৩৮. আসল রহস্য

157 37 40
                                    

কিছুক্ষণের মধ্যেই নীরা জেগে উঠলো। নিজেকে  একটা চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করলো। মাথাটা তার তখনও ঝিমঝিম করছে। কোনো কিছু চিন্তা করতে পারছেনা সে। কোনোমতে নিচু করে থাকা মাথাটা উপরে উঠিয়ে দেখল তার সামনে নীলা একইভাবে বসে আছে। আর তারা একটা ল্যাবরেটরির মধ্যে আছে, যেখানে হরেক রকমের ছুরি, কাঁচি, ইনজেকশন আছে। বুঝতে বাকি রইল না এটাই সেই দুই তলা। সামনে বসে থাকা নীলার মাথা নোয়ানো বলে বোঝা যাচ্ছে না সে ঘুমোচ্ছে না জেগে আছে। কয়টা বাজে জানতে ইচ্ছে করলো তার। হাতেই আছে ঘড়ি, কিন্তু হাত পিছনে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে দেখতে পারছে না। তারপর এদিক ওদিক তাকাতেই দেখল দেয়ালে টাঙানো রয়েছে একটা ঘড়ি। কিন্তু সে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। সবকিছু ঝাপসা লাগছে। তারপর অনেকক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে আবার তাকিয়ে দেখল দুপুর বারোটা বাজে। যাক দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই পুলিশ এসে গেছে। মনে মনে ভাবলো সে।

আর ঠিক সেই সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেল সে। তাকিয়ে দেখল রুমে প্রবেশ করছে নিকিতা পার্কার। এখন আর সে কুঁজো হয়ে নেই। চেহারায় বার্ধক্যের প্রকাশ পেলেও আগের মত শারীরিকভাবে বার্ধক্য টা এখন আর প্রকাশ পাচ্ছে না। তার পোশাকে বাঙালি ঐতিহ্যের ছায়া সরে গিয়ে দেখা দিয়েছে আমেরিকান ঐতিহ্যের ছায়া। বিকৃত পার্কার কে আসতে দেখে নীলাও উপরে মুখ তুলেছে। তার মানে এতক্ষণ নীলা জাগ্রত ছিল, ভাবল নীরা। বেচারা নীলাকে হয়তো মারধর করেছে সে। কেননা তার চোখ মুখ ফুলে উঠেছে এবং মুখের দিক থেকে খানিকটা রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে।

নিকিতা পার্কার এসে মুচকি হেসে বলল,
-"আরে, তোমরা দুজনেই উঠে গেছো? কথা হয়েছে তোমাদের দুজনের?"

তারপর নীলা আর নীরা একে অপরের দিকে তাকালো। এতক্ষণে নীরার তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবটা অনেকটাই কেটে গেছে।
ও তীব্র প্রতিবাদ করে বলল,
-"কেন আপনি আমাদের এখানে বেঁধে রেখেছেন?"

নিকিতা অবাক হওয়ার ভান করে বলল,
-"তাহলে কি তোমাদের ছেড়ে দিব, যাতে তোমরা সবাইকে আমার কথা বলে বেড়াও। আমি কি এতই বোকা?"

দ্য এরা অফ্ লারা'স (𝐂𝐨𝐦𝐩𝐥𝐞𝐭𝐞𝐝 ✔︎)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang