part -1

955 29 8
                                    

"প্রথমদিন কলেজে এসে তোমাকে খুব ভয় পেয়েছিলাম " - মেঘলা  ।
"এখন পাসনা? " - অভীক  ।
"না , এখন আর ভয় লাগে না এখন খুব ভালো লাগে । "- মেঘলা
অভীক অবাক হয়ে মেঘলার দিকে তাকায়  । যেখানে সবাই ওকে ভয় পায় সেখানে মেয়েটা নিশ্চিন্তে ওকে এসে বলছে যে অভীককে ওর ভালো লাগে , অবশ্য অভীকও মনে মনে এটাই চেয়েছে ।
"তুমি যখন রিভাদিকে বলেছিলে আমার স্টাডিতে হেল্প করতে , তখন আমি বুঝতেই পারিনি তুমি কেনো এসব করছো ।  " - মেঘলা ।
"এখন বুঝতে পেরেছিস ? " - এই বলে অভীক একটা সিগারেট জ্বালায় ।
"তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলছো না কেনো অভীক দা । উল্টো দিকে তাকিয়ে আছো কেনো?  " - মেঘলা ।
"বললি না তো , এখন বুঝেছিস কেনো পাঠিয়েছিলাম তোর কাছে ? " - অভীক ।
"হ্যাঁ বুঝেছি , রিভাদি আমাদের আগের ব্যাচ এর টপার , তুমি চেয়েছিলে আমার পড়াশোনা ভালো  হোক তাই । সাথে আরো অনেক কিছু বুঝেছি ।   "- মেঘলা ।
"কি বুঝেছিস ? " - অভীক।
"সে সব ছাড়ো , তুমি জানো ক্যাম্পাস এর অনেক মেয়েই তোমার পাঞ্জাবি পড়া লুকে ফিদা । " - মেঘলা ।
মেঘলার এমন কথায়  অভীক মৃদু হাসে ।
"হাসছো যে বরং ... আমি সত্যি বলছি ..."
"তুই  এইসব বলার জন্য আমাকে এখানে ডাকলি ? তুই জানিস আমার কত কাজ থাকে । " - অভীক ।
"এতই যখন কাজ থাকে তাহলে আমার জ্বর হওয়ার সময়  তুমি তিনদিন নিজের কাজকর্ম ছেড়ে  ওরকম  ছোটাছুটি করার সময় পেলে কি করে ? "
মেঘলার মুখে এই কথাটা শুনে অভীক থ।  হাতের সিগারেটটা ফেলে মেঘলার চোখের দিকে  তাকায়  "তুই কি করে জানলি ? "
মেঘলা হেসে বলে "তুমি কি ভাবলে , এই দেড় বছর ধরে তুমি আমার জন্য এত কিছু করে যাবে আমি টের পাব না । ফার্স্ট ইয়ার থেকেই দেখছি  আমার কোনো সমস্যা হওয়ার আগে সমাধান বের করার জন্য হয় তুমি আসো নাহলে কাওকে পাঠিয়ে দাও । Second year থেকে third year হতে চললো কখনো ক্যাম্পাসে কোনো সমস্যা হয়নি আমার , ক্যাম্পাসের বাকি মেয়েদের ছেলেরা অতিরিক্ত বিরক্ত করে কই আমাকে বিরক্ত করার তো কখনো কেও সাহস দেখায়নি । আমি জানি তুমি ছিলে বলেই ...বহুদিন অপেক্ষা করে আছি অভীক দা , এবার বলে দাও প্লিজ ..... "
অভীক থতমত খেয়ে মেঘলার দিকে তাকায় । তারমানে মেঘলা সব জানে ? মেঘলার প্রতি অভীক কতটা দুর্বল সব জানে মেঘলা।
অভীক তোতলাতে তোতলাতে বলে "ক কি ? "
মেঘলা বলে "কলেজের ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আমার সামনে তোতলাচ্ছে ... কতটা লাকি আমি ... ছাড়ো তুমি বলতে পারবে না আমি জানি তাতে তোমার গাম্ভীর্য খোয়া যাবে । আমিই বলছি ...  আই..."
মেঘলা বলতে গেলে অভীক ওর মুখ চেপে ধরে । "চুপ ... একদম চুপ..."
মেঘলার চোখের কোনায় জল । ও বলে "নিজেও বলবে না , আমাকেও বলতে দেবে না ? তাহলে এত ভালোবেসে কি লাভ অভীক ? রোজই তো  স্কুটিতে করে কলেজে আসি , হতে পারে একদিন pg থেকে বেরোলাম ঠিকই কিন্তু কলেজে আর পৌঁছাতে পারলাম না । তখন কিন্তু পস্তাতে হবে তোমায় ।  হয়তো তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শব্দটা শোনার আগেই মরে...."
"না .... ঠাস করে একচর মারবো তোকে আমি । খালি বাজে বকা না , খুব সাহস হয়েছে তোর। "
অভীক চিৎকার করে ওঠে । মেঘলা অভীককে অবাক করে দিয়ে ওকে  শক্ত করে জড়িয়ে ধরে  বলে " কলেজের সবথেকে রাগী ছেলেটার চোখে জল., কেনো? ... , একবার বলোনা প্লিজ .... প্লিজ বলো.... খুব করে শুনতে চাই আমি  , বলো না ... মেঘলা আমি তোকে ভালবাসি ।  "
অভীক কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে "হ্যাঁ বাসি, খুব বাসি..... সেই প্রথমদিন থেকে তোকে ভালোবাসি । কেউ তোর দিকে হাতবাড়ালে হাত ভেঙে দেবো তার আমি ।  "
মেঘলা অভীককে জড়িয়ে ধরেই ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে "এতো ভালোবাসো যখন তাহলে বলে পারছিলে না কেনো ?"
অভীক মেঘলাকে দুইহাতের মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে বলে "ভয় পাচ্ছিলাম । আমার ওপর অনেকের অনেক রাগ । তার যদি তোর কোনো ক্ষতি করে দেয় । "
মেঘলা বলে "তুমি থাকতে এক আমাকে ছুঁতেও পারবে না । "
মেঘলা মাথা উঁচু করে অভীকের চোখের দিকে তাকায়।  অভীক ওর থেকে অনেকটাই  লম্বা । মেঘলার উচ্চতা অভীকের থুতনি পর্যন্ত । মেঘলা অভীকের ঘাড়ের পেছনে হাত রেখে ওর মাথাটা খানিক নিচু করে ওর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয় । অভীক শন্ত ভাবে মেঘলার নিচের ঠোঁটটা চুষতে থাকে , মেঘলার জিভটা নিজে মুখের মধ্যে নিয়ে স্মুথলি চুষতে থাকে । অভীকের হাত হাত নেমে আসে মেঘলার কোমরে । মাঝে মাঝে অভীকের দাঁত  বসে যায় যাচ্ছে মেঘলার ঠোঁটে । চুম্বন গভীর হতে থাকে ।

কিছুক্ষন পরে দুজন দুজনকে ছেড়ে দেয় । অভীক মৃদু হেসে বলে "আমি তো তোকে ছোট ভাবতাম .... তুই তো দেখছি ....."
মেঘলা লাজুক হেসে বলে "ভালোবাসার মানুষের কাছে ছোট সেজে থাকলে হবে ?"
অভীক ওর হাত ধরে বলে "একটু সামলে থাকিস । প্লিজ..."
মেঘলা বলে "তুমি আমাকে নিয়ে ভেবো না । আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না ।  I love you..."।
অভীক ওকে জড়িয়ে ধরে বলে "I love you too.."

(ক্রমশ)

প্রেমিকা Where stories live. Discover now