part - 5

381 19 4
                                    

5.অভীক মেঘলাকে ঘুরিয়ে আবার নিজের কোলের ওপরে বসায় । এবার ওরা মুখোমুখি। 
মেঘলা বিছানায় হাতের ভর দিয়ে পেছনে বেঁকে যায় সামান্য । অভীক ওর পেছন দিকের টপটা সামান্য তুলে ওর উম্মুক্ত কোমরে হাত রেখে গলায় মুখ ডুবিয়ে দিয়ে চুষতে থাকে । মেঘলার নিশ্বাসের কারণে ওর বুক  ওঠানামা করছে । মেঘলা দেখতে পাতলা সাতলা হলেও ওর বক্ষযুগল বেশ ভরাট। বুকের ওঠানামার কারণে তা বারবার অভীকের বুকের সাথে ধাক্কা খায় । অভীক মেঘলার গলা থেকে চুষতে চুষতে মেঘলার বিভাজিকায় নেমে এসেছে । মেঘলার বিভাজিকা কাছে জিভ এনে  অভীক তার  জিভটা  ওপর নিচ করে  করে  লেহন করতে থাকে। মেঘলা অভীকের ঘাড়কে অবলম্বন করতে চেয়ে চেপে ধরে, ফলস্বরূপ মেঘলার নখের দাগ বসে যায় অভীকের ঘরে  । অভীক এর  তাতে তোয়াক্কা নেই । অভীক মেঘলার সরু ফিতে ওয়ালা টপটা ঘাড় বেয়ে নীচে নামিয়ে দেয় । অভীক এর সামনে ভেসে ওঠে মেঘলার অন্তর্বাস পড়া নারী শরীরের গঠন । অন্তর্বাসের ওপর দিয়ে উঁকি মারছে সাদা ধবধবে স্তনযুগল । অন্তর্বাসের ওপর দিয়েই  ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইছে বৃন্তদুটি । কিন্তু তারা অক্ষম । টপ নেমে এসেছে কোমরে ।  মেঘলা উম্মাদের মত চুমু দিতে থাকে অভীকের ঘাড়ে গলায় । অভীকের গা থেকে খুলে ছুড়ে ফেলে দেয় স্যান্ডো গেঞ্জি । ক্ষুধার্ত সিংহীর মত নিজের তৃপ্তি খুঁজতে থাকে অভীকের গলায় বুকে  ঘাড়ে, চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিতে থাকে । সাথে ছোট ছোট ভালোবাসার কামড়ও  । যেই যেই জায়গায় মেঘলার  দাঁত পড়ছিল , ছোট ছোট লাল লাল চিহ্ন হয়ে যাচ্ছিল অভীকের  গলায় , আর অভীক আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলো ।
অভীক মেঘলার দুই হাতের তলায় হাত রেখে অন্তর্বাসের ওপর দিয়ে উঁকি মারা  মেঘলার অর্ধ উম্মুক্ত বুকে মুখ ডুবিয়ে ওকে বিছানায় শুইয়ে দেয় । মেঘলার শরীরটা বিছানা থেকে খানিকটা উঁচু হয়ে ধনুকের মত বেঁকে যায় । মেঘলা নিজের পা  দিয়ে অভীকের কোমর জড়িয়ে ধরে । অভীক মেঘলার  অন্তর্বাসের ওপর দিয়েই নিষ্পেষণ করতে থাকে মেঘলার বক্ষ যুগল , মেঘলা শিৎকার করতে শুরু করে "ওহহ... অভী.... বেবী..…"
অভীক যেন এই নরম তুলতুলে জিনিস দুটোর মধ্যে এক অদ্ভুত তৃপ্তি খুঁজে পেয়েছে , মনের সুখে চাপতে থাকে , এবং মুঠোর মধ্যে বন্দী করে নিয়ে চাই তাদের। অভীক এবার মুখ ডুবিয়ে দেয় মেঘলার অর্ধ উম্মুক্ত বুকে।  পাগলের মত চুষতে থাকে ছোট ছোট কামড় দিতে থাকে, এটা থেকে ওটা , ওটা থেকে এটাই, একেবারে জিভ দিয়ে লেহন করে  । মেঘলা অভীকের পিঠ খামচে ধরে "আর পারছি না আমি বেবী .... "
অভীক বুঝতে পারে ওর পুরুষাঙ্গ জেগে উঠছে , মেঘলাও আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে পড়ছে, এর বেশি এগোনো ঠিক হবে না  । তাই অভীক আর বেশি না এগিয়ে মেঘলার বিভাজিকার  মধ্যে মুখ ডুবিয়ে নিজেকে শান্ত করে । অভীককে  শান্ত হয়ে যেতে দেখে মেঘলাও ক্রমে নিস্তেজ হয়ে পড়ে । শান্ত হয়ে হাত রাখে অভীকের পিঠে । অভীক মেঘলার বিভাজিকায় মুখ ডুবিয়ে ঘন ঘন নিশ্বাস  নিতে থাকে । খানিক্ষণ পরে  মেঘলার ওপর থেকে সরে গিয়ে সোজা বাথরুমে চলে যায় । মেঘলাও যায় অন্য বাথরুমে ।  অভীক এর  ফিরে আসতে অনেকটাই সময় লাগে । মেঘলা ফিরে এসে বিছানায় অভীকের জন্য অপেক্ষা করে।  অভীক ট্রাকসুট পড়ে খালি গায়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে বিছানায় ওঠে।  মেঘলার পরনে তখন ওপরের অন্তর্বাস আর  হট প্যান্ট । অভীক এসে বিছনায় শুতেই মেঘলা ওর গায়ের ওপরে শুয়ে পরে ।  অভীক ওর পিঠে হাত রেখে ওকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তখনই ওর হাত যায় মেঘলার অন্তর্বাসের হুঁকের কাছে।  ওর বুঝতে অসুবিধে হয়না জিনিসটা মেঘলার পিঠে একেবারে চেপে বসে আসে । অভীক শান্ত গলায় বলে "এত টাইট জিনিস পরে ঘুম আসে তোর ? "
মেঘলা বাচ্চাদের মত বলে "ঘুমানোর আগে খুলে দি ,  শুধু টপটাই পড়ে থাকি    , আজ ভুলে গিয়েছিলাম...  "
অভীক ওকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে বলে "ভাগ্যিস ভুলে গিয়েছিলি , নাহলে আজ সব দেখে ফেলতাম তোর আমি । "
মেঘলা আদুরে সুরে বলে "সবই তো তোমার , তুমিই তো দেখবে।...  "
অভীক ওর পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলে "তা ঠিক তবে সেসব একটু দেরি আছে । একটু ওঠ দেখি এই বাজে জিনিসটা খুলে টপটা পরে নে , ওটা comfortable, এটাই ঘুমিয়ে কষ্ট হবে তোর । খুব শক্ত হয়ে বসে আছে তোর পিঠে , নির্ঘাত দাগ বসে গিয়েছে ।  "
মেঘলা অভীকের ওপর থেকে উঠে বিছানায় বসে টপটা ওপর দিয়ে গলিয়ে নিয়ে অভীক কে বলে "টপের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে হুঁকটা খুলে দাও না "
অভীক তাই করে । মেঘলা টপের ওপরের ফাঁকফোকর গুলো দিয়ে কোনোরকম  ভাবে অন্তর্বাসটি বের করে ফেলে । অভীক অবাক হয়ে বলে "এটা কিভাবে হলো ? "
মেঘলা হেসে বলে "ও তুমি বুঝবে না , পড়ে বুঝিয়ে দেব । চলো ঘুমাও । "
অভীক খালি গায়ে মেঘলাকে জড়িয়ে নিয়ে চাদরের মধ্যে ঢুকে পড়ে । মেঘলা অভীকের বুকে মুখ গুঁজে দেয় । অভীক খুব আদর করে মেঘলাকে জড়িয়ে নেয়।  অভিক ধীরে ধীরে বলে "জামার ভেতর থেকেও  তোর সেগুলোকে আমি অনুভব করতে পারছি  মেঘা।  "মেঘলা অভীকের বুকে নাক ঘষে হলে "ভেতরে কিছু না থাকলে ওরম  হয় । তুমি ঘুমাও , কাল তোমার প্রেজেন্টেশন আছে না।  "
"কি যে হবে কাল বুঝতে পারছি না । তুই সব গুলিয়ে  দিলি আমার   "
"সব ভালো হবে।  এখন ঘুমাও । "
এই বলে অভিক এর বুকে  চুম্বন করে , মুখ গুঁজে মেঘলা ঘুমের দেশে ঢলে পড়ে । অভীকও একটা সময় ঘুমিয়ে পরে ।

