কে রে? সুদীপা প্রশ্ন করলো।
আমাদের এইচ ও ডি ম্যাম। কি ব্যাপার কি জানি। কদিন ধরেই কেমন যেনো হয়ে আছেন। কাল ও দেখলাম। আজ একবার যেতে বললেন ওনার বাড়ি। কি জরুরী কথা আছে বললেন। আমি বেরোব একটু পর। রিয়া বললো আজ কলেজ যাবে না। ভালই হলো। আমি ম্যাম এর সাথে দেখা করেই ফিরে যাবো।
ওকে। তাহলে তুই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে। আমি যাই। এই বলে সুদীপা বেরিয়ে গেলো।
ম্যাম কে ফোন করে ম্যাম এর বাড়ি খুঁজে পেতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি ঈশানের। বিশাল 3 তলা বাড়ির বাইরে আর অন্দরমহল এর সাজসজ্জা দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ঈশান ড্রয়িং রুমে একটা সোফাতে বসে ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। নন্দিতা একটা ট্রে তে করে ঠান্ডা পানীয় নিয়ে এলো ঈশান এর জন্য। নন্দিতার চোখ মুখে কান্নার ছাপ স্পষ্ট। নন্দিতা সোফার এক কোনে বসলো। তারপর ঈশানের দিকে পানীয় টা বাড়িয়ে দিল। তারপর চুপ করে বসে রইল। নন্দিতা ঠিক বুঝে উঠতে পারল না যে কথা টা ঠিক কি ভাবে বলবে। ঈশান ই মৌনতা ভেঙে জিজ্ঞাসা করলো..
ম্যাম কি বলবেন বলছিলেন। বলুন।
নন্দিতা একটু চুপ থেকে বললো..
হুম বলছি। আচ্ছা ঈশান তোর বাড়িতে তুই আর তোর মা ছাড়া আর কেউ থাকেনা? তোর বাবার ব্যাপারে তো আমি জানি।
না ম্যাম। এখন ওই বাড়িতে শুধু আমি আর আমার মা থাকি।
তারমানে তুই যখন কলেজে থাকিস তখন বাড়িতে শুধু তোর মা একা থাকে।
হ্যাঁ ওই মনে সকাল 11 টা নাগাদ একবার জানকি মাসী এসে রান্না করে বাসন মেজে 1.30 নাগাদ চলে যায়। বাকি সময় টা মা একাই থাকে।
একটু ভেবে নিয়ে নন্দিতা আবার বললো…
কথা টা খুব শুনতে খারাপ লাগবে। আমাকে ক্ষমা করিস ঈশান।না না ম্যাম ক্ষমা চাইতে হবে কেনো, বলুন না।
একটা কথা বল ঈশান। তোদের বাড়িতে অন্য কেউ যায় তুই যখন থাকিস না? মানে ধর কোনো পুরুষ?
ঈশান একটু চমকে উঠলো। কিছু বলতে পারলো না। চুপ করে নন্দিতার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। নন্দিতার বুঝতে ভুল হলো না। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো ঈশান ও জানে। নন্দিতা বললো..
দেখ ঈশান। আমি তোকে কিছু কথা বলবো। জানিনা কেনো, মনে হলো কথা গুলো তোকে জানানো দরকার। তোর মুখ দেখে মনে হচ্ছে তুই কিছু জানিস। তাও আমি আমার দিকটা তোকে বলি।
নন্দিতা বলতে শুরু করলো। ঈশান ও চুপ করে শুনতে লাগলো।
রিয়া সকাল সকাল স্নান করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে চুল ড্রাই করছিল। পরনে একটা হাত কাটা নাইটি। হাত দুটো তুলেছিল বলে বগলের লোম উন্মুক্ত হয়ে ছিল। হঠাৎ দুটো হাত এসে ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
এই তুই এত সকালে? রিয়া চমকে জিজ্ঞাসা করলো।
সকাল কোথায়। 11 টা বাজে। সাগর উত্তর দিল।
যাই হোক। তুই তো সকালে আসিস না খুব একটা।
হম আসি না। তবে আজ এলাম।
মা কোথায়? বেরিয়ে গেছে?
মামী গেলো বাজারে। মামী জাস্ট বেরোচ্ছিল আর আমি এলাম। ঘণ্টা খানেক এর মধ্যে ফিরবে বললো।
বাঃ। তা হঠাৎ সকালে কি মনে করে?
মানে টা কি? তোর কালকের এক্সপেরিয়েন্স কি রকম হলো জানতে হবে না?
ওহ। তাই বল। তোর তো শুধু ওই। হাসলো রিয়া।
সেই। নিজে করে আসলো। আমি নাকি শুধু ওই। বলনা কেমন করলি কাল?
রিয়া হাসলো। বলল..
দারুন।
সাগর রিয়া কে আরো জড়িয়ে ধরে বললো..
ব্যাথা নেই?
একটু একটু আছে। তবে অল্পই।
সাগর নাইটির ওপর থেকেই রিয়ার যোনি চেপে ধরলো। বলল..
কই দেখা। কতটা বড়ো হয়েছে ফুটো টা।
উফফ। ছাড় তো। এখন হবে না। রিয়া রাগ দেখলো।
দেখা না। প্লিজ।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।