Part - 32

170 7 1
                                    

32/"রুম ভাড়া  এক রাতের 2400 দিতে হবে বলছে । আমার কাছে তো অত টাকা নেই । আমাকে ফিরতেও হবে । তুমি এখন রুম ভাড়াটা দিয়ে দাও । আমি ব্যাঙ্গালোর ফিরে তোমায় টাকা সেন্ড করে দেবো ।  "
সুজয়ের মুখে এমন কথা শুনে অঞ্জনা ওর মুখে মুখে তাকায় । আমতা আমতা করে বলে "আ আমি ..  কিন্তু আমি তো অত টাকা আনিনি । এক মিনিট দাড়াও আমি অ্যারেঞ্জ করছি ।  "
অঞ্জনা মেঘলাকে ফোন করতে  গিয়েও থেমে যায়।  কারণ ও জানে অভীককে  নিয়ে প্রশ্ন করায় মেঘলা ওর ওপর খুব খেপে আছে । অঞ্জনা মনে মনে বলে " আমাকে ক্ষমা করে দে মেঘা । আমি অমন করতে চাইনি রে । ” তার পর অনেক ভেবে রিভা কে ফোন করে ।
"হ্যালো রিভা দি , আমাকে দু হাজার টাকা দেবে গো । আমি কাল বা পরশু দিন তোমায় দিয়ে দেবো ... Thank you didi..  "
রিভা টাকা সেন্ড করলে অঞ্জনা payment করে ঘরের চাবিটা নিতেই সুজয় ওর হাত থেকে চাবিটা নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটতে থাকে ।  অঞ্জনা ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবে "সুজয় ব্যাঙ্গালোর থেকে আমার সাথে দেখা করতে এলো পকেটে মাত্র এক হাজার টাকা নিয়ে ? যেখানে ও জানতো আমরা রুমে থাকবো । এটা কি সত্যিই অনিচ্ছাকৃত... ? "
হঠাৎ অভীকের কথা মনে পড়ে অঞ্জনার , অভীক যখন চাকরি পায়নি তখনও মেঘলা কিছু খেতে চাইলে মেঘলার সাথে সাথে মেঘলার বন্ধুদের জন্যও জিনিস পাঠাতো ভরে ভরে ।  অঞ্জনা  আর বেশি না ভেবে এগিয়ে যায় ।

