সুত্রপাত

265 14 2
                                    

তেইহিয়াং কালো রঙের একটা জামা আর গেরুয়া রঙের একটা প্যান্ট পড়ে বসে আছে তার কোলে তার স্ত্রী কিম জাংকুক বসে আছে। একসাথে অনেক কথা বলছে তারা। হঠাত জাংকুক বলল
জাংকুকঃ বর
তেইহিয়াংঃ হুম বউ 
জাংকুকঃ আপনি আমাকে কখোনো ভুলে যাবেন না তো?
তেইহিয়াংঃ কি করে ভুলি বলো বউ সোনা।

শুনে অনেক লজ্জা পায় জাংকুক । বরাবরের মত স্বামীর বৃহত বক্ষে মুখ লুকায় সে। 

তেইহিয়াং অল্প হাসে বলে

তেইহিয়াংঃ নিজের ভালোবাসার মানুষকে কেও কখোনো ভোলে?। তুমি আমাকে কখোনো ছেড়ে যাবেনা তো সোনা?
জাংকুকঃ না। কখোনোই না। শুধু মনে রাখবেন আপনি যাইই করেন আপনার বউ সোনা আপনার পাশে আছে আপনাকে support করছে। 
তেইহিয়াংঃ অবশ্যই সোনা

আবার কিছু একটা বলার জন্য মুখ খোলে জাংকুক। কিন্তু এবার মিষ্টি গলার বদলে একটা বাচ্চা ছেলের কান্না শোনা যায়। তড়িঘড়ি করে উঠে বসে তেই। বোঝে এতক্ষণ সে যা দেখেছে তা নিছক স্বপ্ন। পাশে তাকিয়ে দেখে তার ২.৫ বছর বয়সি ছেলেটা কান্না করছে। ( well main part এ মিনজি এর বয়স ৪ বছর)  ঘুমের মধ্যেও সে তার ৬ মাস আগে হারানো মা কে খুজছে। দেখে বেশ খারাপ লাগে তেইএর। কোলে তুলে নেয় তার ছেলেকে। আর টেপ রেকর্ডারে জাংকুকের গাওয়া একটা গান ছাড়ে। গান শুনে বেশ শান্ত হয়েছে মিনজি। কিন্তু কান্না থামেনি। বোঝে সে ক্ষুধার্ত। ৬ মাস আগে মাকে হারানোর পর কোনো বেলাই ঠিক করে খাবার খেতে চায়না সে। এইতো তার বোন মোনালিসা জোর করে একটু খাওয়ায়। জাংকুকের মৃত্যুর পরে কেন জানিনা মোনালিসা অনেক  close হয়ে যাচ্ছে ওদের। ওকে অতোটাও পছন্দ করেনা তেই বা মিনজির কেও।কিন্তু কিছু তো করার নেই তাই না? যাই হোক এখন এসব ভাবলে চলবেনা। রান্না ঘরে গিয়ে অল্প একটু দুধ চুলায় দিয়ে উষ্ণ গরম করে নেয় সে। এরপর ফিডারে ভরিয়ে ছেলেকে খাওয়ায়। মায়ের গান শুনতে শুনতে আর দুধ খেতে খেতে কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়ে টের পায়না সে। এমনকি ছেলেকে খাওয়াতে খাওয়াতে কখন যে ছেলের বাবাও ঘুমিয়ে পড়ে তা ঠাওর হয়না 

শোধ বোধOù les histoires vivent. Découvrez maintenant