পাগলী ও ইউনিভার্স

32 5 4
                                    

একটা পাগলী মেয়েকে চিনতাম আমি।
একটা পূর্ণিমার সন্ধ্যেবেলায় ওকে
দুটো চিকচিকে চোখে আকাশের
তারা গুলোর দিকে তাকাতে দেখেছিলাম।
ওর ওই দৃষ্টিতে কি ছিল জানি না,
কিন্তু ঐ মুহুর্তে মনে হয়েছিল
যেন মেয়েটা তথাকথিত সর্বজনীন
তারাগুলোর‌ সমগ্র মালিকানা নিয়ে বসেছে ।

সত্যিই তো! তা না হলে,
এই ইলেকট্রিকের‌ আলোয় মোড়া শহরে,
তারায় ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে
ঘন্টার পর ঘন্টা মুগ্ধ হতে
এখনো কি কেউ পারে ?
সমস্ত আমরা-ওরার ভেদাভেদ নির্বিশেষে
এমন ক্ষমতা এখন তেমন কারোরই আর নেই।
এমনকি যারা সব ল্যাম্পপোস্ট গুলোর
উল্টোদিকের অন্ধকারে থাকে,
পূর্ণিমার আকাশটার দিকে একবার তাকিয়ে
দেখার কথা ওরাও‌ ভুলে গেছে।
গোটা শহরটাই যে এখন চাঁদের আলোর
মায়া ছিঁড়ে অনেকদূর চলে গেছে।

তাছাড়া আমরা দুজন সমবয়সী।
সমসাময়িক আর কারোরই
নেটফ্লিক্সের বেড়াজাল ভেঙে
ওপরের ছায়াপথে বিনোদন
খোঁজার ক্ষমতা যে নেই,
তা আমি ভালোই জানি...
সেই সন্ধ্যেবেলায় উত্তর কলকাতার বাড়ির
ছাদটায় বসে ওকেই আস্ত ইউনিভার্স
মনে হয়েছিল আমার।

না, আটকাইনি কোনদিন ওকে।
ব্রহ্মাণ্ডকে আগলানোর ক্ষমতা
যে আমার নেই...
শুনেছি ইউনিভার্সের কোনো
অন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না,
তেমনি এই গল্পটার পূর্ণতার জন্য
শেষের কোনো প্রয়োজন নেই...

এমন একটা গল্পWhere stories live. Discover now