১৯. যাত্রা

185 47 6
                                    

গ্রুপ চ্যাট থেকে কতগুলো মেসেজ নীরার মোবাইলে হানা দিল।

"আমি বাসা থেকে পারমিশন নিয়েছি... ভোর ৫:৩০ এ বের হবো।"
নীলা লিখেছে।

ইরা লিখেছে,
"এত সকালে বের হওয়া নিয়ে আব্বু-আম্মু আপত্তি করছিল... অনেক কষ্টে ম্যানেজ করছি।"

অরা লিখেছে,
"আমিও ঘ্যানঘ্যান করতে করতে রাজি করাইছি। বাবা- মা যে কেন এমন করে বুঝিনা।"

মীরা লিখেছে,
"আর আমার বাবা-মা বলার আগেই আমাকে পারমিশন দিয়ে দিছে। আমি বাসা থেকে বের হলেই মনে হয় তারা বেশি খুশি হয়।"

কায়রা লিখেছে,
"আমাকে কিছুই করতে হয় নাই। মিতুল-ই সব ঠিক করছে।"

নীরাও লিখল,
"তোরা সবাই থাকবে শুনে আব্বু আম্মু রাজি হইছে। ৫:৩০ এর আগেই কিন্তু সবাই কলোনির গেটের সামনে থাকবি।

_________________________

ভোর ৫ টা। প্রথমে এসে দাঁড়িয়ে আছে মীরা। তারপর আসলো কায়রা আর মিতুল। আর প্রায় সাথে সাথেই আসলো নীরা। একে একে আসলো নীলা আর ইরা। কিন্তু অরা তখনও আসলো না।

মীরা বলল,
-"জানতাম গাধাটা এমনই করবে। কোনদিনও সঠিক সময়ে আসছে? বাসায় গিয়ে দেখ ও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।"

-"কিন্তু আজকে কায়রা এত তাড়াতাড়ি আসলো কি করে? ও তো প্রায়ই দেরি করে।"কিরে অবাক হয়ে বলল।

কায়রা বলল,
-"আরে আর বলিস না.... সেই ভোর ৪:৩০ টার সময় মিতুল আমাকে টেনে টেনে উঠাইছে।"

নীরা বলল,
-"তাহলে তো মিতুলকে আমাদের সাথে নিয়ে ভালোই হইছে।"

মিতুলের মুখে তখন গৌরবের ছায়া দেখা গেল।

আরো দশ মিনিট কেটে গেল। অরার খবর নেই।

মীরা বিরক্তভরা মুখ নিয়ে বলল,
-"এই চল বাসায় চলে যাই বা, ওকে ছাড়াই ওখানে চলে যাই। নাহলে আজকে আর খুনিকে দেখা হবে না।"

মীরার কথা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল অরা ঝিমাতে ঝিমাতে আসছে।

মীরা ওকে দেখার সাথে সাথে বলল,
-"এই গাধা এত দেরি করছিস কেন?"

অরা চিৎকার করে বলল,
-"এত সকালে আসা যায়?"

এবার নীলা বললো,
-"তোরা আর ঝগড়া করিস না... তাড়াতাড়ি চল।"

চলবে...

দ্য এরা অফ্ লারা'স (𝐂𝐨𝐦𝐩𝐥𝐞𝐭𝐞𝐝 ✔︎)Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