দুপুরের খাওয়া শেষে সবাই একটা আয়েশের ঢেকুর তুলল। বলতে বাকি রাখে না পুরোই বাঙালি খাবার। এমন মজার রান্না ওরা ওদের নিজের পরিবারেও কখনো খায়নি।
খাওয়া শেষে বৃদ্ধা হেসে বললেন,
-"তোমরা মর্নিং শিফটে পড়ো, তাই না?"নীলা দ্বিধান্বিত স্বরে বলল,
-"জ্বি।"বৃদ্ধা এবার তাঁর মুখে লেগে থাকা হাসি বিস্তৃত করে বললেন,
-"তোমরা একটি সত্যি কথা আমাকে বলবে?"সবাই তাঁর দিকে ঘুরে তাকালো। তিনি বললেন,
-"আমি জানি তোমরা আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছো। প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। তোমরা কিন্তু নির্দ্বিধায় আমাকে বলতে পারো। আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারি। তোমাদের মতো বয়সে আমি আমার বন্ধুদের সাথে মিলে গোয়েন্দাগিরি করতাম। অনেক কেসও সলভ করেছিলাম। তোমরা আমার কাছে বলে দেখতে পারো সমস্যার ব্যাপারে। আর যদি না চাও, আমি জোর করব না।" বলেই তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।ইরা বললো,
-"না, না, দাদু। সেরকম কিছুই না। হ্যাঁ! আমরা আপনার কাছে একটা জিনিস লুকিয়েছিলাম। তবে আপনার কাছে বলতে রাজি আছি আমরা। আপনার সাহায্যও আমাদের প্রয়োজন। আর আপনি যদি আমাদের সাহায্য করেন আপনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।"বৃদ্ধা হেসে বললেন,
-"আরে কৃতজ্ঞ থাকার দরকার নেই। তোমরা যে বলবে তাতেই আমি খুশি। বুড়ো বয়সে কোনো কাজ পেলেই খুশি আমি।"নীরা বলল,
-"আসলে দাদু আমরা একটা খুনের রহস্যের কিনারা করতে এসেছিলাম।"-"খুনের রহস্যের!"বৃদ্ধার মুখে চিন্তার ছাপ দেখা দিল।
-"জ্বি! আপনি খবরের কাগজে পড়েছেন কিনা জানিনা, দুইবার বুড়িগঙ্গা নদীতে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।"নীরা স্পষ্ট ভাবে বলল।
বৃদ্ধা নিকিতা পার্কার দ্রুত মাথা নাড়তে নাড়তে বললেন,
-"হ্যাঁ! আমি পড়েছি। দুইটা বাচ্চার লাশ পাওয়া গেছে।"সবাই মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
কিছুক্ষণ থেমে তিনি বললেন,
-"কিন্তু এই রহস্য কিভাবে তোমরা ভেদ করবে? পুলিশই তো কোন কুল-কিনারা করতে পারলনা।
ВЫ ЧИТАЕТЕ
দ্য এরা অফ্ লারা'স (𝐂𝐨𝐦𝐩𝐥𝐞𝐭𝐞𝐝 ✔︎)
Подростковая литератураনীলার পাঠানো মেসেজটা পড়ে থতমত খেয়ে যায় নীরা। জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। কেউ নেই। মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে তার। ভাবে তাহলে কি এটা সত্যি যে নীলা ভবিষ্যৎ দেখতে পায় আর যা দেখেই সে নীরাকে মেসেজ পাঠায়। ...