মহেশ দার চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে ঈশান সিগারেট এ একটা লম্বা সুখ টান দিয়ে ধীরে ধীরে ধোয়া টা ছাড়তে লাগলো। লাস্ট ক্লাস টা একদম বোরিং ছিল। মাথা ধরে গেছে পুরো। পাসের ক্লাস। পাসের সাবজেক্ট যে কেনো পড়তে হয় বোঝেনা ঈশান। কোনো কাজে লাগেনা, শুধু শুধু স্টুডেন্ট দের ওপর অত্যাচার করা। কোনো মানে হয়? সেকেন্ড ইয়ার টা শেষ হলে বাঁচে। থার্ড ইয়ারে এসব ঝামেলা থাকবে না। তবে বোরিং ক্লাসের মাঝেও একটা ভালো ব্যাপার আছে, আর সেটাই একমাত্র কারণ ওই ক্লাস টা সহ্য করার। রিয়া। ওর ডিপার্টমেন্ট আলাদা। এই পাসের ক্লাসেই দেখা হয়। চোখাচোখি হচ্ছে এই দেড় বছর ধরে। মাঝে মধ্যে টুকটাক কথাও হয়েছে। তবে মনের কথা বলা হয়ে ওঠেনি এখনও। ঈশান খুব লাজুক। রিয়ার দিক থেকে পজিটিভ ভাইভ ই পেয়েছে ঈশান যখনই কথা হয়েছে তবু ও বলতে পারেনি। ইন্দ্রানী ঠিক ই বলে। – “তুই একটা আস্ত হাঁদারাম। আর কয়মাস পর সেকেন্ড ইয়ার শেষ। তার আগে বলে ফেল নাহলে ওদের ডিপার্টমেন্ট এর ২-৩ জন তো লাইন দিয়ে ই আছে। হঠাৎ কবে দেখবি ওদের করো বাইক এর পেছনে বসে পিঠে বুক ঘষতে ঘষতে যাচ্ছে। আর তুই ক্যালানের মত দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবি।” ইন্দ্রানীর কথা এরকম ই। ঈশান মনে মনে হাসে।
সিগারেট টায় শেষ টান দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল ঈশান। তারপর এগিয়ে গেলো অটো ধরার জন্য। একটু হেটে যেতে হয় অটো স্ট্যান্ড অব্দি। কলেজ থেকে 5 মিনিট হাঁটা পথ। আনমনা হয়ে হাঁটতে হাঁটছিলো ঈশান।
কিরে একা একা কেনো আজ? বাকি হনুমান গুলো কই? গ্রে রঙের সিডান গাড়িটা থেকে কথা গুলো ভেসে এলো।
ঈশান মুখ ঘুরিয়ে দেখল। HOD ম্যাডাম। হাসি হাসি মুখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
ওরা ম্যাডাম আসলে। ইয়ে মানে। ঈশান আমতা আমতা করলো।
তুই ট্রেন ধরবি তো? আয় তোকে স্টেশনে নামিয়ে দেবো।
ঈশান উঠে পড়ল পেছনের সিট এ, এন ডি ম্যাডাম এর পাশে। ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিলো। ভালই হলো। আজ অটো র ভাড়া টা বেঁচে গেলো। ভাবলো ঈশান।
কিরে বললি নাতো। আজ একা একা কেনো। আবার প্রশ্ন করলো নন্দিতা দাশগুপ্ত ছোট করে এন ডি ম্যাম।
আসলে ম্যাম ওরা সিনেমা দেখতে গেছে। মুচকি হেসে বলল ঈশান।
তাই। তুই গেলিনা কেনো?
আমার সিনেমা ঠিক ভালো লাগেনা ম্যাম।
সেকি রে। এই বয়সে সিনেমা ভালো লাগেনা?
ঈশান কিছু বলেনা। অল্প হাসে।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।