রিয়া অবাক হয়না ভাই কথাটা শুনে। ঈশান রিয়াকে সুদীপা র ব্যাপারে সব বলেছে। সেদিন ওদের মধ্যে যা যা কথা হয়েছে সব।
সুদীপা বেরিয়ে যেতেই ঈশান রিয়ার কাছে ঘেঁষে বসল। রিয়া বিছানায় ডান পা গুটিয়ে আর বা পা মেঝেতে নামিয়ে বসেছিল। ওকে কে টপ এর জিন্স এ দারুন লাগছিল। ঈশান কাছে ওর গাল দুটো ধরে ঠোঁটে একটা চুমু খেল।
রিয়া অবাক হলো। বলল
কি ব্যাপার আজ এত সাহস? আজ লজ্জা করছে না?
না। নিজের বাড়িতে আবার লজ্জা কিসের। তাছাড়া এখানে আমাদের দেখার মত কেও নেই।
তোর দিদি?
দিদি একদম কুল। তোকে তো সব বলেছি। কোনো চাপ নেই।
রিয়া একটু হাসলো তারপর ঈশানের হাত টা ধরে নিজের বুকের ওপর রাখলো। ঈশান চমকে উঠলো। হার্টবিট বেড়ে গেলো। কিছু বলতে পারলো না। রিয়া মুখটা এগিয়ে এনে ঈশান এর ঠোঁটে মিলিয়ে দিলো। ঈশানের অজান্তেই ঈশানের হাত রিয়ার স্তনে চাপ দিতে শুরু করেছে। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। জীবনে এই প্রথম। ঈশানের মনে হলো যেনো হৃৎপিণ্ড বাইরে বেরিয়ে আসবে। উত্তেজনা ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। ঠোঁট আর হাতের গতি দুই ই বাড়িয়ে দিল ঈশান। একটু পর ঈশান রিয়া কে ছেড়ে বললো..আগে খেয়ে নে। নাহলে দিদি রাগ করবে।
খাবার কোনো রকমে শেষ করলো দুজনে। তারপর হাত মুখ ধুয়ে এসে বিছানায় বসলো আবার। একটু ও সময় নষ্ট না করে ঈশান আবার রিয়াকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট গুঁজে দিল। তারপর চুমু খেতে খেতেই দুজনে বিছানায় শুয়ে পড়লো। দুই পা জোড়া অর্ধেক ঝুলে রইল বিছানার বাইরে।
মিনিট পনেরো পর সুদীপা এলো ওদের ফাঁকা প্লেট গুলো নিতে। দরজার সামনে এসে থমকে গেলো। দেখলো দুজনে উদ্দাম চুম্বনে মত্ত। ঈশানের হাত রিয়ার টপের ভেতরে ঝড় তুলেছে।
সুদীপা ইতস্তত করলো। তারপর একটু ফিরে গিয়ে ইচ্ছা করে কাসলো। যেনো আসার সময় সাভাবিক ভাবেই কাশি হয়েছে। তারপর আবার এলো দরজার সামনে। ততক্ষনে দুজনে উঠে বসেছে।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া হলে সুদীপা নিজের রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো। অনেক পরিশ্রম হয়েছে আজ। ঈশান আর রিয়া ওদের রুমে আছে। থাক, ওদের আর ডিস্টার্ব করবে না। নিজেদের মত সময় কাটাক। ভাবলো ও। পরিশ্রমের ফলে একটু তন্দ্রা এসে গেছিলো সুদিপার। হঠাৎ একটা চাপা শীৎকার তন্দ্রা ছুটে গেলো। সুদীপা বুঝতে পারলো কি হচ্ছে। এটা যে হবে ও জানতো। শিৎকারের শব্দ টা এবার ঘন ঘনও আস্তে শুরু করলো। সুদীপা র ইচ্ছা করলো গিয়ে দরজায় উকি দিয়ে। কিন্তু খুব সংকোচ হলো। এভাবে লুকিয়ে দেখা ঠিক হবে না। কিন্তু যত শিকারের শব্দ বাড়তে লাগলো তত সুদিপার সংকোচ কম হতে লাগলো। একবার উকি দিয়েই চলে আসবে। ভাবলো সুদীপা। কিছুই নতুন না। তবুও একটা নতুন কিছু দেখার মত কৌতূহল হতে লাগলো ওর। ধীর পায়ে চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে ও ঈশানের দরজার কাছে এলো। ভেজানো দরজার ফাঁক দিয়ে শিৎকারের শব্ধ আরো স্পষ্ট সোনা যাচ্ছে। সুদীপা দরজার ফাঁকে চোখ রাখলো। জানালার পর্দা গুলো দেওয়া ছিল। তাই ঘরে একটা আলো আঁধারি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সুদীপা দেখলো রিয়ার ওপর ঈশান শুয়ে কোমর ধীরে ধীরে ওপর নিচে করছে। রিয়ার টপ বুকের ওপর গোটানো। নিচের পরনের জিন্স আর প্যানটি পাশে পড়ে আছে। ঈশানের ও শরীরে শুধু টি শার্ট টা আছে। প্যান্ট পাশে পড়ে। ওরা দরজার দিকে পা করে শুয়ে ছিল তাই সুদীপা র উপস্থিতি খেয়াল করতে পারেনি। ওদের নগ্ন দুটো শরীরের সংযোগস্থল সুদীপা র চোখের সামনে ফুটে উঠলো। ঈশানের কনডম পরা লিঙ্গ রিয়ার যোনিতে আস্তে আস্তে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে। পুরোটা ঢুকছে না। অর্ধেক ঢুকেই আবার বেরিয়ে আসছে। ঈশানের হাত রিয়ার স্তন টিপে চলেছে। প্রথমবারের অনভিজ্ঞ মিলন। সুদীপা এটা ভেবে একটু হাসলো। হঠাৎ ঈশান মন্থনের গতি বাড়িয়ে দিলো। 4-5 টা জোরে জোরে ঠাপ দিয়েই আহহহ আহহহ শব্দ করে রিয়ার বুকে শুয়ে পড়লো।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।