FOURTEENTH

843 2 0
                                    

গঙ্গার সান বাধানো ঘাটে ধারে রিয়া আর ঈশান পাশাপাশি বসেছিল। দুপুরের দিকে লোকজন খুব একটা নেই এখানে। আজ কলেজে দুজনেই ক্লাস অফ করে এসেছে। রিয়া একটু মনমরা ছিল কলেজ আসার পর থেকেই। ঈশান কারণ জিজ্ঞাসা করতে বলেছিল..
আজ একটু নিরিবিলিতে কথা বলতে হবে। তোকে কিছু বলতে চাই।
ঈশান একটু ভয় পেয়েছিল। কালকের ঘটনা কোনো ভাবে রিয়া জেনে যায়নি তো? ভেবেছিল ও। প্ল্যান মত আজ দুজনে বাসে করে চলে এসেছে গঙ্গার ঘাটে। ঘাটে এসে দুজনেই কিছুক্ষণ চুপচাপ বসেছিল। ঈশান মৌনতা ভেঙে দুরু দুরু বুকে প্রশ্ন করলো..
কি রে বল। কি বলবি।
রিয়া কিছুক্ষন গঙ্গার জলের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে..
তোকে কিছু কথা বলতে চাই। কথা গুলো শোনার পর হয়তো তুই আর আমার সাথে সম্পর্ক রাখবি না। কিন্তু আর না বলে পারছি না।
ঈশান অবাক হয়। বলে..
কি এমন কথা রে?

রিয়া একে একে সব কথা ঈশান কে বলতে থাকে? কিভাবে সাগরের সাথে ওর ওসব শুরু, মাঝে কি কি হয়েছে, গত কাল সাগর কি করেছে সব কিছু। বলার পর রিয়া মাথা নিচু করে বসে রইল।
ঈশান এটা একেবারেই আশা করেনি। ও ভেবেছিল রিয়া হয়তো কোনোভাবে ওর আর এন ডি ম্যাম এর ব্যাপারে জেনে গেছে। কিন্তু এরকম কিছু শুনবে সেটা কল্পনাও করেনি। ঈশান কি বলবে বুঝতে পারলো না। বুকের ভেতর কেমন যেনো একটা হচ্ছে। অদ্ভুত একটা অনুভুতি। রিয়ার ওপর কি রাগ করা উচিত? অথচ রিয়া তো নিজে থেকে সব সত্যি বললো। ও নিজে তো রিয়া কে সব সত্যি বলেনি। রাগ, অভিমান, অনুসুচনা সব একসাথে মাথার মধ্যে লড়াই করতে লাগলো।
রিয়া মাথা তুলে বললো..
তুই আর আমার সাথে সম্পর্ক রাখবি না বল?
ঈশান চুপ করে বসে রইল। কিছু বললো না। কি বলে কথা শুরু করবে সেটাই ভুলে গেছে যেনো। রিয়া আরো কয়েকবার ঈশান কে একই কথা জিজ্ঞাসা করলো। কিন্তু ঈশান নিরুত্তর। রিয়া দুহাতে মুখ ঢেকে নিয়ে বসে রইলো কিছুক্ষন। তারপর মুখ তুলে ঈশান কে বললো..
আমি উত্তর পেয়ে গেছি। আমি জানি আমি যা করেছি তারপর তুই আমাকে ক্ষমা করতে পারবি না। সরি রে। তোকে শুরুতেই সব বলে দেওয়া উচিত ছিল। খুব ভুল হয়ে গেছে।
রিয়া উঠে পড়ল। তারপর আবার বললো..
আমি চলি রে। পারলে ক্ষমা করে দিস। ভালো থাকিস।
রিয়া যাবার জন্যে পা বাড়ালো। ঈশান এতক্ষন একই ভাবে চুপ করে বসেছিল। হঠাৎ ঘুরে রিয়ার একটা হাত চেপে ধরলো। তারপর বললো..
বস। আমারও কিছু বলার আছে তোকে।

Half WivesWhere stories live. Discover now