দূরত্ব?

66 7 0
                                    


author P.O.V. 

সেদিনের পর পার হয়ে গেছে প্রায় ২ টা মাস। এর মধ্যে তেইহ্যাং অনেক ব্যাস্ত হয়ে গেছে। সে ঘুনাক্ষোরেও বোঝেনাই যে তার জিবণের প্রথম কেসটা এত জটিল হবে। এর উপরে গাজার কেস এইটা। বোঝাই যাচ্ছে অনেক ঝামেলা পুর্ণ ।  মাস ২ কোথাও খুজে পাওয়া যায়না তাকে। যাবার আগে খালি একটা কথা বলে গেছিল সে। বলেছিল সে কই যাবে কেন যাবে তা সম্পর্কে detail idea তার নিজেরই নাই। কবে ফিরবে তাও বলে যায় না সে।


অন্যদিকে মোনালিসার অবস্থা ভাল না। ঘুমের মধ্যে খালি ভুলভাল বকে সে। যদিও তেই যাবার আগেই ওর অবস্থা ভালো ছিল না। তাই সে তার একজন body guard  এর কাছে মোনাকে রেখে গেছে। কি যে হয়েছে মেয়েটার কে জানে? এর মধ্যে  body guard  এর ছোট্ট মেয়ের শরীর ভাল না। না তার অশুখ হনাই। বরং সে জন্ম বোবা ও কালা। তবে  doctor বলেছেন operation  করলে সুস্থ হবার একটা ক্ষীণ সম্বাভনা আছে। কিন্তু সেজন্য চাই অনেক টাকা। প্রায় কোটি ক্ষানেকের মতন। 


একদিন কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল মোনা। সে যতই অসুস্থ হোক class miss দেবার মতো মেয়ে সে নয়। কিছুদূর আসতেই সে দেখে রাস্তায় তেই দাঁড়িয়ে আছে। গ্রামের মানুষদের সাথে কি যেন বলছে। ছুটে যায় সে তার কাছে। কাওকে তোয়াক্বা না করে জরিয়ে ধরে তাকে। 


বলে ওঠেঃ" কই... কই ছিলা তুমি এতদিন? নিজের প্রেমিকা আর সন্তান কে ফেলে কেও যায় এভাবে? ক... কবে আসছ তুমি? কি হোলো কথা বলোনা কেন?


প্রায় পাগলের মতো ব্যাবহার করছে সে। তেই এর কিন্তু কোনো হাব ভাব নেই। সে এমন ভান করছে যেন মেয়েটির অস্বাভাবিক ব্যাবহার হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে যেন জানত এমনটা হবে।  শুধু একবার ঠান্ডা গলায়  constable  পার্ক কে বলে ঃ"constable পার্ক। ওকে ওর বাড়ি পৌছে দেবার ব্যাবস্থা করুন। আর আমি অফিসে যাচ্ছি ওকে রেখে অফিসে আসুন কিছু কথা আছে। " বলে sunglass  টা চোখে চড়িয়ে দিয়ে গ্রামের অন্য প্রান্তে যেতে থাকে সে। ব্যাপারটা কিন্তু একদমই ভালো লাগেনা মোনার after all  সে তেই এর প্রেমিকা। আর প্রায় ২ মাস পর তাদের দেখা হয়েছে। এদিকে বাবা একের পর এক ছেলে দেখে চলছে। সে কি এই ব্যাবহার টা আশা করেছিল তার মনের মানুষের কাছ থেকে? 

যাকে সে এতটা ভালোবাসে। সেই ছোট্টো বেলা থেকে। যখন সে বুঝেছে ভালবাসা কি তার  চোখের সামনে শুধু একটা চেহারাই ভাসত আর সেই চেহারা মালিক কিম রেই তেইহিউং বাদে কেউ নয়। আর যার জন্য সে যেকনো কিছু করতে পারে এমনকি মানুষ মেরে ফেলতে দ্বিধা করেনা সেই মানুষটা তার সাথে এই ব্যাবহার করল? মেনে নিতে পারে না সে। নিজেকে নিজের কাছেই পাগল পাগল লাগছে তার। কিন্তু বলেনা। ভয় পায় সে। যদি আরও পাগলাটে কিছু একটা করে বসে । সেই ভয়।



এর মধ্যে তার ভয় বেড়ে গেছে বহুগুণ। সে ইদানিং অনেক ভয় পায়। বিশেষত রাতে। আর দুপুরে। ঠিক যেই সময়টায় জাংকুক মারা গেছিল বেলা ৩ টার সময়। অনেক জিবিজিবি কি জানি স্বপ্ন দেখে সে আর কি উলটাপাল্টা বকে সে। মা বলেছিল সেদিন তাকে 

শোধ বোধWhere stories live. Discover now