মেঘলার ঘুম ভাঙতেই ও দেখে বিছানায় অভীক নেই । আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে । বেডরুম থেকে বেরিয়ে দেখে অভীক খালি গায়ে একটা বারমুডা পড়ে  ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে । মেঘলা পেছন থেকে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে ওর পিঠে গাল ঠেকিয়ে বলে "সকাল হতেই সিগারেট শুরু ..."
অভীক বলে "একটু টেনশন ছিল তাই ...  , সেসব ছাড়, আমার  পিঠের কি অবস্থা করেছিস দেখেছিস তুই ? "
মেঘলা একবার অভীকের পিঠে চোখ বুলিয়ে বলে "বেশ করেছি , আর তুমি এগুলো কি করেছো ? "
অভিক ঘুরে গিয়ে দেখে  মেঘলা নিজের টপটা সামনে দিকে নামিয়ে ওর স্তনের ওপরে অভীকের দেওয়া লাভ বাইট গুলো দেখাচ্ছে ।
অভীক হাতের সিগারেটটা ফেলে পা দিয়ে মাড়িয়ে দিয়ে , মেঘলার বুকের দফতর ওপরে সশব্দে চুম্বন করে বলে "আমার জিনিস আমি যা খুশি তাই করবো । "
মেঘলা  চোখ ছোট ছোট করে বলে "এটা তোমার জিনিস আর তোমার পিঠ টা বুঝি আমার না । "
অভীক মেঘলার দুই গালে হাত দিয়ে বলে "পাগলী রে , তোর এই দাগ আমি ছাড়া কেও দেখতে পাবে না । কিন্তু আমি তো ইউনিয়ন রুমে কাজ করার সময় ঘেমে গেলে জামা খুলে ফেলি , এখন তো আর সেটাও করতে পারবো না । "
মেঘলা বলে "বেশ হয়েছে , কেও তাহলে তোমার বডি দেখতে পাবে না । "
অভীক মেঘলার গাল টেনে দিয়ে বলে "তুই তো খুব জেলাস .... "
"তো জেলাস হবো না , এটা আমার অধিকার ...  আমার দিকে অন্য কেউ তাকালে বুঝি তোমার জেলাসি হয় না? "
অভীক চোয়াল শক্ত করে বলে "জেলাসী হয়না খুন করে দিতে ইচ্ছে করে । "
মেঘলা  মৃদু হেসে অভিক কে জড়িয়ে বলে "my angry hero..."
অভীক এবার বলে "যা স্নান করে রেডি হয়ে নে আমি যাওয়ার পথে তোকে পিজিতে নামিয়ে দেবো । "
মেঘলা বায়না করে বলে "আমি যাবো না প্লিজ... "
"তা বললে তো হবে না সোনা, তোর বাড়ির লোক তোকে পিজিতে রেখে গেছে হঠাৎ করে যদি দেখা করতে চলে আসে তখন কি হবে।তাছাড়া আমাদের সম্পর্ক টা তো লিভ ইন এর নয় তাই না.."
মেঘলা অভিককে জড়িয়ে ধরে বলে "লিভ ইন এর হলেই বা ক্ষতি কি ?আমি যাবো না প্লীজ..."
অভীক বলে " তুই লিভ ইন এ থাকতেও রাজি?   "
মেঘলা বলে "তোমার সাথে জাহান্নামে যেতেও রাজি । "
অভীক একটু চিন্তিত সুরে বলে "নিয়ে আসবো তোকে , কোনো নামহীন সম্পর্ক দিয়ে নয়  সসম্মানে নিয়ে আসবো ।  একটু অপেক্ষা কর ...আমার placement টা হয়ে যাক । আমাদের জন্য একটা secure ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করি । বাবার অনেক টাকা  আছে ঠিকই কিন্তু আমাকে নিজেকেও তো তোর যোগ্য হয়ে উঠতে হবে , যাতে তোর বাবা মা আমাকে ভরসা করতে পারে ।
মেঘলা বলে "আমি করি তো তাতেই হবে । "।


(ক্রমশ...)

প্রেমিকা Where stories live. Discover now