"খাবো না আমি , খেতে ইচ্ছে করছে না প্লিজ জোর কোরো না আমায় ... "
মেঘলা অভীক এর গলা জড়িয়ে ধরে না খাওয়ার জন্য বায়না করছে । এদিক অভীক রুটির টুকরো হাতে নিয়ে "এটা লাস্ট বাইট , এটা খেয়ে নিলে আমি আর তোকে জোর করবো না প্রমিস... "
অভীক বুঝিয়ে শুনিয়ে মেঘলাকে  রুটির বাকি অংশ টুকু খাইয়ে দেয় । জল খাইয়ে ওর মুখটা মুছে  দিয়ে বলে "তুই চাদরটা গায়ে নে । আমি থালাটা ধুয়েই আসছি । "
অভীক রান্না ঘর থেকে শোয়ার ঘরে এসে দেখে মেঘলা উপুড় হয়ে বুকের কাছে হাঁটু ভাঁজ করে ব্যাঙের মত পরে আছে আর মুখ দিয়ে "উহু " আওয়াজ করছে ।
অভীক মনে মনে বলে "খুব কষ্ট হচ্ছে ওর , কি করবো আমি ? "
অভীক ওর কাছে গিয়ে ওর মাথায় হাত দিয়ে ডাকে "বাবু.... "
মেঘলা অভীকের কোলে মুখ গুঁজে কান্নার সুরে বলে "তলপেট থেকে শুরু করে কোমর থেকে পায়ের পাতা অবধি ব্যথা করছে । আমি সোজা হয়ে শুতেও পারছি না বসতেও পারছি না ।  "
মেঘলার মুখটা দেখে অভীকের কষ্ট হয় খুব । ও মেঘলাকে শুইয়ে বলে "দু মিনিট অপেক্ষা কর সোনা আমি এখনি আসছি । "
কিছুক্ষন পরেই অভীক একটা হট ওয়াটার ব্যাগ নিয়ে ছুটতে ছুটতে এসে মেঘলার টি শার্ট টা পেটের  কাছ থেকে  হালকা করে তুলে হট ওয়াটার ব্যাগটা ওর পেটে আলতো চেপে ধরে বলে "এটা ধরে থাক একটু শান্তি লাগবে দেখ, আর খুব গরম লাগলে একবার করে সরিয়ে সরিয়ে রাখবি । "
অভীক উঠতে গেলে মেঘলা ওর হাতটা ধরে বলে "তুমি কোথায় যাচ্ছ ? "
"আমার একটা ছোট্ট কাজ আছে । এক্ষুনি আসছি "।
অভীক একটা গামলা মত পাত্রে  হালকা গরম জল নিয়ে আসে । মেঘলাকে ধরে বিছানা থেকে পা ঝুলিয়ে বসায় ।
"ব্যাগটা পেটের ওপরে চেপে ধরে থাক , পা টা এই জলে ডোবা । "
মেঘলা অবাক হয়ে ওর  তাকিয়ে আছে  । ও একটা থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পড়েছিল । অভীক ওর পায়ের পাতা দুটো জলে ডুবিয়ে নিজে মেঝেতে বসে নিজের হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মেঘলার পায়ের তলায় প্রেস করতে থাকে । মেঘলা অবাক হয়ে অভীকের দিকে তাকিয়ে আছে । মানুষটা সারাদিন খাটনি করে এসে ওর জন্য খাবার বানালো , ওকে খাইয়ে দিলো , ওর পেটে ব্যাথার গরম জল করে আনলো , আর এখন পায়ে ম্যাসাজ করছে যাতে মেঘলার একটু আরাম হয় ।মেঘলা ছলছলে চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে । অভীক নিচের দিকে তাকিয়ে এক নাগারে মেঘলার পায়ের তলায় ম্যাসাজ করছে । 
"একটু আরাম লাগছে সোনা । "
মেঘলা নিজের চোখের জল মুছে বলে "হুমম... তুমি এত কিছু কি করে শিখলে । "
অভীক তোয়ালে দিয়ে ওর পা টা মুছিয়ে দিতে দিতে বলে "আমি ইউটিউবে দেখেছি এই টাইমে গরম জলই মেন ওষুধ..  "
মেঘলা অবাক হয়ে বলে "তুমি আমার জন্য  ইউটিউব সার্চ করেছো । "
অভীক শান্ত গলায় বলে "আমি তো বাইরে থেকে বুঝতে পারবো না তোর ঠিক কতটা কষ্ট হচ্ছে । আর আমি তো জানতামও না কি করে কমানো যায় .. তাই...."
মেঘলা নিজের কান্না আটকে বলে "মেঝেতেই বসে থাকবে নাকি আমাকে একবার জড়িয়ে ধরবে । তোমার হাগটাই আমার মেন ওষুধ । "
অভীক মৃদু হেসে প্রেয়সীকে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে চুম্বন করে বলে "এবার একটু শুয়ে পড় । ঘুম দরকার ঘুম... "
মেঘলা মুখ ভার করে বলে "তলপেটের সাথে সাথে কোমরেও ব্যথা করছে আমার.. "
অভীক মৃদু হেসে বলে "সেটারও ওষুধ গরম জল... "
এই বলে মেঘলাকে উপুর করে শুইয়ে ওর পেটের তলায় একটা  হালকা হালকা গরম   জলের ব্যাগ ঢুকিয়ে দেয় । মেঘলা বালিশের ওপরে মাথা রেখে মাথাটা ডানদিকে ঘুড়িয়ে রেখেছে । মেঘলা উপুর হয়ে শুয়ে থাকায় অভীক ওর কোমরের কাছে টিশার্টটা একটু তুলে আরেকটা ছোট গরম জলের ব্যাগ দিয়ে আলতো আলতো করে সেঁক দিত থাকে ।  মেঘলার একটু আরাম বোধ হয় ।  সাথে নিজের ওপর রাগও হয় ।অভিক সারাদিন অফিসে কাজ করে বাড়ি ফেরে , কোথায় ওর উচিত অভীকের জন্য কিছু করা উল্টে ওর এমন অবস্থা যে অভীক নিজের নাওয়া খাওয়া ঘুম বিসর্জন দিয়ে ওর সেবা করছে । অভীক এর সেবাতেই হোক বা গরম জলের প্রভাবে, মেঘলার পেটে ব্যথা কোমর ব্যাথা হালকা কমে আসে ।

