মধুচন্দ্রিমা

113 9 2
                                    

Tae P.O.V.

আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। এখান থেকে ১ যুগ আগে তাকে বউ করে ঘরে এনেছিলাম আমি। আর বিয়ের ৫ বছর পর সে আমাকে তার সতীত্ত্ব উপহার দিয়েছিল। সেদিনের কথা এখনো মনে আছে আমার। তখন ওর বয়স সবে ১৬ পার হয়েছে। স্কুলে ওকে কে কি বলেছে কে যানে। তার ধারণা হয়েছিল যে আমি যদি তাকে সত্যি ভালবাসি তাহলে তার সাথে সহবাস করতে হবে। তাই বিয়ের ৫ বছর পুর্তিতে সে আমাকে তার সতীত্ত্ব দিয়েছিল ।

সেদিন আমি ঘরে ঢুকে দেখি সে আমার জামা পড়ে আছে। সে বরাবরই আমার জামা পড়তে ভালোবাসত। তাই আমি ওকে কিছু বলতাম না। তার মতে আমি তার পাশে না থাকলে আমার জামায় আমার সুবাস তাকে safe feel করায়। কিন্তু আজকে জামা পড়াটা যেন অন্য দিনগুলার মতো নয়। নিচে সে অন্তর্বাস পর্যন্ত পড়েনাই। আমার জামা তার উরু অবধি পৌছেছে।

আমি ঘরে ঢুকতে সে আমাকে জরিয়ে ধরল । বলল

জাংকুকঃ বর আপনি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসেন তবে তা প্রমাণ করেন।

এরপরে কি হলো তা এক যুগল স্বামি স্ত্রীর একান্ত ব্যাক্তিগত কথা। তবে এটা বলতে পারি যে এরপরের ২/৩ দিন সে ঠিক করে হাটতে পারেনাই। এরপর থেকে আমি অনেক কামেত্তিজিত হয়ে গেলাম। অল্পতেই আমার ওকে প্রয়োজন হত। এমন কি দিনে ২/৪ বারও। সে জন্যই বোধ হয় আমার খাট আমার stamina ১ মাসের বেশি সহ্য করতে পারল না। একদম ভেঙ্গে গেল সেই খাটটি।

আমাদের মধুচন্দ্রমা মুলত হয়েছিল বিয়ের ৮ বছর পর। তখন বুসান সমুদ্র সৈকত সব সময় মানুষে ভিড়ে মো মো করত। আমাদের মধুচন্দ্রিমা সেখানেই ঠিক করা হলো। কিন্তু সমস্যা হোলো আমরা সমুদ্র সৈকত যাব শুনে বাড়ির ছেলেপেলেরা জিদ করতে থাকল যে তারাও যাবে সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু এটা তো মধুচন্দ্রিমা তাই না? আমি কিছুতেই রাজি হলাম না। কিন্তু ওদের হাতে যে ওদের ভালবাসার বউমণি অর্থাৎ জাংকুক আছে তা আমি ভুলি কি করে? তারা মিলে তাদের বউমণি কে রাজি করাল। এরপর সে আমার কাছে এসে অনেক জোরাজোরি করতে লাগল। তাকে দেখে প্রথম খারাপ লাগলেও মনকে শান্ত করলাম। পরে একটা deal এর মাধ্যমে কথা ঠিক হলো এই যে আজ থেকে শুরু করে বুসানে যাওয়া পর্যন্ত । এমনকি সেখান থেকে ফেরা পর্যন্ত আমি যখনই চাব তাকে ভালবাসব এবং সে আমাকে না করতে পারবে না।

আমি ভেবেছিলাম সে না করবে। কিন্তু সে রাজি হয়ে গেল।
আমি ওকে একটু বিরক্ত করার জন্য বললাম চলো এখনি করি। সে একবারের জন্যও না করল না। বুঝলাম কামেত্তিজিত আমি একা হইনি বরং সে ও হয়েছে।
২ দিন পর আমাদের গাড়ির টিকিট কাটা হোলো। আমরা সবাই হই হই করতে গেলাম। এমনকি মামাবাবু আর মামাবাবুর মেয়ে মোনালিসা ও মামীও গেলেন।
২য় দিন সকাল বেলা আমরা নাস্তা করার জন্য বের হয়েছি। দেখি আমার ৩ বছর ৫ মাস বয়সী চাচাতো ভাই ফাল পেড়ে কান্না করছে। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করতে সে চেচিয়ে বলল ' তুমি একটা রাক্ষস। তুমি বউমণিকে মারো।'
কি আশ্চর্য। কি বলে এসব? আমি মারি আমার বউসোনাকে? তা কি করে সম্ভব?
'তা। তা তুমি কি করে জান?' জিজ্ঞাসা করলাম আমি। সে যা বলল তাতে বড়রা হাসল বাচ্চারা আরো বোকা বনে গেল আর আমি ও আমার বউ আরো যতটুকু লজ্জা পাওয়া বাকি ছিল তা পেলাম। এতটা শরম করতেছিল তা ভাষায় বলা অসম্ভব।
ট্যুরে অনেকে অনেক কিছু করেছে। আর আমি যা করেছি তা হোল বিছানাতে আমি ঠিক কতটা wild হতে পারি তার সব ধরণের সম্ভাবনা আমার স্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এহেম শুধু যে বিছানায় তা নয় আরকি। এই কথা বললে ওই ট্যুরে ঘটা একমাত্র বিশেষ ঘটনা এটা।
সেদিন সকাল থেকে আমরা কেওই হোটেলে আসিনি তাই বউটাকে ভালোবাসার সুযোগটাও পাইনাই। বিকালে যখন আমরা সমুদ্রে নেমেছি তখন জাংকুক আমার একটা টি শার্ট আর ওর একটা হাফ প্যান্ট পড়ে ছিল। ও যে ধব ধবে সাদা সেদিকে কোনো সন্দেহ নেই। এর উপরে তার সেই চকচকে ত্বকের উপর মিষ্টি রোদের স্পর্শ।  আহা। তা কি ignore কথা রা যায়??
আমি একটু কায়দা করে ওকে নিয়ে একটু দূরে, যেখানে লোকের ভিড় কম সেদিকে গেলাম। বড়রা হয়ত বুঝেছিল আমি একটু আলাদা হতে চাচ্ছি। তাই বাচ্চারা পে পে করা সত্ত্বেও ওদেরকে আমাদের কাছে আসতে দিলনা। এরপরে আমি যা করলাম তা বোধ করি আমাদের মাঝে মিনজি আসার একমাত্র কারণ।
হ্যা আমরা সমুদ্রের মধ্যেও সহবাস করেছি।
শুনতে অদ্ভুত লাগে কিন্তু আমরা করেছি। আর সেদিন ই নিরোধোকের অভাবে আমার প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর গর্ভে আমাদের প্রথম ও একমাত্র সন্তান মিনজি এর আগমন ঘটে।

শোধ বোধTempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang