১০

557 30 1
                                    

আমি আবার, আর একটা বার
লেখা #AbiarMaria

১০

গাড়িতে উঠে আজমল আস্তে আস্তে বললেন,
"বলেছিলাম আমাদের সাথে আসার জন্য, আসলো না। বড্ড এক রোখা মেয়ে। তার উপর তোমাকে কল করেছে। আজকে মেয়ে পক্ষ না জানি কি বলে বসে! এভাবে লাফিয়ে চলে আসা কি ঠিক হলো?"
জিসান গাড়ি চালাচ্ছে, তার মাঝে আজমলকে বলল,
"চাচা, আপনার ফোনের কি হয়েছে?"
আজমল পকেট হাতড়ে ফোন বের করলেন,
"ঠিক আছে তো ফোন। কেন?"
"তরী বলছিল আপনার ফোনে নাকি লাইন ঢুকছিল না, এজন্য আমাকে ফোন দিয়েছে"
"এটা কোনো কথা নাকি? ফোন তো ঠিকই আছে। আরেহ, ওকে বারবার এখানে আমাদের সাথে আসতে বললাম, আসলো না। আজকে আসলে আর এই এক্সিডেন্ট হতো না। এভাবে একা থাকে কেউ? নীলু আছে নাহয়, তারপরও তো টেনশন কাজ করে আমাদের, নাকি?"
"নীলু কে?"
"ঐ যে মেয়েটা যাকে রেখেছে বাচ্চাদের দেখার জন্য। এক নাম্বারের ফাঁকিবাজ মেয়েটা! ওদের নীলুর কাছে রেখে চলে যায় অফিসে। বাচ্চাগুলো সারাদিন কি করে বাসায় কোনো খবর আছে? তোমার চাচী তো অস্থির হয়ে যায়। আমি নাতি হয়েছে একদম আমার ছেলের মত। আমাদের ইমু ছোট বেলা এমন দুষ্ট ছিল। আল্লাহ জানে ইশতিকে কোথায় রেখে গিয়েছিল! ও সিঁড়িতে গেল কিভাবে?!"
জিসান কোনো উত্তর দিল না। ও বুঝতে পারছে তরীর আজকে কি নাজুক অবস্থা হতে চলেছে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওরা দুজনে দৌড়ে বাড়ির দরজার কাছে যেতেই দেখল তরী ইশতিকে কোলে নিয়ে আছে, আর নীলুর কোলে তন্দ্রা। ইশতির চোখ জোড়া হালকা খোলা, রক্তের একটা ধারা ওর কপাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। তরী কায়দা করে ইশতির ডান পা কাঁদছে। জিসান আর ওর শ্বশুরকে দেখে নতুন করে কান্নায় ভেঙে পড়ল। জিসান ওকে গাড়িতে উঠতে সাহায্য করল। ইশতি ব্যথায় চিৎকার করে কেঁদে উঠল। তন্দ্রাকে নীলু আর ওর দাদার কাছে তরী জিসানের সাথে ইশতিকে নিয়ে রওনা দিল। ইশতি মাকে ধরে কাঁদছে, আর তরী ছেলেকে ধরে ফোঁপাচ্ছে। জিসানের ভেতর ভেতর অস্থির লাগছে, তবে সেটা সে প্রকাশ করল না। তরী যেমন অস্থির হয়ে আছে, ওকে শান্ত করতে হবে। কাছের হাসপাতালে ড্রাইভ করতে করতে প্রশ্ন করল,
"কি করে পড়ল ও?"
তরী ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলল,
"ও আইসক্রিম খেতে চাচ্ছিল। রেডি হয়ে একটু হাঁটতে বেরুব ভাবছিলাম। সিঁড়ির দুই ধাপ বাকি থাকতে আমার হাত থেকে হাত ছুটিয়ে নামতে গিয়ে উলটে পড়ে গেল ও। তিন ধাপ উপর থেকে বেকায়দায় পড়ে আমার ছেলের পা টা... "

আমি আবার, আর একটা বারWhere stories live. Discover now