খাওয়া দাওয়া সেরে সুজয় অঞ্জনাকে বলে "প্লেটটা ওই টেবিলের ওপরে রেখে আমাকে জলের বোতলটা  দাও প্লিজ , খুব টায়ার্ড লাগছে । "
অঞ্জনা প্লেট টা টেবিলে রাখতে গিয়ে সামনে একটু ঝুঁকতে হয় ওকে , সুজয়ের চোখের সামনে ওর বিভাজিকা অনেকখানি  দৃশ্যমান হয় । সুজয় কামুক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে । অঞ্জনা ভালোবেসে গ্লাসে জল ঢেলে ওর দিকে এগিয়ে দেয় । সুজয় সেটা খেয়ে আবার ওকেই বলে গ্লাসটা রেখে দিতে । অঞ্জনা সেটাও করে । সুজয় এবার বলে "এসো বেবী... এবার বিছানায়  চলে এসো। "
এবার অঞ্জনার মনের ভেতরে ভয় জমাট বাঁধতে শুরু হয় । এর আগেও স্কুল জীবনে  ওর একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল  কিন্তু তারসাথে কোনোদিন রুমডেটে  যায়নি । ওই চুমু অবধিই সীমাবদ্ধ ছিল । সুজয়ের চোখের চাহনি দেখে অঞ্জনা ভাবে "আমার কি মেঘলার কথা শোনা উচিত ছিল ? আমি কি কোনো ভুল করে ফেললাম । "
সুজয় কামুক স্বরে বলে "কি এত ভাবছো বলোতো জান... রাত বাড়ছে তো নাকি ... কাম অন এসো...... "
অঞ্জনা শুকনো ঢোক গিলে বলে "তুমি যে বললে তুমি tired... "
সুজয় বলে "ধুর তেরিকি... তোমার মত হট অ্যান্ড সেক্সী আইটেমকে   দেখে আর দূরে থাকা যায় নাকি ? সত্যি বলছি জান তুমি ছবি বা ভিডিও কলের থেকে রিয়েলে অনেক বেশি  attractive... অ্যান্ড সেক্সী...  "
অঞ্জনা ভ্রু কুঞ্চিত করে বলে "আইটেম? "
সুজয় কথা ঘুরিয়ে বলে "উফফ এত প্রশ্ন কোরো না তুমি ... তুমি তো আমার গার্লফ্রেন্ড না... আর আমার গার্লফ্রেন্ড মনে আমার জিনিস .. জিনিস মনে আইটেম .. ওই একই হল কিছু একটা .. কম ডারলিং আর দূরে থেকো না।  "
অঞ্জনা মনে মনে ভাবে "এক অভীকদাকে দেখি মেঘাকে নিজের বাচ্চার মত .. তুলোয় মোড়ানো পুতুলের মত ট্রিট করে । আর সুজয় আমাকে ওর জিনিস বলছে ...   দুজন নিজের প্রেমিকার প্রতি প্রেমিকের ব্যবহারের মধ্যে কি এতটা তফাৎ হতে পারে ?  "
অঞ্জনা এইসব ভাবছিলো হঠাৎ নিজে হতে একটা ঝটকা অনুভব  করে কোনো কিছু বোঝার আগেই বিছানায় পরে যায় । নিমেষেই ওর ঠোঁটের  ওপরে চেপে বসে পুরুষালি দুটো পুরু ঠোঁট , যে ওর নরম ঠোঁট দুটোকে  হিংস্রতার সাথে চুষতে শুরু করেছে । অঞ্জনার ব্যথা লাগে কিন্তু ও কিছু বলতে পারেনা নড়তেও পারেনা । কারণ সুজয় ওকে বিছানার  সাথে চেপে ধরে আছে । সুজয় অঞ্জনার জিভটা মুখের মধ্যে নিয়ে পাগলের মত চুষছে , সুজয়ের এই আক্রমণের কাছে হেরে গিয়ে অঞ্জনাও তার চুম্বনে সায় দিতে থাকে , নিজেও সুজয়ের ঠোঁট জোড়াকে চুষতে থাকে । যতই হোক সুজয়কে  অঞ্জনা ভালোবেসেছে । তাই সুজয়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে ও থাকতে পারলো না । 

প্রেমিকা Where stories live. Discover now