FIFTEENTH

935 1 0
                                    

সন্ধ্যা বেলায় ঈশান বাড়ি পৌঁছল। কলিং বেল না বাজিয়ে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে বাড়িতে ঢুকে গেলো ও। ভাবলো যদি সুদীপা ঘুমায় তাহলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। ঈশান ওপরে এসে দেখলো যা ভেবেছে তাই। বাড়িতে আলো জ্বলেনি এখনো। তার মানে সুদীপা এখনো ঘুমোচ্ছে। ঈশান নিজের রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে। জমা প্যান্ট ছেড়ে ফ্রেশ হলো। তারপর একটা বারমুডা পরে রুম থেকে বেরিয়ে সুদিপার রুমের দিকে গেল। দরজা লাগানো ছিল। রুমে ঢুকে ঈশান দেখলো সুদীপা বালিশে হেলান দিয়ে পা গুলো মিলে টেবিল ল্যাম্প এর আলোয় একটা বই পড়ছে। কথা মত শুধু ব্রা আর পান্টি পরে আছে। ঈশান ঢুকতেই ওকে দেখে সুদীপা বললো..
কি রে কখন এলি?
এই তো একটু আগে। বাইরের আলো জ্বলছিল না। আমি ভাবলাম তুমি ঘুমাচ্ছো।
সুদীপা ঘড়ির দিকে দেখে বললো..
ইসস, দেখেছিস বই পড়তে পড়তে খেয়াল নেই একদম। অনেক দিন পর একটা বই পড়ছি। বেশ ভালো লাগছে। সময়ের হিসাব ছিল না।
ঈশান সুদিপার কাছে গিয়ে বিছানায় ওর পাশে বসলো তারপর ওর গলা জড়িয়ে ধরলো। সুদীপা অবাক হলো। বলল..
কি ব্যাপার? আজ এত খুশি? কি হয়েছে?
ঈশান আজ দুপুরের সব কথা বললো সুদীপা কে। সুদীপা সব শুনে বললো..
বাঃ। এতো ভালই হলো। তবে তুই ওর ব্যাপারে জেনে কষ্ট পাসনি?
ঈশানের বললো..
কষ্ট যে পায়নি সেটা বললে মিথ্যা বলা হবে। রাগ হচ্ছিল ওই ছেলেটার ওপর। যদিও ওদের দুজনের মতেই সব হয়েছে, তাও।
সুদীপা ঈশানের খালি পিঠে হয় বোলাতে বোলাতে বললো..
আরে ওসব কিছু না। ভালোবাসাটাই সব। শরীর ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার। মনটাই হলো আসল। রিয়া যখন নিজে তোকে সব জানিয়েছে, তার মানে ও তোকে ভালোবাসে। ওর মন টা তো তোর কাছেই আছে।
ঈশান বলে..
হুম। ঠিক বলেছো। কত লোকই তো দুবার তিন বার বিয়ে করে। একটা সম্পর্ক ভেঙে নতুন সম্পর্ক তৈরি করে। তারাও তো আগের জনের সাথে সেক্স করে। তাই বলে কি নতুন জনকে ভালোবাসতে পারেনা। নাকি নতুন জন তাদের মেনে নেয় না?
সুদীপা হাসলো। বলল..
এই তো আমার সোনা ভাই কতো বোঝে।
ঈশান সুদিপার গলা ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো। সুদীপা পা মিলেই বসেছিল। ঈশান ওর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো। তারপর বললো..
কিন্তু জানতো। রিয়া যখন আমাকে ওর আর সাগরের ব্যাপারে বলছিলো তখন আমার পেনিস হার্ড হয়ে গেছিলো। এরকম কেনো হলো বলতো? আমার তো কষ্ট পাওয়ার কথা।

Half WivesWhere stories live. Discover now