সঙ্গী

90 6 0
                                    


 তেই P.O.V. 

আজকে মিনজি কে সিউলে রেখে এসেছি। এখানে ওকে রাখাটা ঠিক না। আমি এখানে অনেক ব্যাস্ত থাকি। ওকে যা দেখা শোনা করার মোনালিসাই করে। ও বা আর কত করবে? ও তো আর মিনজির মা না তাইনা? মা ছাড়া কি কেও পারে নিঃশ্বার্থ ভাবে একজন সন্তানের দেখভাল করতে। পারলে এরপরে যে পারে সে স্ত্রী ব্যাতিত অন্য কেও নয়। 


আজ অনেক দেরী হয়ে গেল ফিরতে। বাবুর্চি ঘুমিয়া গেছে হয়ত আরো ঘন্টা ২ আগে। মোনালিসাকে কি একবার কল দিব? ওকি বিরক্ত হবে? হওয়াটাই স্বাভাবিক না সে আমার মা না সে আমার স্ত্রী। 

ভাবতে ভাবতে তালা খুলে ভেতরে ঢুকলাম। ওমা। একি? দেখি খাবার টেবিলে হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে মোনালিসা। ও এখানে এত রাতে কি করে? আস্তে করে ওর পাশে গিয়ে বসলাম। ওর মাথায় হাত বুলাব ভেবে হাত রাখলাম আমার স্পর্শে ধরফর করে উঠে বসল সে। 

তেইঃ কি ব্যাপার তুমি এখানে এত রাতে কি করছ?
মোনাঃ (বিঃদ্রঃ এখন থেকে মোনালিসাকে মোনা লিখব -_- মোনালিসা অনেক বড় নাম) ওহ তুমি! কখন এলে?
তেইঃ এই তো এই মাত্র। কিন্তু তুমি কি কর?
মোনাঃ তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেই কখন বেরিয়েছ। পথে কিছু খেয়েছ কি খাওনাই কোনো হিসাব নাই। তাই আরকি। 
তেইঃ ওহ আচ্ছে... তা রান্না গুলা কে করেছে? তুমি?
মোনাঃ জ্বি। তু...তুমি একটা কাজ করো গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো আমি খাবার গুলা সার্ভ করি। 

হু বলে মাথা নেড়ে উপরে উঠে এলাম আমি। সব হিসাব এলমেল হয়ে যাচ্ছে। ওকে এভাবে আমার জন্য বসে থাকতে দেখে মন ভারী হলো কেন আমার? কেন মনে হোলো জিবণে নতুন কিছু আসতে চলেছে? তবে আমি কি আর জাংকুককের ভালবাসিনা? আমি কি মোনার প্রেমে?! ভাবতেই জিহব কাটলাম আমি। না তা হতে পারেনা। 

উফ মফস্বলে এই এক বিপত্তি। বিদ্যুতের কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। ভাবতে ভাবতে এসে খাবার টেবিলে বসলাম। দেখি মোনা ৫ টা মোম্বাতি জ্বালিয়েছে। বেশ না। চাইলে এখন প্ল্যাঞ্চেট করে জাংকুকের আত্মা কে ডেকে আনা যাবে। নিজের ভাবনা ভেবেই হাসি পেল আমার। এই সমস্ত গাজাখুরে কথা ববে থেকে বিশ্বাস করি আমি? ও হ্যা ভালো কথা মনে পড়েছে। গাজা। 

সম্প্রতি এই এলাকায় অনেক গাজার আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। আর কেসটা পড়েছে পড়েছে আমার কাধেই পড়েছে। 

দির্ঘ নিঃশ্বাস নিতে মনে পড়ল আমি খাবার টেবিলে আর মোনা আমার খাবার বেড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ আমাত এখন খাওয়া উচিত। কোনো শব্দ না করে খেয়ে নিলাম আমি। এরপর হাত ধুয়ে বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। জাংকুক সিগারেট সহ্য করতে পারত । ও থাকলে যে এখন কি করত? কে জানে? ওকে খুব মিস করছি। মনে হয় একটা শরির ভাড়া করা দরকার। গায়ে জ্বালা ধরছে কেন জানিনা। আচমকা অনুভব করলাম কে যেন জরিয়ে ধরেছে আমাকে। তার নরম হাতের কোমল স্পর্শে বুঝলাম এটা মোনা। 

একটা কিছু ঘুরুছে মাথায়। কিন্তু সব কিছু বলা যাইয় কি? না। সব কিছু বলা যায় না। তাহলে কৌতুহল শব্দটার অপমান হবে। 

তেই P.O.V . শেষ। 

মুখে একটা দুষ্টু হাসি দেখা যাচ্ছে। তেই এরো আর মোনালিসারো। 





পরের পর্বে কি হতে পারে? কোনো  ধারণা আছে?? 

শোধ বোধWhere stories live. Discover now