গল্প করতে করতে কখন যে সময় কেটে গেল বুঝতেই পারি নি। দাদাও ফিরে এসে আমাদের সাথে হাসি ঠাট্টায় যোগ দিল। কথায় কথায় store roomএর কথাটা পুরোপুরি ভুলেই গেলাম।
Dinnerএর পর Jimin আর Jungkook তাড়াতাড়ি শুতে চলে গেল কারণ ওদের early morning practice আছে।
আমি চুপচাপ বসে রইলাম সোফায়। একা হতেই অনুভূতিগুলো যেন ঘিরে ধরলো আমাকে। এই বাড়িটা আমাকে যেমন অনেক খুশি দিয়েছে তেমনিই অনেক দুঃখের স্মৃতিও দিয়েছে। মায়ের কোলে নিশ্চিতের ঘুম যেমন এই বাড়ির স্মৃতি তেমনিই মায়ের চলে যাওয়াও। Yoongiএর সাথে পরিচয়ও যেমন এই বাড়িতেই হয়েছিল তেমন সাময়িক ছাড়াছাড়িও।
আচ্ছা! ওই ছাড়াছাড়িটা সাময়িক ছিল নাকি আমাদের সম্পর্কটা? হয়তো India গিয়ে সবকিছু ঠিক করার কথাটা ওর খামখেয়ালি ছিল। হয়তো বা আমাদের মধ্যে কোনো কিছু ঠিক হওয়ারই নয়।
Hoseok(আমার পাশে বসে):- এত কি ভাবছিস? ঘুমাতে যাবি না?
ভাবনায় এতটাই নিমজ্জিত ছিলাম যে দা'ভাইয়ের কথায় চমকে উঠলাম।
আমি:- হ্যাঁ যাবো তো।
দা'ভাই আমার মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে, back restএ গা এলিয়ে দিয়ে বললো, "Yoongiএর কথা ভাবছিস?"
আমি ওর কথা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম। দা'ভাই কি করে আমার দিকে তাকিয়েই বুঝে নেয় আমার মনের কথা?
Hoseok:- চিন্তা করিস না। ও যখন নিজের কাজ নিয়ে ডুবে থাকে, নতুন কোনো tune বা গান লেখে তখন এরমই করে। সারা দুনিয়া থেকে নিজেকে আলাদা করে নেয়। ওকে শুধু আমরা office কিচেনে খেতে আসতে দেখি। বেরিয়ে এলেও কারোর সাথে কোনো কথা বলে না। চুপচাপ খেয়ে আবার ওর sound স্টুডিওতে ঢুকে যায়।
আমি(ফিকে হাসি হেসে):- আমি তোকে কি একবারও Yoongiএর কথা জিজ্ঞেস করলাম?
Hoseok:- ওরে আমি তোর দাদা। তোকে তোর জন্ম থেকে দেখছি। আচ্ছা আমাকে একটা কথা বল! তুই Yoongiকে বলিস নি তুই এখানে আসবি?
আমি:- বলার সুযোগ পাই নি। যেদিন আমার application approve হলো সেদিন থেকে আমার ওর সাথে কথা হয় নি। তার আগে বাবা আর তুই ছাড়া কেউই জানতো না ব্যাপারটা।
YOU ARE READING
শেষ থেকে শুরু
Fanfictionকলেজে পড়া একটি মেয়ের সাথে K pop starএর প্রেমের গল্প এই গল্পে বাঙালিয়ানা, 18+ content এবং কিছু cringy ও অবাস্তব ঘটনা থাকবে। পুরোটাই গল্পের খাতিরে।