পরের মাসে একটা শুভ দিন দেখে ঈশান আর রিয়ার বিয়ে হয়ে গেলো। প্রথমে রেজিস্ট্রি, তারপর মন্দিরে বিয়ে। সব একদিনেই। খুব সামান্য আয়োজন। ঈশানের কয়েকজন বন্ধু আর রিয়ার বাড়ি থেকে ওর বাবা মা আর 4 জন খুব ক্লোজ আত্মীয় এসেছিল।মনোজ আর নন্দিতাও এসেছিল। রিয়ার পিসি রা কেও সাভাবিক কারণেই আসেনি। রাতে ঈশানের বাড়িতেই একটু খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। সব কিছু সম্পন্ন হলে রাতের বেলা সবাই বিদায় জানিয়ে চলে গেলো। রিয়ার বাবা মাও চোখে জল নিয়ে ঈশান আর রিয়াকে অনেক আশীর্বাদ করে বিদায় নিল।
সবাইকে বিদায় জানিয়ে সুদীপা ঈশান আর রিয়া ওপরে উঠে এলো। ঈশানের রুমেই ওদের ফুলসজ্জার বিছানা সাজানো হয়েছিল।
দীপা বললো…
তোরা আর দেরি করছিস কেনো। এবার যা। বিছানা তো সাজানোই আছে। শুরু করে দে। কনডমের কোনো অভাব নেই। যতো গুলো ইচ্ছা নিয়ে যা।রিয়া লজ্জা পেয়ে হেসে ফেলল সুদিপার কথা শুনে। সুদীপা ওর রুম থেকে 5-6 টা কনডমের প্যাকেট এনে ঈশানের হতে দিলো। ঈশান কনডম গুলো নিয়ে সুদীপা কে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোটে একটা চুমু খেল। সুদীপা বললো…
এই। তোর নতুন বউ এর সামনে এসব করতে লজ্জা করছে না? ওকে মন ভরে আদর কর আজ যা..
সুদীপা খুব সুন্দর করে সেজেছে আজ। শাড়ি, গয়না, প্রসাধনী তে অপরূপ লাগছিল ওকে আজ। ঈশান মুগ্ধ চোখে চেয়ে থেকে বললো…
কি অসাধারণ লাগছে তোমাকে আজ। এই প্রথম তোমাকে এই ভাবে দেখছি আমি। চোখ ফেরাতে পারছি না।
রিয়াও পাস থেকে বললো…
হ্যাঁ দিদি। সত্যি তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
সুদীপা দুজনের গালে চুমু খেল পরম আদরে। তারপর বললো…
থ্যাঙ্ক ইউ। এবার তোরা যা এনজয় কর।
সুদীপা কে শুভরাত্রি বলে ওটা দুজন ওদের রুমে ঢুকে গেলো। দরজা লাগলো না। দরজা লাগানোর কোনো প্রয়োজন ই তো নেই। সুদীপও নিজের রুমে ঢুকে পড়ল। শাড়ি গয়না খুলে, ফ্রেশ হলো। তারপর একটা নাইটি পরে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
আজ সুদিপার একটু একাই লাগছে। এতদিন ঈশানের সঙ্গ ওর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। প্রতি রাতে ঈশান ওর শরীরে লেপ্টে থাকতো। সারা শরীর জুড়ে ভালোবাসা এঁকে দিত। ওর শরীরের গভীরে প্রবেশ করে ওকে চরম সুখে ভরিয়ে দিত। কিন্তু আজ ওকে একাই ঘুমোতে হবে। রিয়া মেয়ে টা ভালো। কিন্তু যতই হোক আজ থেকে ঈশানের ওপর রিয়ার অধিকারই বেশি। ওর নিজের কি সত্যি কোনো দাবি আছে ঈশানের ওপর। শুয়ে শুয়ে এরকমই নানা কথা ভাবছিল সুদীপা। প্রায় মিনিট পনেরো পর সুদিপার দরজার সামনে রিয়া আর ঈশান এসে দাড়ালো। দুজনেই নগ্ন। সুদীপা ওদের দেখে অবাক হয়ে বললো…
কি রে। কি ব্যাপার? হয়ে গেলো এর মধ্যেই?
ওরা দুজনে ঘরে ঢুকে সুদিপার বিছানায় এসে বসলো। ঈশান বললো…
রিয়া তোমাকে কিছু বলতে চায়।
সুদীপা রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো..
বল সোনা কি বলবি?
রিয়া সুদিপার হাত দুটো ধরে বললো..
দিদি আমি চাই তুমিও ঈশান কে বিয়ে করো।
সুদীপা আরো অবাক হয়ে গেলো। বলল..
মানে? ওকে আমি কি করে বিয়ে করবো? ও তো আমার ভাই। তাছাড়া ওর সাথে তো তোর বিয়ে হয়ে গেছে।
YOU ARE READING
Half Wives
FantasyIts a insect bold story. Read it own your risk. 18+ গল্পটা একজন অজানা লেখকের, আমার ভালো লেগেছে তাই এখানে সংরক্ষণ করে রাখছি।