নিচে মেন দরজা খলার আওয়াজ হয়। ভাবনায় ছেদ পড়ে ঈশানের। লোকটা নিশ্চই বেরিয়ে গেলো। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ভাবনায় জালে জড়িয়ে সময়ের খেয়াল ছিল না ঈশানের। উঠে বসে রইলো কিছুক্ষন বিছানাতেই। দরজা ভেতর থেকে লাগানোর আওয়াজ হলনা তো কই। ভাবলো ঈশান। আরো একটু অপেক্ষা করে বেরিয়ে এলো ঘর থেকে। নতুন মায়ের ঘরের দরজা ভেজানো ই আছে এখনো। এই ঘর টা গেস্ট রুম ছিল। বাবা আর নতুন মা থাকতো ঈশানের পাসের রুমে। ওই রুমে এখন শুধু নতুন মা থাকে। তবে এই ঘরে আসে ওই লোকটা এলেই।
নিচে গিয়ে দরজা টা লাগিয়ে দিয়ে এলো ঈশান। আবার রাগ হলো নতুন নতুন মায়ের ওপর। দরজা টা লাগিয়ে আসতেও পারেনা। কি মনে করে রুমের দরজা টা খুলে উকি দিলো। ভেতরে কেও নেই তো। চোখ পড়ল এটাচড বাথরুম তার দিকে। বাথরুমের সামনে উপুড় হয়ে পড়ে আছে সুদীপা। কি করবে ভেবে পেলনা ঈশান। মদ খায় ঠিকই তবে এভাবে বেহুঁশ হতে দেখেনি এর আগে। গায়ে তোয়ালে টা কোনো রকমে জড়ানো। ঈশানের বিবেক বলছে সাহায্য করতে, কিন্তু মন সায় দিচ্ছে না। শেষে বিবেকের জয় হলো। ঈশান এগিয়ে গেলো সুদীপা র দিকে। বাথরুমের সামনে এসে একটা গন্ধ নাকে এসে ঝাপটা মারলো। নিশ্চই বমি করেছে। ঈশান নাক চাপা দিলো। যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে এখানে বেশিক্ষণ দাড়ানো যাবে না। সুদীপা কে ছুঁতে সংকোচ হচ্ছিল ঈশানের। কিন্তু কিছু করার নেই। সুদীপা র কাঁধ ধরে চিৎ করে দিলো ঈশান। তোয়ালে টা বুকের কাছে বাঁধা। জাংয়ের মাঝামাঝি শেষ হয়েছে। চোখ ফিরিয়ে নিলো ঈশান। নিচু হয়ে দুহাতে একটু তুলে ধরলো সুদীপা কে। পেছন থেকে দুহাতের তলা দিয়ে হাত গলিয়ে ধরলো তারপর টানতে লাগলো। টানতে টানতে বিছানার কাছে নিয়ে এলো। তারপর অনেক কষ্টে দুহাতে পাঁজা কোলা করে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিলো। এটুকুতেই হাপিয়ে গেলো ঈশান। কলেজ থেকে ফিরে কিছু খাওয়া হয়নি। খিদে পেয়েছে। পাশে জড়ো সড় হয়ে পড়ে থাকা বেড কভার টা তুলে নিলো ঈশান। তারপর সুদীপা র গায়ে ঢাকা দিয়ে দিলো। সুদিপার মুখের দিকে তাকালো ঈশান। এই মুখটা দেখলে একটা অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতি হয় ঈশানের। রাগ, ক্ষোভ, অভিমান হয়, কিন্তু ঘৃনা করতে গিয়ে কেমন কেনো বাধা পায়। কেনো ঘৃনা করতে পারেনা জানেনা ঈশান। কেমন যেনো মায়া হয় এই মুখটা দেখলে। মানুষের মস্তিষ্ক বড় অদ্ভুত জায়গা।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।