বৃদ্ধ বিদেশি মহিলাটির বাড়িটি দোতলা। বাড়িটির অবস্থা জরাজীর্ণ। কিন্তু ভিতরটা অনেক সুন্দর। সাজানো-গোছানো। তিনি ওদের সবাইকে একতলার বসার ঘরে নিয়ে গেলেন।
বললেন,
-"তোমরা এখানে বসো। আমি তোমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসছি।"তিনি চলে গেলে ইরা ফিসফিসিয়ে নীরাকে বলল,
-"আচ্ছা.. আমরা এখানে কেন আসছি?"নীরাও অনুরূপভাবে জবাব দিল,
-"জানি না।"নীলা একইভাবে জিজ্ঞেস করল,
-"আমরা এখন কী করবো?"মীরা বলল,
-"তার কথা শুনবো। সে যেহেতু স্থানীয়, তার বাসাও প্রায় ঘটনাস্থল থেকে কাছে, সেহেতু তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাবে।"তারপর নীরা আড়চোখে পুরো বাড়িটা দেখে নিল। সে মনে মনে ভাবল, বিদেশি মহিলাটির নিশ্চয়ই বাংলাদেশপ্রীতি রয়েছে। কারণ তার ঘরের প্রত্যেকটি জিনিসই বাঙালি সংস্কৃতি বহন করে এবং ঘরের এক কোনায় বাংলাদেশের পতাকাও টানানো আছে।
কিছুক্ষণ বাদেই বিদেশী মহিলাটি নাস্তার ট্রে হাতে নিয়ে প্রবেশ করলেন।
তারা আনা নাস্তার প্রত্যেকটি বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত। চা, নাড়ু, মোয়া, মুড়ি, নিমকি সহ হরেক রকমের খাদ্যদ্রব্য।
সবাই উৎসাহ নিয়ে খেতে লাগলো।নীরা জিজ্ঞেস করল,
-"ম্যাম, আপনার পরিচয়ই তো জানা হলো না।"বিদেশি মহিলা ঈষৎ হাসলেন। বললেন,
-"ওভাবে আর ডেকো না। বিদেশি বলে আমাকে ম্যাম, মিস এসব ডাকবে না। আমি অন্য সব বাঙালি নারীদের মতই একজন, শুধুমাত্র আমার চেহারাটা ছাড়া।"-"তাহলে আপনাকে কি বলে ডাকবো?"অরার তাৎক্ষণিক প্রশ্ন।
মিতুলের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বৃদ্ধ মহিলাটি বললেন,
-"প্রথমে এই খোকাটি যেভাবে দেখেছিল, তোমরাও সেভাবেই ডেকো।"সবাই বিস্ময়ের স্বরে বলে উঠলো,
-"দাদু!!!"এবার তিনি হেসে ফেললেন। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললেন,
-"কেন, দাদু বলে ডাকতে পারবেনা? আরে চিন্তা করো না...দেশে আমার নাতিগুলো তোমাদের থেকেও বড় বড়। তোমরা তো বাচ্চাই।"
YOU ARE READING
দ্য এরা অফ্ লারা'স (𝐂𝐨𝐦𝐩𝐥𝐞𝐭𝐞𝐝 ✔︎)
Teen Fictionনীলার পাঠানো মেসেজটা পড়ে থতমত খেয়ে যায় নীরা। জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। কেউ নেই। মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে তার। ভাবে তাহলে কি এটা সত্যি যে নীলা ভবিষ্যৎ দেখতে পায় আর যা দেখেই সে নীরাকে মেসেজ পাঠায়। ...