৩০. প্রশান্তি

165 41 6
                                    

বাড়ির পথে ফেরার সময় ইরা বলল,
-"যাক এখন মনটা ভালো লাগছে..."

কায়রা অবাক হয়ে বলল,
-"কেন?"

ইরা বলল,
-"গতকাল নিকিতা দাদুকে মিথ্যা বলে খারাপ লাগছিল। তাই আজকে সত্যিটা বলার পর ভালো লাগছে।"

নীরা, ইরার কথা শুনে হেসে উঠলো।

ইরা রেগে গিয়ে বলল,
-"এই হাসছিস কেন? হাসির কী বলছি আমি?"

নীরা হাসতে হাসতে বলল,
-"নিকিতা দাদু! খুব আজব লাগলো শুনতে।"বলে আবার ও হাসতে লাগলো।

-"তুই যে কখন হাসিস, কখন কাঁদিস কিছুই বোঝা যায় না।"ইরা বিরক্তির সাথে বলল।

-----------------------------------------------

সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বাতাস বইছে। রিকশায় বসে নীলা আর নীরা সেই বাতাস উপভোগ করতে করতে যাচ্ছে।

-"আজ বাসায় ফিরার পর আমাদের ভাগ্যে খারাপই লেখা আছে।" নীরা মনমরা হয়ে বলল।

-"ঠিক বলছিস। কী বলবো বাসায় ফিরে?" নীলা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে নীরার দিকে তাকালো।

-"কি আর বলবো... বলবো সাইন্স প্রজেক্ট এর কাজ করছি।"

-"আবারও মিথ্যা বলব?"

-"কিছু করার নাই রে..."

-"বাবা-মাকে এতবার মিথ্যা বলা কি ঠিক হচ্ছে?"

-"আমরা তো আর ইচ্ছা করে মিথ্যা বলছি না। আমাদের কারণ আছে। আর এই কারণ তাদের বললে তারা আমাদের বাসা থেকেই বের হতে দিবে না।"

-"হুম! আর যদি শুনে আমরা সদরঘাটের কাছে আসছি তাহলে তো মেরেই ফেলবে।"

নীলার কথা শুনে হেসে ফেলল নীরা। বলল,
-"ঠিক বলছিস.... তবে একসময় না একসময় তারা তো জানতেই পারবে। মিথ্যা কখনো চাপা থাকবে না।"

-"ধুর, যা হবার হবে। আমি আর চিন্তা করতে চাই না।"

-"চিন্তা করিসও না। আমরা খারাপ কোনো কাজ করছি না। ভাল কাজই করছি। আর ভালো কাজ করার সময় এক-দুইটা মিথ্যা বললে কিছু হয়না। কাজ শেষ হওয়ার পরে না হয় সব স্বীকার করে নিব।"

-"কাজটা কি আমরা শেষ করতে পারবো?"

-"জানি না। চেষ্টা করব।"

তারপর তারা উভয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

সন্ধ্যার আকাশ দ্রুত অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। তারাও কী এই অন্ধকারে তলিয়ে যাবে নাকি অন্ধকার থেকে আলোর পথ খুঁজে পাবে, জানে না তারা।

চলবে...

দ্য এরা অফ্ লারা'স (𝐂𝐨𝐦𝐩𝐥𝐞𝐭𝐞𝐝 ✔︎)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang