রুমে এসে ঈশান কল করলো রিয়াকে। রিং হচ্ছে। কিন্তু রিয়া তুললো না। রিং হতে হতে কেটে গেলো কল টা। আরো দুবার কল করলো। একই ভাবে রিং হয়ে কেটে গেলো। থাকে কোথায় ফোন টা? ও কি বাথরুমে আছে? ফোন টা সাইলেন্ট করা আছে? ভাবতে থাকে ঈশান।
হঠাৎ রান্না ঘর থেকে ঝন ঝন করে বাসন পত্র পড়ার আওয়াজ ভেসে এলো। ভাবনায় ছেদ পড়ল ঈশানের। এক মুহুর্ত কি ভেবে ছুটে গেলো রান্না ঘরের দিকে। এসে দেখলো সুদীপা রান্না ঘরের মেঝেতে মাথা ধরে বসে আছে। পাশে কিছু প্লেট গ্লাস ছড়ানো। ঈশান ছুটে গেলো সুদীপা র কাছে।
কি হয়েছে? উদ্বিগ্ন কণ্ঠে প্রশ্ন করলো ঈশান।
সুদীপা মাথা তুলে বললো –
মাথা টা হঠাৎ ঘুরে গেলো রে। শরীর টা এখনো দুর্বল।
চলো ঘরে চলো। উঠতে পারবে? ঈশান সুদীপা র দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো।
সুদীপা ম্লান হেসে মাথা নাড়ল। বলল – পারবো।
ঈশানের হাত ধরে উঠে দাড়ালো সুদীপা, তারপর ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ওর রুমের দিকে। বিছানার পাশে এসে সুদীপা বললো –
এবার আমি পারবো।ঈশান হাত টা ছেড়ে দিল। সুদীপা বেডের ধারে হেলান দিয়ে পা দুটো মিলে বসলো। ঈশান নিজের রুমে যাবার জন্যে পা বাড়ালো।
একটু বোস না আমার কাছে। সুদীপা অনুনয়ের সুরে বলল।
ঈশান এড়িয়ে যেতে পারলো না। ধীর পায়ে এসে বিছানার এক পাশে বসলো।আজ হাত ধরেছিল?
আরে ও ধরেনি। আমিই নিজে থেকে ধরলাম। কি লাজুক ছেলে।
আর কিছু ধরেনি?
ভাগ। তোর মত নাকি সবাই? আজ প্রথম একসাথে কোথাও বসলাম। আজই ওসব করবে নাকি? তাছাড়া কফিশপে ওসব করার সুযোগ কোথায়।
ও মনে সুযোগ পেলে করবি?
সন্ধার অন্ধকারে ছাদের রেলিং এর ধারে হেলান দিয়ে রিয়া আর সাগর কথা বলছিলো। কলেজ থেকে ফিরতেই রিয়ার মা রিয়াকে ওর পিসির বাড়ি পাঠিয়েছে। ওর মা মালপোয়া করেছিল, সেগুলোই পিসির বাড়ি তে নিয়ে আসার দায়িত্ব পড়েছে রিয়ার ওপর। পিসি কে মালপোয়া গুলো দিয়ে সাগরের কথা জিজ্ঞাসা করতেই ওর পিসি বললো সাগর ছাদে। পিসেমশাই অফিস থেকে ফেরেনি এখনো। পিসি একাই টিভি তে মগ্ন।
করবো না কেনো? সব করবো। আমার বয়ফ্রেন্ড। ও যা যা করতে চাইবে সব করবো। রিয়া মুচকি হেসে বললো।
সে তোরা যা ইচ্ছা কর। আমি আমার ভাগ পেলেই হলো। সাগর এর ঠোঁটের কোন একটা ফিচলে হাসি।
ঈশান যদি জানতে পারে কোনোদিন?
কে জানাবে? তুই?
না মানে যদি কোনো ভাবে জানতে পারে। ভয় লাগছে। আমাদের এবার এসব বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
বাঃ, যেই একটা বয়ফ্রেন্ড হলো অমনি না? আমারও তো গার্লফ্রেন্ড হয়। আমি এসব বলেছি? তাছাড়া তোর পুসি টা তো তোর বয়ফ্রেন্ড এর জন্যেই আছে।
তাও। এতদিন কিছু মনে হয়নি। তবে এখন কেমন একটা হচ্ছে মনের মধ্যে। আমাদের মধ্যে এসব শুরু হয়েছিল কৌতূহল মেটানোর জন্য। আমরা ছোট ছিলাম। তখন ভুল ঠিক বোঝার বয়স ছিলনা।
দেখ তোর যখন বিয়ে হয়ে যাবে তখন তো এমনিতেই এসব বন্ধ হয়ে যাবে। হঠাৎ করে এখন একেবারে বন্ধ করে দিসনা প্লিজ। তারথেকে ধীরে ধীরে কম করা যাক। মুখটা বাচ্চাদের মত করে বললো সাগর।
রিয়া একটু ভাবলো। তারপর বললো –
ওকে। কিন্তু প্রমিস কর যে ধীরে ধীরে আমরা এসব করা বন্ধ করে দেবো।
হুম প্রমিস।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।