পঞ্চবিংশ ভাগ

62 3 0
                                    

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখটা লেগে এলো বুঝতেই পারি নি। আসলে আগের দিনের ধকল, অঝোরে কান্না, ঠিকমতো না খাওয়া-দাওয়া বোধহয় শরীর আর নিতে পারছিল না।

কতক্ষন ঘুমিয়েছি খেয়াল নেই। ঘুম ভাঙলো বাড়ির landlineএর রিংয়ের আওয়াজে। ফোনটা বাজতে বাজতে বন্ধ হয়ে গেল।

উফ! কেউ কি নেই ফোনটা ধরার জন্য?

আবার ফোনটা বাজতে শুরু করলো। বিরক্ত হয়ে উঠলাম বিছানা ছেড়ে। ফোনটা তুলে বললাম,"হ্যালো, কে?"

ফোনের ওপার থেকে আওয়াজ এলো, "আরে ঈশানি! আমি! Mi Cha!"

আমি:- ওহ হ্যাঁ বল।

Mi Cha:- বল মানে কি হ্যাঁ? তুই কি ভুলে গেলি আজ আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল?

আমি:- Sorry রে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।

Mi Cha:- তা এখন তো আমাকে ভুলবিই, আমি আর কে? কখন আসবি বল তো?

আমি:- আমি আসতে পারবো না রে। কাল রাতে মা মারা গেছে।

কথাটা বলতে গিয়ে গলার কাছে যেন কান্নাটা আবার দলা পাকিয়ে উঠলো। আমার কথায় Mi Cha আশঙ্কা, হতবাক মেশানো গলায় বললো, "কি? কিভাবে হলো এসব?"

আমি সব কথা ধীরে ধীরে Mi Chaকে খুলে বললাম। বলতে বলতে চোখটা আবার ভিজে উঠলো।

আমার সব কথা শুনে Mi Cha বললো, "তুই ঠিক আছিস?"

আমি:- জানি না রে, ভেবে দেখি নি।

Mi Cha:- ভালো থাকার চেষ্টা কর। আমি জানি যতটা বলতে সহজ লাগছে জিনিসটা এত সহজ ন। তাও তোকে এই সময় strong থাকতেই হবে।

আমি:- তোকে একটা কথা বলাই হয় নি। বাবা আর আমি India চলে যাবো আর এক সপ্তাহ পরে।

Mi cha কিছু বলার আগেই আমার পেছন থেকে আওয়াজ এলো,"কি?"

চমকে পেছন ফিরে দেখি Yoongi দাঁড়িয়ে আছে। Mi Cha ফোনের ওপার থেকে বলে চললো, "হ্যালো ঈশানি! শুনতে পাচ্ছিস? হ্যালো? হ্যালো?"

আমি:- তোকে আমি একটু পরে ফোন করছি।

বলে ফোনটা রেখে দিলাম।

আমি(ঢোক গিলে):- Yoongs, কখন এলে?

Suga:- ওটা তোমার না জানলেও চলবে। তুমি কি সত্যিই India চলে যাচ্ছ?

শেষ থেকে শুরুWhere stories live. Discover now