গোপন কুঠুরি

65 8 0
                                    

author P.O.V. 

তেই যে ফিরে এসেছে সেটা শুনে তেই এর মা অনেক খুশি হয়েছিলেন। তিনি বিলম্ব না করে ছেলেকে কল দিলেন প্রথমে কথোপোকথন মন্দ যাচ্ছিল না। কিন্তু তেই এর মেজাজটা চড়ে গেল ঠিক যখনই তিনি ওকে আবার বিয়ের কথা বললেন। কেন? বিয়ে করতে হবে কেন? বিয়ে না করা ছাড়া কি বাচ্চার যত্ন নেওয়া যায় না? কেন মা ছাড়া একজন বাচ্চা একটা সুষ্ঠ জিবণ পাবেনা? কিন্তু পরক্ষণেই যখন মিসেস কিম বললেন মা বাদে অন্য কেও সন্তানের মা হয়ে উঠতে পারেনা। আর যদি কেও চেষ্টা করে বুঝতে হবে তার খারাপ ইন্ধন আছে। 

আর কোনো উত্তর দেয় না। কল টা কেটে দেয় সে। তাহলে কি মোনা রো কোনো ইন্ধন আছে? সে কি সত্যি তাকে ভালবাসেনা? সেকি তাহলে অভিনয় করছে? 

বেশি কিছু ভাবতে পারেনা সে। 

দিনের বেলাটা খারাপ নয়। অফিসের কাজ থাকে, মোনার খোজ নিতে হয়, মিনজির খোজ নিতে হয় নিজের ও কিছু গোপন কাজ থাকে আবার নিজের গত স্ত্রীর জন্য ভালবাসা তেমন না থাকলেও দায়িত্ববোধ টুকু তো আছে । সে জন্য প্রার্থনা করতে হয়। কিন্তু রাতে তেই এর কষ্ট হয়। মন খারাপ হয় যায়। কেও পাশে নেই। নিজেকে মনে হয় একজন এতিম, যে কিনা রাস্তার পাশে কোনো এক বস্তির দরজার সামনে পড়ে আছে। 

দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে সে । একটা সিগারেট নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পড়ে। আজকে প্রায় ২ বছর হোলো এই তার অনেক বিশ্বাসী সঙ্গি গুলোর মধ্যে একটা। সিগাএটা শেষ করে ফেলে সে। কারণ সে অন্তত এটা ভোলেনাই যে তার জিবণে এমন একজনের আগমন ঘটেছিল যে কিনা সিগারেট সহ্য করতে পারেনা। নিজের অজান্তেই চোখ ২ টা একবার চকচক করে ওঠে তার। এরপর যাত ৩ তলায়। সেখানে একটা গোপন ঘর আছে। শুধুমাত্র তার কিছু বিশ্বস্ত bodyguard আর মালি বাদে কেউ জানেনা সেই ঘরে কি হয় না হয়। তাও ঠিক মতো জানে বোঝে কিনা সন্দেহ। 

যতই পুলিশ হোক আর যাই হোক ছোটো বেলা থেকে স্বপ্ন ফার্মাসিস্ট হবে, নতুন নতুন অসুধ বানাবে। সে আশা কি এত সহজে ঝেরে ফেলা যায়? তার অর্তমান টার্গেট হোলো মোনা। মেয়েটার যে কি হয়েছে। পাগলাটে আচরণ করছে। এটা কোনো ভাবে কি বন্ধ করে দেওয়া যায়? ভাবতে থাকে সে। এরপর প্রথমে কাগজে কি জানি হিবিজিবি লিখে । এরপর কিসব কি সব মিশিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করে ছেলেটি । 

প্রায় রাতভর কাজ করে সে ।কাল রবিবার। অফিসে যাওয়া বাধ্যতা মুলক না। হয়ত বেলা ১২টা বা ১ টার পর গেলে তেমন কিছু হবে না। তাই এই কাজগুলা করতে ভয় পায়না সে। আর এগুলা গুরুত্ত্বপুর্ণ কাজ।  না হলে তার সেই প্রথম স্ত্রির কিছু আশা অপুর্ণ থেকে যাবে...

তাহলে এখনো কি ছেলেটিকে সেই আগের মতো ভালবাসে সে? সেই ডাগর ডাগর চোখ ২ টা। সেই গোলাপের পাপড়ির মোতো গাল টা সেই বোতামের মতো ছোট্টো নাকটা আর স্ট্রবেরির মতো ঠোঁট টা। আর ফেরেশতার মতো গলার স্বরটা। ভেবে পায়না সে। 

তবে রাত পোহানোর পর কিছু একটা খুজে পায় বোধ হয় সে। তার ঠোটের কোন চিড়ে ফুটে উটজে এক অবোধগম্য হাসি। যে হাসির ব্যাখ্যা হয়ত এত সহযে বোধগম্য নয় । 

শোধ বোধWhere stories live. Discover now