ঈশান গেট খুলে ভেতরে এলো। ডোর বেল বাজলো না। মন অনুসুচনায় ভরে আছে। তাই ভাবলো চুপি চুপি নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়বে। ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে গেলো ঈশান। ভেতরে আসতেই দেখতে পেলো সিড়ির কাছে এক জোড়া শু। ঈশান বুঝতে পারলো মনোজ বাবু এসেছে। ঈশান ক্লান্ত শরীরে ওপরে উঠতে উঠতে চাপা শিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেলো। গেস্ট রুমের সামনে এসে দরজার ফাঁকে চোখ রাখলো। নগ্ন দুটো শরীর উন্মত্ত খেলায় মেতে উঠেছে। সুদিপার উপুড় হয়ে পড়ে থাকা নগ্ন শরীর টা পিষে দিচ্ছে মনোজের নগ্ন শরীর। ঈশানের আজ আর ভালো লাগছে না কিছু। ধীর পায়ে সরে এলো দরজার কাছ থেকে তারপর নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লো।
ঘুম ভাঙাতে ঈশান দেখলো সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মনটা এখনো ভার হয়ে আছে। শরীর মন দুটোই আজ বড্ড ক্লান্ত। কি থেকে যে কি হয়ে গেলো। ঈশান ভাবলো সুদীপা কে সব জানাবে। তাহলে হয়তো মনটা হালকা হবে। ফোন টা হাতে নিয়ে দেখলো রিয়ার দুটো মিসড কল। আরো মন খারাপ হয়ে গেলো ঈশানের। ওর মনে হলো আজ ও রিয়াকে ধোঁকা দিয়েছে। ঈশান উঠে পড়ল বিছানা থেকে তারপর এগিয়ে গেলো সুদীপা র রুমের দিকে। ওর রুমে এসে দেখলো রুম খালি। তার মানে দিদি গেস্ট রুমেই ঘুমিয়ে পড়েছে। ভাবলো ঈশান। ও গেস্ট রুমের দিকে এগিয়ে গেলো। দরজা খোলাই ছিল। মনোজ বাবু কখন গেছে ঈশান বুঝতে পারেনি। রুমে ঢুকে ঈশান দেখলো সুদীপা তখনও নগ্ন শরীরে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। ঈশানের চোখ আটকে গেলো। এর আগে এত ভালো করে দেখেনি ঈশান। দরজার ফাঁক দিয়ে আরেকটা শরীরের নিচে চাপা থাকার ফলে ভালো করে দেখতে পায়নি ঈশান। সুদীপা র নির্মেদ কোমরের নিচে সুডৌল নিতম্ব তানপুরার মত উচু হয়ে আছে। ঘরের নাইট ল্যাম্প এর নীলচে আলোয় সুদিপার শরীর আরো মোহময়ী লাগছে। কি সুন্দর লাগছে দিদি কে। ভাবলো ঈশান। এগিয়ে গিয়ে পাশে পড়ে থাকা চাদর টা টেনে সুদিপার নগ্ন শরীর টা ঢেকে দিলো। তারপর খোলা পথে আলতো চাপ দিয়ে ডাকলো।
দিদি।
সুদিপার ঘুম ভেঙে গেল। চোখ খুলে দেখলো সামনে ঈশান দাড়িয়ে। ঘুম জড়ানো চোখে তাকিয়ে বললো..
কখন এলি তুই?
অনেকক্ষন। তোমরা তখন সেক্স করছিলে।
সুদীপা হাসলো একটু। তারপর উঠে বসলো। ও যে নগ্ন ছিল সেটা ওর মনে ছিল না। ফলে সুদিপার স্তন জোড়া ঈশানের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেলো। ও তাড়াতাড়ি চাদর টা টেনে বুকের কাছে জড়ো করে ধরলো। হেসে বললো..
দেখেছিস কি অবস্থা। কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝতে পারিনি। তুই তো আরো আগে ডাকতে পারতিস আমাকে। বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে। কিছু খেয়েছিস?
না। খিদে নেই। ছোট করে উত্তর দেয় ঈশান।
সুদীপা একটা হাত বাড়িয়ে বেড এর পাশের বড়ো লাইট এর সুইচ টা টিপলো। ঘর আলোকিত হয়ে উঠলো। ঈশান বললো..
অনেক দিন পর আবার আজ মনোজ বাবু এলো।
হুঁ। আজ হঠাৎ এসে হাজির। শেষ বারের মত এসেছিল। বলল ওর স্ত্রী র সাথে সব মিটিয়ে নিয়ে চায়। তাই শেষ বারের মত চাইলো আমাকে। আমি না করতে পারলাম না। অনেক দিন পর হলো তো। খুব ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।