প্রস্তাবনা

80 6 0
                                    

তেই P.O.V. 

সেদিনের পর সপ্তাহ ক্ষাণেক কেটে গেছে। ইদানিং হোলো মোনা বলতে গেলে আমার সাথেই থাকে। এর কারণ টা যে কি আমি বলতে পারিনা। আর আমার ব্যাস্ততার কথা নাই বা বলি। যে কেসটার কথা বলেছিলাম ওটার কিছু সাক্ষ্মি পেয়েছি। কিন্তু তারা মুখ খুলতে রাজি নন ব্যাপারটা এমন যে মাথা দেবে কিন্তু মুখ খুলবে না  

আমার মাথাটা বেশ গরম হয়ে আছে কিছু ভাল লাগছে না। এর মধ্যে মা আবার বলল সে নাকি আমার জন্য পাত্রি খুজবে জাংকুকের মা ই নাকি মেয়ে ঠিক করবেন। কি বড় এক খানা বিপত্তি। সত্য বলতে মাথা ঠুক্তে মন চাচ্ছে। এখন যদি আজরাইলো এসে আমাকে বল আমার জান কবজ করবে তাহলে তাকে জান কবজ করতে দেবার সময় টুকু পর্যন্ত আমার নাই। সেখানে কিনা আবার পাত্রি খোজা হুফ ভাল্লাগেনা। 

এই খটখটা মেজাজ নিয়ে বাড়ি গেলাম ঘরে ঢুকে দেখি আরেক কান্ড। মোনা আমার জামা পড়েছে ?! কেন? আমি বাদে আমার জামা পরবার অধিকার একমাত্র জাংকুকের ছিল। 

কিন্তু... কিন্তু মেয়েটাকে মন্দ লাগছেনা দেখতে। তার সাদা চিকন পা দেখা যাচ্ছে। এমনকি সে কোন রঙের অন্তর্বাস পড়েছে তাও দেখা যাচ্ছে প্রায় স্পষ্ট ভাবেই। দেখি সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মুখের ভঙ্গিটা কেমন যেন। অন্য রকম লাগছে ওকে। না চেহারা বদলায়েনাই ঠিকই কিন্তু অন্য রকম লাগছে। আমি তার কাছে যেতেই আমার ঘাড় গলিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিল সে। আমি বুঝলাম শরির ভাড়া করার খরচ টা তাহলে আমাকে করতে হবে না । 

এভাবেই কাটল বেশ অনেক দিন। মেয়েটার প্রতি মায়া পড়ে গেছে। বোধ হয় ওকে ছাড়া আমি আর থাকতে পারবনা। এখন আমি মোটামোটি নিশ্চিত যে আমি প্রেমে পড়েছি।

এরপর কিছুদিন পর মোনার ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হোলো। ওকে ওর বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। কারণ আমি এখন বুঝছি যে এখানে থাকলে ও খালি একটা কাজই করতে পারবে আর তা হোলো আমার দেহের জ্বালা মিটানো। আর তাছাড়া আমি একন দায়েসংদং এ খুব বেশি থাকিনা। উপর মহলের কিছু চাপ আছে কিছুদিন পরপর সিউল যাওয়া লাগে। এর মধ্যে একবার নর্থ কোরিয়া যাবার কথা চলছে। কি যে করি বুঝতেছিনা। 

দেখতে দেখতে নতুন বর্ষ এলো। মা কাকিমারা সবাই দায়েসংদং এ এসেছে। কি খেয়ে যে এসেছে কে জানে? এই জঘন্য জায়গায় কেও আসে? আমি কিন্তু এখনো অনেক ব্যাস্ত। ছেলেটা যত্ন নিতে পারিনা ঠিক করে । বউ এর কবরটাও দেখিনাই আজ কতদিন হোলো। আহ! কিছু কি করার আছে? না নাই। 

নববর্ষের পরপর মামাবাবু হার্ট অ্যাটাক করলেন। মাইনর হার্ট অ্যাটাক। জানালেন আর কদিন বাচেন না বাচেন তার তো আর নিশ্চয়তা নেই এবার মেয়ের বিয়ে দিবেন...

তিনি কি জানেন যে আমার আর তার মেয়ের এখন দহরম মহরম সম্পর্ক চলছে। আমার অপেক্ষায় তার ২ চোখের নিচে কালি পড়েছে। বোধ হয় না। এজন্যই আমাকেই বললেন আমার প্রেমিকার জন্য পাত্র খুজতে। 

হ্যা শুনতে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু কথা সত্য আমার প্রথম স্ত্রীর প্রতি আমার এখন যতসামান্য ভালবাসাই বাকি আছে। বাকিটা আমি ঢেলে দিচ্ছি আমার নতুন ভালবাসাকে। যে কিনা প্রকৃতপক্ষে আমার মামাত বোন হয় । 

শোধ বোধWhere stories live. Discover now