদলে শেখরের নাক ডাকার আওয়াজ শুনে যারপরনাই অবাক হলেন তারা। দরজা একটু ফাঁক করে ঘরের ভিতর ঢুকে তারা অবাক। মীনার কোলে মাথা রেখে তার উরু জড়িয়ে একটি ছোট্ট শিশুর মতো শুয়ে আছে দোর্দন্ডপ্রতাপ জঙ্গী নেতা শেখরন,
ভারত সরকার যার মাথার দাম ঘোষণা করেছে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা, যার ভয়ে কাঁপে ভারতবর্ষের অন্তঃত সাতটি রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন, যার নামে ঝুলছে সাতাশটি মামলা, যার মধ্যে রয়েছে দুজন আইপিএস এবং একজন আইএএস হত্যা মামলা।
দরজার ফাঁক দিয়ে আসছে শেষ বিকেলের মরা রোদ্দুর। সেই আলোতেই শেখরের মুখটা ভালো করে দেখলো মাহী। এক গভীর প্রশান্তির চাদরে ঢেকে আছে তার মুখ। তার এত নির্মল, শান্ত মুখ বহুদিন দেখে নি মাহী। সম্প্রতি দলে বিভিন্ন উপদল সৃষ্টি হওয়া, দলের ভিতরের বিভিন্ন কমরেডদের বেইমানি করে পুলিশ-প্রশাসনের সাথে হাত মেলানো, বিভিন্ন স্তরে পার্টি ফান্ডের নয়ছয়, ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছে শেখর। এমন শান্তির ঘুম বোধহয় বহুদিন পায় নি। ইশারায় মীনাকে নড়াচড়া করতে বারন করে, দরজাটা ভেজিয়ে বেরিয়ে আসলো মাহী এবং সোহাগী।
সেই সন্ধ্যায় যখন অষ্টমীর মরা চাঁদ জেগে উঠলো শাল-পিয়ালের ফাঁকে, একগাদা সার্চলাইট এসে পড়লো তাদের কমিউনে। সঙ্গে whistle, মিলিটারি বুটের দাপাদাপি এবং sniffer dog এর চীৎকার। কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলার আগেই বেষ্টনী ক্রমশঃ ছোট করে গোটা কমিউনের দখল নিয়ে নিলো কমান্ডার গুরপ্রীত সিং-এর নেতৃত্বে কোবরা ব্যাটেলিয়ন। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিলো “অপারেশন শেষনাগ”।
চারিদিকে গুলি এবং গ্রেনেডের আওয়াজে ধড়মড় করে জেগে উঠেছিলো মীনা। চোখ কচলে আবিস্কার করলো একটা প্রায়ান্ধকার ঘরে সে শুয়ে আছে আর তার পেটে মাথা রেখে শুয়ে আছে শেখরবাবু। তার উরুদুটো জড়িয়ে রেখেছে এমনভাবে যেন কোনো শিশু তার মাকে জড়িয়ে ধরে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকে। এইধরনের পরিস্থিতির কোনো অভিজ্ঞতাই নেই মীনার। মাঝে মাঝেই দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝলকানি। বারান্দায় ধুপধাপ বুটজুতোর আওয়াজ কানে আসছে। কি করবে বুঝতে না পেরে ভয়ে ভয়ে শেখরকেই মৃদু ধাক্কা দেয়। জাগার কোনো লক্ষণই নেই শেখরের মধ্যে। এত আওয়াজ যেন তার কানেই যাচ্ছে না। মীনার পেটে মুখটা আরো গুঁজে দেয় সে। তখনই দরজা খুলে যায় এবং একাধিক সার্চলাইটের তীব্র আলো এসে পড়লো তাদের মুখে।
সেই রাতে সারান্ডা ক্যাম্প থেকে ধরা পরে ভারত সরকারের ত্রাস কমরেড শেখর সহ উনিশজন কমরেড। মৃদু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলো বদ্রু, জগদ্দল, মানিকরা। কিন্তু অস্ত্রভান্ডার অবধি পৌঁছতেই পারে নি তারা। বোঝাই যায় কমিউনের নাড়ীনক্ষত্রের খবর আছে যৌথ বাহিনীর কাছে। ফলে সাধারন রাইফেল এবং দু’চারটে হ্যান্ডগ্রেনেড নিয়ে যৎসামান্য প্রতিরোধ, অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভারে সজ্জিত বিশাল যৌথবাহিনীর সামনে দাড়াতেই পারে না। গুলিতে লুটিয়ে পড়ে মানিক; জঙ্গলের দিকে পালাতে গিয়ে গ্রেনেডের আঘাতে মারা পড়ে জগদ্দল। বাকীরা ধরা পড়ে।
তবে এই অপারেশনের প্রাইম টার্গেট কমরেড শেখর বাগচীকে এক অন্তঃস্বত্তার কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় পাকড়াও করতে পেরে নিদারুন অবাক এবং খুশী হয় কমান্ডার গুরপ্রীত সিং। শেখরের সুতীব্র কামপিপাসার কথা কারোরই অবিদীত নেই। হয়তো এই মহিলাকে শেখরই পেট বাঁধিয়েছে। গোঁফের তলায় একটা চোরা হাসি ফুটে উঠলো তার। এই কি মাহী! শেখরের নর্মসহচরী! না না, এ হতে পারে না। মাহী দক্ষিণ ভারতীয়, দীর্ঘাঙ্গী। আর এই মেয়েটি ভেতো বাঙ্গালী টাইপের।
একটু পরেই শেখর, মাহী, বদ্রু, সোহাগী সহ উনিশজনকে হাতকড়া পড়িয়ে গাড়ীতে তোলা হলো। বাকী যে সব পুরুষদের বিরুদ্ধে চার্জসীট নেই তাদের জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বলা হলো, এবং পলায়নকালে তাদের পিছন থেকে গুলি করা হলো। কিছু মারা গেলো, কয়েকজন পিঠে-পায়ে গুলি খেয়েও পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো। কমিউনের বাকী মেয়েদের তুলে দেওয়া হলো যৌথ বাহিনীর জওয়ানদের হাতে। আজকের অপারেশনের বিজয়োৎসব পালন করবে এই মেয়েদের ভোগের মাধ্যমে।
মীনাকেও উপর্য্যপরি ছয়জন জওয়ান ভোগ করলো। তাদের পৈশাচিক অত্যাচারে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলো তার। অবশেষেএকজন নাগা জওয়ান যখন রিভলবারের বাঁট তার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে মোচর দিতে লাগলো, পেটে-পাছায় মিলিটারি বুট দিয়ে লাথি মারতে লাগলো, গর্ভপাত ঘটলো মীনার।