Part - 43

536 14 6
                                    

পর্ব - 43/
মেঘলা চোখ খুলে দেখে অভীক শুয়ে শুয়েই ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ।
মেঘলা মৃদু হেসে "গুড মর্নিং.... " বলে , অভীক ওর কপালে চুম্বন করে বলে "গুড মর্নিং ... "
"কখন উঠেছ বলোতো তুমি ? এইভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেনো ? "
"দেখছিলাম আর ভাবছিলাম , পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর , সবথেকে কিউট মেয়েটা আমার ...  "
মেঘলা লাজুক হেসে বলে "আর পৃথিবীর সবচেয়ে হ্যান্ডসাম , প্রটেক্টিভ অ্যান্ড কেয়ারিং মানুষটা আমার । এবার উঠতে হবে ...  অনেক  কিছু কাচতে হবে । "
এই বলে মেঘলা চাদর গায়ে দিয়ে উঠতে  যায় । অভীক উঠে বসে বলে "তুই স্নান করতে যা , বাকিটা আমি দেখে নেবো । "
মেঘলা অবাক হয়ে বলে "মানেটা কি ? এতগুলো জামাকাপড় , বেডশিট... সব ধুতে হবে । তুমি একা পারবে না , চলো দুজনে মিলে করে নেবো । "
অভীক বিছানা ছেড়ে ফ্লোর আর বিছানার ওপরে ছড়িয়ে থাকা বাকি জামাকাপড়গুলো তুলতে তুলতে বলে "তোকে এত বেশি বলতে বলা হয়নি । স্নানে যা , আরামসে একটু সময় নিয়ে স্নান কর । আজ রিভার জন্মদিন , ওকে উইশ করা হয়নি মনে আছে তো ? "
মেঘলা চোখ বড় বড় করে বলে "ও হ্যাঁ... ইশ ভুলে গিয়েছিলাম আমি ... "
মেঘলা পাশ থেকে ফোনটা নিয়ে রিভা কে ফোন করে । অভীক জামাকাপড় গুলো জোগাড় করে একপাশে রেখে বিছানায় এসে উঠে বসে । মেঘলা ফোনটা লাউডে দেয়
রিভা ফোন রিসিভ করে বলে "হ্যালো..."
মেঘলা হাসিমুখে বলে "হ্যাপি বার্থডে. দি.... Many many happy returns of the day... সরি দিদি কাল রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তাই উইশ করা হয়নি ...  "
মেঘলার মিথ্যে বলা দেখে অভীক হাসে , মেঘলা ওকে চিমটি কাটে । রিভা ফোনের ওপর থেকে বলে "থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ... কোনো ব্যাপার না বাবু... আমি বুঝতে পেরেছিলাম তোরা হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিস। "
পাশ থেকে অভীক চিৎকার করে বলে "happy birthday to my sweet sister.. জন্মদিন অনেক ভালো কাটুক তোর.. "
রিভা হেসে বলে "থ্যাঙ্ক ইউ দাদা.. থ্যাঙ্ক ইউ ফর always being there for me... "
ওরা রিভার সাথে ফোন কথা বলে ফোন রেখে দেয় , অভীক দুষ্টু হাসি হেসে বলে "কাল রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলিস তুই ? "
মেঘলা ওর উরুতে চাপর মেরে বলে "খুব বাজে তুমি ... "
মেঘলা তাড়াহুড়ো করে বিছানা ছেড়ে নামতে যায় । অভীক বলে "আরে সাবধানে... একটু সামলে ।  "
মেঘলা গায়ের চাদরটা ভালো করে করতে গেলে অভীক বলে "জামা বের করে রেখেছি ওটা পরে যা , চাদর জড়িয়ে যাসনা । "
মেঘলা ভ্রু কুঁচকে বলে "কেনো ? "
"অঞ্জনা থাকতে পারে বাইরে , তোকে এইভাবে দেখলে ব্যাপারটা খারাপ হবে । যদিও ও হয়তো কিছু আন্দাজ করেছে কারণ সকালে আমি খালি গায়েই ওর সামনে চলে গিয়েছিলাম  , কিন্তু তবুও নিজে থেকে এইভাবে শো অফ করা আমাদেরই উচিত না । একটা পর্দা রাখা উচিত আমাদের , আর recently ও এই ব্যাপারটা নিয়েই আহত হয়েছে তো তাই আর কি .. "
মেঘলা মৃদু হেসে বলে "বুঝেছি ... "
এই বলে রুমের সোফার ওপরে অভীকের বের করে রাখা ওয়ান পিস টা পরে নেয় । তার পরে বাইরে চলে আসে ।

প্রেমিকা Where stories live. Discover now