তোর বাবার যখন অ্যাটাক টা হলো তখন উনি চলে যাবার আগে সাতদিন নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন তুই তো জানিস। ওটা মনজ বাবুরই নার্সিং হোম। সেই সময় আমি ও ওনার সাথে ওখানেই ছিলাম। তুই তখন বাড়িতে জানকি দির সাথেই ছিলি। ডক্টর দাশগুপ্ত ই তোর বাবার চিকিৎসা করেছিল। ওই সময়টায় প্রায়ই ওনার সাথে আমার কথা হতো তোর বাবার শরীরের ব্যাপারে। উনি আমাকে সাহস যোগাতেন। ভরসা দিতেন। তোর বাবা চলে যাবার পর আমি ডিপ্রেশন এ চলে যাই। নিজেই দোকান থেকে কিনে এন্টি ডিপ্রেসন ওষুধ খেতে শুরু করি। ধীরে ধীরে শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। খুব অসহায় লাগছিল। মনোজ বাবুর ফোন নাম্বার আমার কাছেই ছিল। একদিন ফোন করি। আমার পরিস্থিতির কথা বলি। ওই সময় আর কাকে বলবো বুঝতে পারিনি। বলার তো কেও ছিলও না। মনজ বাবু আমাকে ঠিক ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করলেন। ওনার সাথে নার্সিং হোমে গিয়ে দেখা করতে বললেন। আমি ওনার সাথে দেখা করতে শুরু করলাম। প্রথমে কয়েকবার ওনার চেম্বারে তারপর ধিরে ধিরে বাইরে দেখা করতে শুরু করলাম।
এভাবেই হঠাৎ একদিন উনি আমার বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। সেদিন তুই কলেজ ছিলি। আমি সেদিন ড্রিংক করেছিলাম। মানসিক ভাবে দুর্বল ছিলাম। কিভাবে যে কি হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। আমি জানিনা তোকে কিভাবে বলবো কথা গুলো।
ঈশান চুপচাপ শুনছিল এতক্ষন। ওর আর রাগ নেই। বরং মায়া হচ্ছে সুদিপার ওপর। ঈশান সুদিপার হাত টা নিজের হতে নিয়ে বললো –
আমাকে সব বলতে পারো। আমি সব শুনবো।
সুদীপা একটু ম্লান হেসে বলে –
সেদিনের পর মনোজ বাবু প্রায় আসতে শুরু করলো। আমি বাধা দিতে পারলাম না। অবলম্বন বলতে তো আর কেও ছিল না। উনি পাশে না থাকলে হয়তো আমি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যেতাম। তাছাড়া…
বলতে একটু ইতস্তত করলো সুদীপা।
তাছাড়া? প্রশ্ন করে ঈশান।
তাছাড়া শরীরের টান কে কিভাবে উপেক্ষা করতাম। আমার বয়স ই বা কতো।
ঈশান যেনো হঠাৎ অনেক বড় হয়ে গেছে। যেনো অনেক কিছু বুঝতে শিখে গেছে।
একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে পারি? ঈশান প্রশ্ন করে।
বল না। আমার অনুমতি নিতে হবে না তোকে। আমি তো বলেছি তোকে সব বলবো।
তোমার বাবার সাথে কোনো বেবি হয়নি কেনো?
![](https://img.wattpad.com/cover/335772488-288-k632059.jpg)
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।